PCOS: আপনার কি PCOS রয়েছে? বহু চেষ্টাতেও মা হতে পারছেন না? আজই ছাড়ুন রোজের এই ১০ খাবার, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

*পিসিওএস অর্থাৎ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম আজকাল মহিলাদের একটি সাধারণ সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে, লাইফস্টাইল পরিবর্তন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ এবং অনিয়মিত পিরিয়ড মহিলাদের এই সমস্যার অন্যতম কারণ। পিসিওএস থাকলে অনিয়মিত পিরিয়ড, বন্ধ্যাত্ব, ওজন বৃদ্ধি, মেজাজের পরিবর্তন, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত চুল পড়া, অবাঞ্ছিত রোম গজানো, ব্রণর মতো সমস্যা সৃষ্টি করে শরীরে। যদি পিসিওএস দীর্ঘ সময় ধরে অব্যাহত থাকে তবে নানা সমস্যা হতে পারে। এই কারণে মেটাবলিজম ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।

*পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট: সাদা রুটি, পাস্তা, চাল এবং প্যাকেটজাত সিরিয়ালগুলি এড়ানো উচিত কারণ তারা রক্তে শর্করার বৃদ্ধি করে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এগুলি ছাড়াও ওজন বৃদ্ধি, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং ফোলাভাবের মতো পিসিওএসের লক্ষণগুলি আরও খারাপ হয়।

*চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয়: মিষ্টি, পেস্ট্রি, সোডা এবং রস এড়ানো উচিত কারণ অত্যধিক চিনি ইনসুলিনের মাত্রা ব্যাহত করে, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে। এটি পিসিওএসের লক্ষণগুলি যেমন অনিয়মিত পিরিয়ড এবং ব্রণর সমস্যা অনেকগুণে বাড়িয়ে তোলে।

*দুগ্ধজাত দ্রব্য: চিনির সঙ্গে খুব বেশি দুধ, পনির এবং দই খাওয়া উচিৎ না। দই ইনসুলিন এবং অ্যান্ড্রোজেন উত্পাদন বাড়ায়। এটি পিসিওএস আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে ব্রণ, ওজন বৃদ্ধি এবং হরমোন ভারসাম্যহীনতার মতো লক্ষণগুলি বাড়তে সাহায্য করে।

*ভাজা খাবার: ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিপস এবং ভাজা মুরগিতে অস্বাস্থ্যকর চর্বি বা ট্রান্স ফ্যাট বেশি থাকে যা ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় শরীরের। এটি পিসিওএস আক্রান্তদের মধ্যে ওজন বৃদ্ধি এবং হরমোনের ভারসাম্য সৃষ্টি করে।

*প্রক্রিয়াজাত মাংস: শুয়োরের মাংস এবং হট ডগগুলিতে অস্বাস্থ্যকর চর্বি, সোডিয়াম এবং প্রিজারভেটিভ থাকে যা প্রদাহ এবং ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়ায়। ওজন বৃদ্ধি এবং অনিয়মিত পিরিয়ডের মতো পিসিওএসের লক্ষণগুলি আরও বাড়ে।

*কৃত্রিম সুইটেনার: ডায়েট সোডা, চিনিবিহীন ক্যান্ডি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলিতে পাওয়া কৃত্রিম সুইটনার অন্ত্রে ব্যাকটিরিয়ার আনাগোনা বাড়ায়। এটি খিদে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধকে আরও খারাপ করতে পারে। এটি পিসিওএসের লক্ষণগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

*সোয়া ভিত্তিক পণ্য: টফু এবং সোয়া দুধের মতো অতিরিক্ত সোয়া পণ্য ইস্ট্রোজেন ভারসাম্যকে ব্যাহত করে। এই কারণে তারা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা আরও খারাপ করে দেয়।

*গ্লুটেন: গম, বার্লি এবং রাই পিসিওএস আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে প্রদাহ এবং ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে। এতে ক্লান্তি এবং ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্যা বাড়ে।

*ট্রান্স ফ্যাট এবং হাইড্রোজেনেটেড তেল: মার্জারিন, বেকড পণ্য এবং প্রক্রিয়াজাত পণ্যগুলিতে পাওয়া ট্রান্সফ্যাট প্রদাহ, ইনসুলিন প্রতিরোধের এবং হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি করে। এগুলি ছাড়াও, ওজন বৃদ্ধি এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মতো পিসিওএসের লক্ষণগুলিকে বাড়িয়ে দেয়।

*ট্রান্স ফ্যাট এবং হাইড্রোজেনেটেড তেল: মার্জারিন, বেকড পণ্য এবং প্রক্রিয়াজাত পণ্যগুলিতে পাওয়া ট্রান্সফ্যাট প্রদাহ, ইনসুলিন প্রতিরোধের এবং হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি করে। এগুলি ছাড়াও, ওজন বৃদ্ধি এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মতো পিসিওএসের লক্ষণগুলিকে বাড়িয়ে দেয়।