পৃথিবীতে মাত্র ১ জনের শরীরে আছে এই রক্তের গ্ৰুপ...! পাওয়া গেল বিশ্বের সবচেয়ে বিরল 'ব্লাড গ্ৰুপ', চমকে দেবে 'গবেষণা'!

সাধারণ জ্ঞান আমাদের প্রতি মুহূর্তে অবাক করে। কখনও দেশ বিদেশ নিয়ে এমন তথ্য সামনে আসে যা প্রায় কারও জানা নেই, আবার কখনও সাধারণ জ্ঞানের পরিধিতেই জানা যায় শরীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এমন অজানা তথ্য যা শুনলেই চমকে উঠতে হয়।

সাধারণ জ্ঞানের মাধ্যমে উঠে আসা এইসব নতুন নতুন তথ্য আমাদের চিরাচরিত ধ্যান ধারণাকেই আমূল পাল্টে দেয়। তাই এই সাধারণ জ্ঞানের চর্চা সবসময়ই মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। বিশেষ করে ছাত্র ছাত্রীদের ও চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এই জ্ঞানের নিয়মিত চর্চা খুবই জরুরি। Representative Image

যেমন আমরা যখনই রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে কথা বলি, তখন আমরা সাধারণত A, B, AB এবং O রক্তের গ্রুপের কথা মনে করি। AB রক্তের গ্রুপ হল সর্বজনীন গ্রহণকারী এবং O রক্তের গ্রুপ হল সর্বজনীন দাতা এই তথ্যও কম-বেশি সকলের আপনাদের জানা। Representative Image

পজিটিভ এবং নেগেটিভ বিরল রক্তের গ্রুপ রয়েছে সে কথাও জানি আমরা প্রায় সকলেই। তবে এর বাইরেও, আমরা এমন একটি রক্তের গ্রুপ খুঁজে পেয়েছি যা এখনও পর্যন্ত বিশ্বের মাত্র একজন ব্যক্তির মধ্যেই দেখা গিয়েছে। Representative Image

শুনেই নিশ্চই আকাশ থেকে পড়ছেন? নিশ্চই ভাবছেন, এটা কী ভাবে সম্ভব? কিন্তু এটাই সত্যি। আসুন এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত। Representative Image

'গুয়াডা নেগেটিভ' নামক এই বিরল রক্তের গ্রুপটি ২০১১ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল। সেই সময়, প্যারিসে বসবাসকারী এক মহিলাকে তাঁর অস্ত্রোপচারের আগে নিয়মিত রক্ত ​​পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়েছিল। সেই পরীক্ষার সময় রক্তে একটি অ্যান্টিবডি পাওয়া যায় যা সেই সময়ের কোনও পরিচিত রক্তের গ্রুপের সঙ্গেই মেলেনি। Representative Image

জানা যায়, ২০১১ সালে, প্রযুক্তিগত সম্পদ সীমিত ছিল, তাই সেই সময়ে আবিষ্কারটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। তবে, ২০১৯ সালে, বিজ্ঞানীরা নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং (এনজিএস) প্রযুক্তির সাহায্যে মহিলার রক্তের পুরনো নমুনাগুলি পুনরায় পরীক্ষা করেন এবং অবশেষে রহস্যের সমাধান করেন। Representative Image

এই রক্তের গ্রুপ এত বিরল কেন?
'গোয়াডা নেগেটিভ' বলতে বোঝায় রক্তে EMM অ্যান্টিজেনের সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি। EMM হল একটি উচ্চ-ঘটনাজনিত অ্যান্টিজেন, যা বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই বিদ্যমান। অতএব, এর অনুপস্থিতি একটি অনন্য এবং অত্যন্ত বিরল অবস্থা। তাই এই রক্তের গ্ৰুপ একটি বিরল গ্ৰুপ বলেই স্বীকৃত হবে। Representative Image

ইএফএসের প্রধান জীববিজ্ঞানী থিয়েরি পেয়ারার্ডের মতে, এই রক্তের গ্রুপটি তার বাবা এবং মা উভয়ের কাছ থেকে পরিবর্তিত জিন উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়ে তৈরি করা হয়েছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়ই হল, এই মহিলা কেবল তাঁর নিজের রক্তের সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার অর্থ হল সারা বিশ্বের অন্য কেউ তাঁকে রক্তদান করতে পারবেন না। যা বেশ উদ্বেগের। Representative Image

এর বৈজ্ঞানিক তাৎপর্য কী?
এই আবিষ্কারের তাৎপর্য কেবল রক্ত ​​জমাট বাঁধার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এই ধরনের বিরল রক্তের ব্যাধিতে ভুগছেন এমন রোগীদের জন্য নতুন আশার আলোও বয়ে আনতে পারে।

EFS-এর এক সরকারী বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "প্রতিটি নতুন রক্তের গ্রুপ শনাক্তকরণ স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন, বিশেষ করে যাঁদের রক্তের গ্রুপ খুবই বিরল তাঁদের জন্য তো বটেই।" Representative Image