Knowledge Story: ওতটুকু তো জীব, কীভাবে চামড়া ভেদ করে রক্ত খায় মশারা! জানেন সেই অদ্ভুত উপায়?

Last Updated:
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, আমাদের ত্বক ফুঁড়ে রক্তবাহ পর্যন্ত পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য মশাদের মুখে বিশেষ অঙ্গ রয়েছে৷ তার মধ্যে একটি হল ঠোঁটের মতো একটা অংশ, লেবিয়াম৷ মশা কামড়ানোর সময় এই অংশ থাকে ত্বকের বাইরে৷
1/10
বর্ষাকাল এসে গেছে৷ বৃষ্টিও পড়ছে বেশ ভালই৷ কিন্তু বর্ষা আসার স্বস্তির সঙ্গে সঙ্গে একটা আতঙ্কও আমাদের চেপে ধরে৷ তা হল মশারা৷
বর্ষাকাল এসে গেছে৷ বৃষ্টিও পড়ছে বেশ ভালই৷ কিন্তু বর্ষা আসার স্বস্তির সঙ্গে সঙ্গে একটা আতঙ্কও আমাদের চেপে ধরে৷ তা হল মশারা৷
advertisement
2/10
এই বর্ষাকালেই মাঠে, ঘাটে, অলিতে-গলিতে জমা জলে জন্মায় অ্যানোফিলিস, এডিস কিংবা কিউলেক্স৷ বাড়ের আনাচে কানাচে পড়ে থাকা টব, কিংবা টিনের কৌটোও আঁতুরঘর হয়ে ওঠে মশাদের৷ সেখান থেকেই ঘরে ঘরে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, এনসেফালাইটিস৷
এই বর্ষাকালেই মাঠে, ঘাটে, অলিতে-গলিতে জমা জলে জন্মায় অ্যানোফিলিস, এডিস কিংবা কিউলেক্স৷ বাড়ের আনাচে কানাচে পড়ে থাকা টব, কিংবা টিনের কৌটোও আঁতুরঘর হয়ে ওঠে মশাদের৷ সেখান থেকেই ঘরে ঘরে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, এনসেফালাইটিস৷
advertisement
3/10
কিন্তু, আমরা কি জানি, মানুষের ত্বক ফুঁড়ে কী ভাবে রক্ত খায় মশারা?
কিন্তু, আমরা কি জানি, মানুষের ত্বক ফুঁড়ে কী ভাবে রক্ত খায় মশারা?
advertisement
4/10
মশা কামড়ানোর সময় আমরা কিছু বুঝতে পারি না৷ ওদের রক্ত খাওয়া প্রায় শেষের দিকে থাকলে তবেই আমরা বুঝতে পারি৷ কারণ রক্ত খেতে গায়ে বসার সঙ্গে সঙ্গেই ওরা ওদের মাউথ পার্টস দিয়ে আমাদের রক্তে ওদের লালারস মিশিয়ে দেয়৷ যার জেরে প্রথম দিকে আমরা বুঝতেই পারি না যে মশা কামড়াচ্ছে৷
মশা কামড়ানোর সময় আমরা কিছু বুঝতে পারি না৷ ওদের রক্ত খাওয়া প্রায় শেষের দিকে থাকলে তবেই আমরা বুঝতে পারি৷ কারণ রক্ত খেতে গায়ে বসার সঙ্গে সঙ্গেই ওরা ওদের মাউথ পার্টস দিয়ে আমাদের রক্তে ওদের লালারস মিশিয়ে দেয়৷ যার জেরে প্রথম দিকে আমরা বুঝতেই পারি না যে মশা কামড়াচ্ছে৷
advertisement
5/10
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, আমাদের ত্বক ফুঁড়ে রক্তবাহ পর্যন্ত পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য মশাদের মুখে বিশেষ অঙ্গ রয়েছে৷ তার মধ্যে একটি হল ঠোঁটের মতো একটা অংশ, লেবিয়াম৷ মশা কামড়ানোর সময় এই অংশ থাকে ত্বকের বাইরে৷
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, আমাদের ত্বক ফুঁড়ে রক্তবাহ পর্যন্ত পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য মশাদের মুখে বিশেষ অঙ্গ রয়েছে৷ তার মধ্যে একটি হল ঠোঁটের মতো একটা অংশ, লেবিয়াম৷ মশা কামড়ানোর সময় এই অংশ থাকে ত্বকের বাইরে৷
advertisement
6/10
লেবিয়ামের সাপোর্টে মানব শরীরের ত্বকের মধ্যে মশা ঢুকিয়ে দেয় ৬ টা সূচের মতো অংশ৷ এই ৬টি সূচের মতো অংশকে বলে স্টাইলেট৷ এই ৬টি সূচের মধ্যে ২টি সূচের মতো অংশকে বলে ম্যাক্সিলি৷ এই ম্যাক্সিলিতেই থাকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দাঁতের মতো অংশ৷ আমাদের ত্বক চিড়তে এটিকেই করাতের মতো ব্যবহার করে মশা৷
লেবিয়ামের সাপোর্টে মানব শরীরের ত্বকের মধ্যে মশা ঢুকিয়ে দেয় ৬ টা সূচের মতো অংশ৷ এই ৬টি সূচের মতো অংশকে বলে স্টাইলেট৷ এই ৬টি সূচের মধ্যে ২টি সূচের মতো অংশকে বলে ম্যাক্সিলি৷ এই ম্যাক্সিলিতেই থাকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দাঁতের মতো অংশ৷ আমাদের ত্বক চিড়তে এটিকেই করাতের মতো ব্যবহার করে মশা৷
advertisement
7/10
এই দাঁতের মতো অংশগুলি এতই ধারাল হয় যে মানুষ বুঝতেই পারে না যে মশা কামড়াচ্ছে৷ এটি অনেকটা ড্রিল মেশিনের মতো৷ আরেকটি সূচের মতো অংশকে বলা হয় ম্যান্ডিবল৷ এটি ত্বকের চেরা অংশকে দু’পাশে ধরে রাখে৷
এই দাঁতের মতো অংশগুলি এতই ধারাল হয় যে মানুষ বুঝতেই পারে না যে মশা কামড়াচ্ছে৷ এটি অনেকটা ড্রিল মেশিনের মতো৷ আরেকটি সূচের মতো অংশকে বলা হয় ম্যান্ডিবল৷ এটি ত্বকের চেরা অংশকে দু’পাশে ধরে রাখে৷
advertisement
8/10
এরপরেই নিজের প্রবোসিস ঢুকিয়ে স্ট্র দিয়ে টানার মতো করে আমাদের রক্ত খায় মশারা৷ এছাড়াও, এই প্রোবোসিসকে সাপোর্ট দেয় হাইপোফ্যারিংক্সের মতো অংশ৷ এটির মাধ্যমেই আমাদের শরীরে নিজেদের লালারস ঢুকিয়ে দেয় মশারা৷ এর ফলে মশা কামড়ালেও আমরা বুঝতে পারি না৷
এরপরেই নিজের প্রবোসিস ঢুকিয়ে স্ট্র দিয়ে টানার মতো করে আমাদের রক্ত খায় মশারা৷ এছাড়াও, এই প্রোবোসিসকে সাপোর্ট দেয় হাইপোফ্যারিংক্সের মতো অংশ৷ এটির মাধ্যমেই আমাদের শরীরে নিজেদের লালারস ঢুকিয়ে দেয় মশারা৷ এর ফলে মশা কামড়ালেও আমরা বুঝতে পারি না৷
advertisement
9/10
মশার এই লালারস মানুষের রক্তবাহকেও ডায়ালেট করে৷ মানুষের প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়াকে আটকায়, এবং প্রোবোসিসকে রক্ত শোষণ করাতেও সাহায্য করে৷
মশার এই লালারস মানুষের রক্তবাহকেও ডায়ালেট করে৷ মানুষের প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়াকে আটকায়, এবং প্রোবোসিসকে রক্ত শোষণ করাতেও সাহায্য করে৷
advertisement
10/10
মশা কামড়ানো বিষয়টি খুব সাধারণ প্রক্রিয়া মনে হলেও, মশার জন্য বিষয়টি যথেষ্ট জটিল বলেই মনে হয়৷
মশা কামড়ানো বিষয়টি খুব সাধারণ প্রক্রিয়া মনে হলেও, মশার জন্য বিষয়টি যথেষ্ট জটিল বলেই মনে হয়৷
advertisement
advertisement
advertisement