ভারতের মতো দেশে গ্রীষ্মকালটা একেবারেই উপভোগ্য নয়। বাইরের তাপমাত্রা বাড়লেই এসি ঘরে সেঁধিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। সেই সঙ্গে বারবার ঠান্ডা জলে গা কিংবা গলা ভেজাতে ইচ্ছে করে। কারণ শরীরটাকে তো হাইড্রেটেড রাখতে হবে। আর হাইড্রেটেড রাখতে গিয়ে বারবার ঠান্ডা পানীয় গলায় ঢাললেই বাঁধতে পারে বড় বিপদ। আসলে শরীর ঠান্ডা করতে গিয়ে শরীরেরই বিপদ বাড়ে। জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়েই।
ক্ষণে ক্ষণে ঠান্ডা জলে স্নান:
গরমের দিনে শরীরটা ঠান্ডা করতে ঠান্ডা জলে অনেকেই স্নান করেন। এতে আরামও পাওয়া যায়। ঠান্ডা জলে স্নান করলে হার্ট রেট, রক্তচাপ, শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে নিয়মিত ভাবে এমনটা চলতে থাকলে মেটাবলিজমের হারও বাড়ে। ফলে দেহের ওজন কমে যেতে থাকে। এছাড়া রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা ও ইমিউনিটি সিস্টেমও উন্নত করে।
ফ্রিজের ঠান্ডা জল পান:
ওয়ার্ক-আউটের সময় দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্ত সংবহন ভাল রাখতে ঠান্ডা জল পান করা উচিত। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনও মরশুমে নিজের শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা এড়াতে জল খেতে হবে। তবে ঠান্ডা জল না খাওয়াই ভাল। কারণ এতে পেটের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যেতে পারে। ফলে রক্ত প্রবাহ আর হজম ক্রিয়ার গতি কমে যায়। ফ্রিজের ঠান্ডা জল পান করলে পেট ফোলা, হজমে সমস্যা, পেটে ক্র্যাম্পের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বাইরে থেকে এসেই এসি ঘরে প্রবেশ:
তীব্র সূর্যালোক বা প্রখর রোদ থেকে বাড়ি এসে এসি ঘরে ঢোকা উচিত নয়। আগে শরীর ঠান্ডা করে নিতে হবে। তার পর এসি-র ঠান্ডায় প্রবেশ করা উচিত। আসলে শরীরের তাপমাত্রা ওঠা-নামা করলে মুশকিল। ঠান্ডা-গরমে শক তৈরি হতে পারে। যার জেরে রক্তচাপ নেমে গিয়ে মাথা ঘুরে অচৈতন্য হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়।