Foamy Urine: প্রস্রাবে ফেনা, বুদবুদ? ঘোলাটে প্রস্রাব? সাবধান... এগুলো কিন্তু এই মারাত্মক রোগের প্রথম উপসর্গ
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
Last Updated:
কিডনি যে ভাল নেই, তার অন্যতম প্রাথমিক লক্ষণ হল প্রস্রাবে ফেনা হওয়া। তবে আমরা অধিকাংশ সময়ে এই উপসর্গকে অবহেলা করি
আমরা অনেক সময় শরীরের ছোটখাটো উপসর্গকে গুরুত্ব দিই না! পরে গিয়ে বুঝতে পারি কতটা বড় ভুল হয়ে গিয়েছে! প্রাথমিক সতর্কবার্তার ক্ষেত্রে যে অঙ্গটি সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত, সেটি হল কিডনি। কিডনি শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বার করে দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তরলের ভারসাম্য বজায় রাখে। রক্ত থেকে অতিরিক্ত তরল ও বিষাক্ত পদার্থ ছেঁকে ফেলে কিডনি। কাজেই কিডনি অসুস্থ মানে আপনিও সুস্থ নন
advertisement
ওষুধের মাধ্যমে কিডনির ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলেও, সম্পূর্ণভাবে কিডনিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা খুবই বিরল। কিডনির ক্ষতি নানা কারণে হতে পারে—যেমন ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (CKD), আঘাত, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অটোইমিউন রোগ, বা সংক্রমণ। তবে শরীর সাধারণত আগেভাগেই কিছু সংকেত দেয়, যার অনেকটাই আমরা খেয়াল করি না। কিডনি ফেলিওর-এর ক্ষেত্রে শরীর প্রথম কোন সংকেত দেয় জানেন?
advertisement
প্রথম সতর্কবার্তা-- কিডনি যে ভাল নেই, তার অন্যতম প্রাথমিক লক্ষণ হল প্রস্রাবে ফেনা হওয়া। তবে আমরা অধিকাংশ সময়ে এই উপসর্গকে অবহেলা করি। প্রস্রাবে ফেনা বলতে বোঝায়, টয়লেটের কমোডে স্থায়ীভাবে বুদবুদ থাকা। শক্ত ধারা দিয়ে প্রস্রাব হলে কিছু বুদবুদ হওয়া স্বাভাবিক এবং সেগুলো দ্রুত মিলিয়ে যায়, কিন্তু বারবার ও স্থায়ীভাবে ফেনা হওয়া স্বাভাবিক নয়। এর অর্থ, প্রস্রাবে প্রোটিন রয়েছে যার ডাক্তারি পরিভাষা হল ‘প্রোটিনিউরিয়া’।
advertisement
কেন প্রস্রাবে ফেনা হয়?--সুস্থ কিডনি বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে ফেলে এবং প্রোটিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ধরে রাখে। কিন্তু কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই ফিল্টারগুলো ফুটো হতে শুরু করে। ফলে প্রোটিন, বিশেষ করে অ্যালবুমিন, প্রস্রাবে চলে যেতে পারে, ফলে প্রস্রাবে ফেনা হয়—যেমন ডিমের সাদা অংশ ফেটে গেলে ফেনা তৈরি হয়।
advertisement
advertisement
কেন বেশিরভাগ মানুষ এই লক্ষণ উপেক্ষা করেন? অনেকেই মনে করেন, প্রস্রাবে ফেনা হওয়া শরীরে জলের অভাবের কারণে হয়। যেহেতু এতে ব্যথা হয় না, তাই একে খুব কমই গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে প্রস্রাবে ফেনা হওয়া মূত্রনালির সংক্রমণ, কিডনির পাথর, বা কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সঙ্গেও যুক্ত থাকতে পারে। কাজেই এই সমস্যা ঘনঘন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন