Frequent Urination: ঘন ঘন প্রস্রাব পায়? দিনে কতবার প্রস্রাব করা উচিত? ৮-১০ বারের বেশি হলেই কি মহাবিপদ! শরীরের বারোটা বাজছে না তো? যা জানাচ্ছেন চিকিৎসক...

আমাদের শরীর প্রাকৃতিকভাবে প্রস্রাবের মাধ্যমে ময়লা বের করে দেয়। প্রস্রাবে অনেক বিষাক্ত পদার্থ এবং বর্জ্য পদার্থ থাকে। সকল মানুষকে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রস্রাব তৈরি হয় এবং শরীর পরিষ্কার থাকে। প্রস্রাবের মধ্যে লুকিয়ে আছে স্বাস্থ্যের অনেক রহস্য।

প্রস্রাবের মাধ্যমে অনেক রোগ সনাক্ত করা যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের ঘন ঘন প্রস্রাব করার জন্য তাড়াহুড়ো করতে হয়, অন্যদিকে জলশূন্যতার কারণে প্রস্রাবের পরিমাণ অনেক কম হয়। দিনে কতবার প্রস্রাব করা উচিত এবং ঘন ঘন প্রস্রাবের ইঙ্গিত কী তা ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক।

নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ অমরেন্দ্র পাঠক নিউজ১৮ কে বলেন যে, সাধারণত একজন ব্যক্তির দিনে ৪ থেকে ৮ বার প্রস্রাব করার প্রয়োজন হয়। তবে, বয়স, খাদ্যাভ্যাস, জল পানের অভ্যাস এবং শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে এটি সামান্য ওঠানামা করতে পারে।

যদি আপনি বেশি জল পান করেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার প্রস্রাব বেশি হবে। অ্যালকোহল, ক্যাফেইন বা অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খেলেও ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে। স্বাভাবিক প্রস্রাবের সংখ্যায় কিছু তারতম্য হতে পারে। অনেক মানুষ দিনে ১০ বারও প্রস্রাব করতে পারে।

ইউরোলজিস্ট বললেন যে আপনি যদি দিনে ৮ বারের বেশি প্রস্রাব করেন, তাহলে এটি অনেক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। যদি প্রস্রাবের ঘন সাধারণত, যদি ঘন ঘন প্রস্রাব হয়, তাহলে এটি ডায়াবেটিসের লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

নিম্ন রক্তচাপ, জলশূন্যতা এবং মূত্রনালীর সংক্রমণের কারণেও মানুষের ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা হতে পারে। কখনও কখনও অতিরিক্ত চাপ এবং উদ্বেগের কারণেও ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। যখন আপনি চাপ অনুভব করেন, তখন শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে, যা মূত্রাশয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি আপনি টানা বেশ কয়েকদিন ধরে ঘন ঘন প্রস্রাব করার প্রয়োজন অনুভব করেন এবং সেই সঙ্গে মাথা ঘোরাও অনুভব করেন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

ডাক্তার আপনাকে পরীক্ষা করে সঠিক কারণটি জানতে পারবেন। যদি কারণটি খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

যদি আপনি এই সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে এটিকে উপেক্ষা করবেন না এবং অবশ্যই একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।