ডালিম অর্থাৎ বেদানার নির্যাসই কামাল দেখাবে করোনায়, বলছে নয়া গবেষণা
ডালিমের নির্যাস ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, পক্স ভাইরাস এবং হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে সক্ষম। কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কোনও কাজে আসে কি না, সেটাই যা দেখার!


এক দিকে যখন বিশ্বের নানা প্রান্তে কোভিড ১৯ ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের লক্ষ্যে প্রাণপাত করে চলেছেন বিজ্ঞানী তথা চিকিৎসকরা, অনেক ভ্যাকসিনের ট্রায়ালও চলছে স্বেচ্ছাসেবীদের উপরে, তখন এ হেন সমীক্ষা এবং তার সিদ্ধান্তের দাবি নিঃসন্দেহেই অবাক করে দেয়! কিন্তু কোভিড ১৯ ভাইরাসের প্রতিরোধী যে ভ্যাকসিন আছে, তাতে যে নির্দিষ্ট কিছু উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে ওষুধ হিসেবে, সেটাও মাথায় না রাখলেই নয়! এ ক্ষেত্রে যে সব চিকিৎসক তথা বিজ্ঞানীরা ভেষজ উপাদানের দিকটা নিয়ে কাজ করে চলেছেন, তাঁদেরই যেন প্রতিনিধিত্ব করছে বানজা লুকা, বসনিয়া এবং হার্জেগোভনিয়ার ফ্যাকালটি অফ মেডিসিনের এই গবেষণা।


এই গবেষণার সমীক্ষাপত্রটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে মলিকিউলার অ্যান্ড সেলুলার বায়োকেমিস্ট্রি জার্নালে। তা, এ প্রসঙ্গে কী বলছেন গবেষণা-দল তথা সমীক্ষাপত্রের প্রধান রেলজা সুরুচিক? কোভিড ১৯ ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পর রক্তনালীকে ফুলিয়ে দেয়, পরিণামে বেশ কিছু রক্ত জমাট বেঁধে যায়।


পাশাপাশি তা শরীরের ভিতরে ইমিউন প্রোটিন তৈরির কাজেও বাধা দেয়, কমিয়ে দেয় লোহিত রক্তকণিকার বৃদ্ধি। এই সব দিক নজরে রেখে রেলজা এবং তাঁর দলের দাবি- ডালিমের নির্যাস এই সব সমস্যা প্রতিরোধে কার্যকরী। কেন না, ডালিম প্রাকৃতিক দিক থেকে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি, তা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টেও ভরপুর। পাশাপাশি এই ফল ব্লাড সুগার এবং কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখে।


রেলজা বলছেন যে ডালিমের এই প্রাকৃতিক উপাদান, বিশেষ করে তার খোসার নির্যাস পিউনিক্যালাজিন এবং পিউনিক্যালিন নামের দুই ধরনের যৌগ তৈরি করে থাকে। তাঁদের সমীক্ষা প্রমাণ করে দেখিয়েছে এই দুই যৌগ শরীরের ভিতরে রোগপ্রতিরোধী প্রোটিন তৈরি করতে পারছে। এই ফল যেহেতু সরাসরি খাওয়া যায়, সে জন্য উপকারের সম্ভাবনাও দ্রুত বলে দাবি তাঁর!


খবর বলছে যে ডালিমের নির্যাস ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, পক্স ভাইরাস এবং হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে সক্ষম। সেই লক্ষ্যেই রেলজা এবং তাঁর দল কোভিড ১৯ প্রতিরোধে এই ফলের ব্যবহার নিয়ে সমীক্ষা শুরু করেছিলেন। তাঁরা তাঁদের গবেষণার ফলাফলে নিঃসন্দেহেই পরিতৃপ্ত। এখন এই সমীক্ষার ফলাফল কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কোনও কাজে আসে কি না, সেটাই যা দেখার!