Headache Home Remedies: যখন তখন যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যাচ্ছে মাথা? বাদ দিন Pain Killer Tablet! দেহের এই ‘বিশেষ অঙ্গে’ এটা দিলেই আরাম পলকে!

মাথাব্যথা মেজাজ নষ্ট করে দিতে পারে, তাই না? কাজের চাপের কারণে মাথাব্যথা হোক বা মাইগ্রেন, যা আপনার দিন নষ্ট করে দিচ্ছে, সকলেই মাথাব্যথার অস্বস্তি অনুভব করেছেন। কিন্তু ওষুধ সেবনের আগে, কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার চেষ্টা করে দেখুন না কেন যা আপনাকে স্বস্তি এনে দিতে পারে? মাথাব্যথাকে বিদায় জানাতে এবং আপনার সেরা অনুভূতি ফিরে পেতে এখানে আটটি সহজ, প্রাকৃতিক উপায় দেওয়া হল। বলছেন পুষ্টিবিদ মনপ্রীত কালরা৷

দিনের বেলায় জল খেতে ভুলে যাওয়া সহজ, কিন্তু ডিহাইড্রেশন প্রায়ই এই তীব্র মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। এক গ্লাস জলই অসাধারণ কাজ করতে পারে। সারাদিন জলশূন্যতা দূর করে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং মাথাব্যথা রোধ করে। তাই, আপনার জলের বোতলটি নিয়ে জল পান করুন-আরও কিছুটা জলশূন্যতা থাকলেই আপনি আরাম পেতে পারেন।

স্নায়ুর কার্যকারিতা এবং পেশি শিথিলকরণ নিয়ন্ত্রণে ম্যাগনেসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এর ঘাটতি মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। আপনার খাদ্যতালিকায় আরও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যোগ করার চেষ্টা করুন, যেমন পাতাযুক্ত শাকসবজি, বাদাম এবং বীজ। প্রয়োজনে আপনি ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্টও নিতে পারেন।

ঠান্ডা কম্প্রেস একটি কার্যকর প্রতিকার! আপনার কপালে বা ঘাড়ের পিছনে একটি ঠান্ডা প্যাক লাগালে প্রদাহ কমাতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। ঠান্ডা অনুভূতি আরাম দেয়, বিশেষ করে যদি আপনার মাথাব্যথা টেনশন-ভিত্তিক হয় বা মাইগ্রেনের কারণে হয়। এটি প্রায় তাৎক্ষণিকভাবে ভালো বোধ করার একটি সহজ, ঝামেলা-মুক্ত উপায়।

মাথাব্যথার উপশমে সামান্য পরিমাণে ক্যাফেইন বিস্ময়করভাবে কাজ করতে পারে। ক্যাফেইন রক্তনালীগুলিকে সংকুচিত করে, যা নির্দিষ্ট ধরণের মাথাব্যথার কারণে ব্যথা কমাতে পারে। এক কাপ কফি বা চা পান করলে আপনার প্রয়োজনীয় শক্তি পাওয়া যাবে এবং মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। শুধু আপনার গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন, কারণ অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে মাথাব্যথা হতে পারে।

খাবার বাদ দেওয়া কখনও কখনও মাথাব্যথার কারণ হতে পারে, যার ফলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে এবং মাথা খারাপ হতে পারে। আপনার শক্তির মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সারাদিন নিয়মিত, সুষম খাবার খাচ্ছেন কিনা তা নিশ্চিত করুন। এক মুঠো বাদাম বা ফলের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার ক্ষুধার কারণে মাথাব্যথা প্রতিরোধে আশ্চর্যজনকভাবে কাজ করতে পারে।

অ্যালকোহল শরীরকে জলশূন্য করে এবং পরের দিন ভয়াবহ হ্যাংওভার মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। আপনার অ্যালকোহল গ্রহণ সীমিত করা, অথবা অন্তত প্রচুর পরিমাণে জলপান করার সঙ্গে এটি ভারসাম্যপূর্ণ করা, এই অবাঞ্ছিত মাথাব্যথা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। তাই, দায়িত্বের সাথে চুমুক দিন এবং কাছাকাছি একটি জলের বোতল রাখুন!

ভাল রাতের ঘুমের শক্তিকে কখনওই অবমূল্যায়ন করবেন না! ঘুমের অভাব মাথাব্যথার একটি প্রধান কারণ। যদি আপনি পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পান, তাহলে আপনার শরীর চাপ এবং উত্তেজনার প্রতি আরও সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে, যা মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। একটি বিশ্রামহীন ঘুমের রুটিন আপনার শরীরকে রিচার্জ করতে সাহায্য করবে এবং আপনাকে সতেজ বোধ করবে। তাই, মাথাব্যথা দূর করতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর লক্ষ্য রাখুন।

ঘন ঘন মাথাব্যথার সমস্যা থাকলে এবং কোনও ভাবেই না সারলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন৷ তাঁর পরামর্শমতো পদক্ষেপ করুন৷