বহু পরিসংখ্যানভিত্তিক সমীক্ষা একথা অনেক বছর হল স্পষ্ট করে দিয়েছে যে বর্তমানে মানবসভ্যতা ভুগছে প্রজননগত সঙ্কটে। দৈনন্দিন জীবনে রাসায়নিকের ব্যবহারের ফলে পুরুষ এবং নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই দেখা দিচ্ছে বন্ধ্যাত্ব, পুরুষের শীরে কমে আসছে শুক্রাণুর পরিমাণ, নারীর ডিম্বাশয়ে দেখা দিচ্ছে বিবিধ জটিলতা। পাশাপাশি, আধুনিক জীবনযাত্রার কাজের চাপ এবং তা থেকে জন্ম নেওয়া ক্লান্তি কমিয়ে তুলছে যৌন কামনা, শারীরিক মিলনের দিক থেকে দম্পতিদের অনিচ্ছুক করে তুলছে। এই প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে করোনাকালে এবং হয়ে উঠেছে অধিক জটিল।
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এই তিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়, যেমন মশলাদার খাবারে শরীরে এনডরফিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। আবার দই, বিনস, ডিম, মাংস, কফি, আমন্ড ডোপামিনের ক্ষরণ বাড়ায়। ফলে এই দিক মাথায় রেখে ডায়েটে কিছু বদল আনতে পারলে ভালো হয়। ভালো খাবার কিন্তু এক লহমায় মন ভালো করার ক্ষমতা ধরে, সেই দিক থেকে তা হাসিখুশি থাকার আবহ তৈরি করতে অমোঘ ভূমিকা নেয়।
সব শেষে একটা কথা ভুললে চলবে না- যৌনতা ভর করে থাকে রোম্যান্সের উপরে, তাই সম্পর্কে সেই ব্যাপারটাকে প্রাধান্য দিতে হবে। চুম্বন, আলিঙ্গন, ফোর প্লে- এই সবগুলোই যৌনতার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় হরমোনের ক্ষরণ ঘটানোর কাজে সাহায্য করে। তাই শুধুই পেনেট্রেশনে মন না দিয়ে সার্বিক ভাবে শারীরিক মিলনকে উপভোগ্য করে তুলতে হবে, একমাত্র তাহলেই বার বার সঙ্গী/সঙ্গিনীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা জাগবে!