ইলিশ, মৌরলা, ছাড়ুন...! এই 'মাছ' সপ্তাহে দু'বার খেলেই ছুমন্তর, ভিটামিন D ঠাসা, ঠেকায় চুল পড়া, শক্ত করে হাড়, নাম শুনলেই হুড়মুড়িয়ে ছুটবেন বাজার!

মাছ বাঙালিদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি আমিষ পদ। চিকেন, খাসির মাংস, ডিম বা সবজি যাই হোক না কেন, যদি পাতে মাছ না পরে, দুপুরের খাবার জমেই না। তবে বেশিরভাগ মানুষ এক্ষেত্রে চিরাচরিত রুই কাতলা জাতীয় মাছই খেতে পছন্দ করেন।

কিন্তু জানলে অবাক হবেন যে রুই কাতলা মায় ইলিশকেও দশ গোল দিতে পারে পুষ্টি ও স্বাদে এমন একটি মাছ এখন আছে আপনার হাতের নাগালের মধ্যেই। জিভে জল আনা স্বাদের সস্তার এই মাছের সামনে কোথাও দাঁড়াতেই পারবে না পুটি থেকে পার্শে।

একদিকে যেমন এই মাছটি পুষ্টির এক অব্যর্থ খনি। তেমনই নিয়ম করে সপ্তাহে দু'দিনও যদি আপনি এই মাছটি খান, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই চুল পড়ার মতো সাধারণ সমস্যাও ম্যাজিকের মতো বন্ধ হতে পারে।

অনেকেই ইলিশ, মৌরলা, কাতলা মাছ পছন্দ করেন। এর মধ্যে ইলিশ মাছ নামটি শুনলেই তো আবেগে ভাসতে থাকেন অনেকেই। তবে, মাছের বাজার থেকে কোন মাছটি কিনবেন তা যদি বাছতে চান আপনার নিজের ও পরিবারের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে তাহলে একটু দাঁড়ান, শুনে নিন সবটা।

হাড়ের রোগীরা ভাল করে শুনুন হাড় নতুন জীবন পেতে পারেন আপনারাও, গায়েব হবে ব্যথা, শরীর চনমনে তরতাজা হয়ে উঠবে এই একটি মাছ নিয়মে খেলেই। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই মাছ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত। বুঝে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞদের মত।হাড়ের রোগীরা ভাল করে শুনুন হাড় নতুন জীবন পেতে পারেন আপনারাও, গায়েব হবে ব্যথা, শরীর চনমনে তরতাজা হয়ে উঠবে এই একটি মাছ নিয়মে খেলেই। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই মাছ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত। বুঝে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞদের মত।

কোন মাছ আপনার বয়সের ঘড়ি উল্টো দিকে ছোটাবে, আর কোন মাছই বা খেলে ত্বকের উজ্জবলতা জেলা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে আপনা থেকেই, কন্ট্রোলে থাকবে সুগার থেকে কোলেস্টেরল, এটা জানা জরুরি।

এই মাছ কিন্তু ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগকেও ম্যাজিকের মতো দূরে রাখে। মাছ কেবল সেরা আমিষ খাবারই নয়। এটি একটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবেও পরিচিত।

আজ আমরা এই প্রতিবেদনে এমনই এক মাছের উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জানাচ্ছি। এই মাছ দেখতে ছোট হতে পারে কিন্তু এটি পুষ্টির এক শক্তিশালী আধার। এক কথায়, টুনা মাছ ক্যালসিয়ামে ভরপুর এক আমিষ খাবার। যার গুণ শুনলেই আকাশ থেকে পড়বেন।

নয়াদিল্লির ডায়েটিশিয়ান পুনম দুনেজা বলেন যে টুনা মাছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড় মজবুত করার জন্য প্রয়োজনীয়। এর পাশাপাশি, এতে নিয়াসিন, সেলেনিয়াম, ফসফরাসের মতো উপাদান রয়েছে যা চুলকে পুষ্টি জোগায়। তাই, সপ্তাহে দু'দিনও যদি এটি খাওয়া হয়, তাহলে চুল পড়া বন্ধ হতে পারে।

আজকাল অনেকেই রেস্তোরাঁয় এই মাছের স্বাদের জন্য এর নানা খাবার অর্ডার করেন। কিন্তু বাড়িতে রান্না করলে এর স্বাদ অন্যরকম হয়, আর কেনার সময় দাম নিয়েও ভাবতে হয় না। এই টুনা মাছের স্বাস্থ্য উপকারিতা সবটা জানলে আপনি সপ্তাহে অন্তত দুবার এই মাছটি রান্না করতে চাইবেনই।

এটি বাজারের সবচেয়ে সস্তা বাজেট মাছগুলির মধ্যে একটি। এই টুনা মাছ মানসিক চাপের প্রভাব প্রতিরোধ করে। মন থাকে তরতাজা।

নিউ দিল্লির পুনম ডায়েট অ্যান্ড ওয়েলনেস ক্লিনিকের নিউট্রিফাই-এর সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান পুনম দুনেজা নিউজ18-কে দেওয়া পরামর্শে বলেন, "শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি কমাতে ট্রাউট, স্যামন, টুনা এবং ম্যাকেরেলের মতো ফ্যাটি মাছ খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। মাছের তেল খাওয়াও উপকারী। তাই টুনা মাছ খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।"

আকারে ছোট কিন্তু চকচকে, এই রূপালী মাছটির পিঠ নীল-সবুজ এবং মুখ ধারালো ত্রিভুজাকার। এর কেবল কাঁটাযুক্ত লেজ আছে, কিন্তু পাখনা নেই। এটি সাঁতার কাটে। এটি তার লেজ দিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এটি সর্বোচ্চ ২১ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

এই টুনা মাছ ভারত মহাসাগর এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে বাস করে। এই মাছগুলি খাবারের জন্য জলে দলবদ্ধভাবে চলাচল করে। তাদের খাদ্যতালিকায় রয়েছে ছোট ছোট জীব, মাছের ডিম এবং সমুদ্রের উদ্ভিদে সঞ্চিত শৈবাল।

এ কারণেই টুনা একটি দুর্দান্ত উপাদেয় মাছ। কেবল মাছ হিসেবেই নয়, গর্ভবতী মহিলাদের জন্যও এই মাছের স্বাদ ব্যতিক্রমী। এগুলি প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে ​​পাওয়া যায়, যা মাছ প্রেমীদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয়।