Hair Loss Reasons: এই ৫ খারাপ অভ্যাস দূর না করলে আপনারই ক্ষতি! সাবধান, অল্প বয়সেই মাথায় দেখা দেবে বিরাট টাক...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Hair Loss Reasons: কম বয়সেই চুল পড়া শুরু হয়েছে? ভুল ডায়েট, স্ট্রেস, ধূমপান ও ভুল চুলের যত্নে চুল পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এই ৫টি অভ্যাস আজই বদলান ও জেনে নিন কীভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়া কমানো যায়...
চুল পড়ার সমস্যা বর্তমানে অল্প বয়সীদের মধ্যেও ব্যাপক হারে দেখা যাচ্ছে। আগে যেখানে ৪০ বছর পর এই সমস্যা দেখা যেত, এখন ২০-৩০ বছরের তরুণ-তরুণীরাও এর শিকার হচ্ছেন। এর পেছনে জেনেটিক, হরমোনের পরিবর্তন বা চিকিৎসাজনিত কারণ থাকতে পারে। তবে আমাদের কিছু দৈনন্দিন অভ্যাসও আগেভাগে গঞ্জে হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।
advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমরা কী খাচ্ছি তার সরাসরি প্রভাব পড়ে আমাদের শরীর ও চুলের ওপর। প্রোটিন, আয়রন, বায়োটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ডি এবং জিঙ্কের অভাবে চুল দুর্বল হয়ে যায় এবং ভেঙে পড়তে থাকে। অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড, প্রসেসড এবং ভাজা খাবার চুলের গোঁড়াকে পুষ্টিহীন করে তোলে। এর ফলে স্ক্যাল্প শুকিয়ে যায় এবং চুল ঝরতে শুরু করে। চুল পড়া কমাতে খাবারে শাকসবজি, ফল, বাদাম, ডাল এবং দুধ যুক্ত করুন এবং প্রচুর জল খান।
advertisement
আধুনিক জীবনের তাড়াহুড়োর কারণে মানসিক চাপ একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠেছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ শরীরে কর্টিসল হরমোন বাড়িয়ে দেয়, যা চুলের বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে। রাতে ঘুম না হলে শরীরের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, ফলে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম ও যোগাসন বা ধ্যানের মাধ্যমে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করা জরুরি।
advertisement
বারবার হেয়ার কালারিং, স্ট্রেটেনিং, পার্মিং বা হাই হিট ব্লো ড্রাইং চুলের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এসব স্টাইলিং পদ্ধতি চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কেড়ে নেয় এবং স্ক্যাল্প শুকিয়ে যায়। সালফেট ও প্যারাবেনযুক্ত শ্যাম্পু চুলকে আরও বেশি দুর্বল করে তোলে। তাই হেরবাল বা প্রাকৃতিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করা উচিত। সপ্তাহে অন্তত ১–২ বার নারকেল, আমলা বা বাদামের তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন।
advertisement
ধূমপান ও অ্যালকোহল চুলের সবচেয়ে বড় শত্রু। সিগারেটের নিকোটিন ও টার রক্তসঞ্চালন ব্যাহত করে, যার ফলে স্ক্যাল্পে ঠিকমতো অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না। এর ফলে চুল পড়া শুরু হয়। অ্যালকোহল লিভারের কার্যক্ষমতা কমিয়ে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমা হতে দেয়, যা চুলের ক্ষতি করে। তাই এসব অভ্যাস ত্যাগ করাই ভালো। পুরোপুরি ছাড়তে না পারলে ধীরে ধীরে কমানো উচিত।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement