Fatty Liver Home Remedies: পচবে না লিভার! নোংরা চর্বি গলগলিয়ে সাফ! ১ কাপ সবুজ রসে ফ্যাটি লিভারের ছুটি!

ফ্যাটি লিভার রোগ এমন একটি রোগ যা নীরবে লিভারকে ফাঁপা করতে শুরু করে। এটি একটি গুরুতর সমস্যা যা ধীরে ধীরে বেড়ে যায়। একটি সমীক্ষা অনুসারে, ভারতে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন ফ্যাটি লিভার ডিজিজের শিকার। সমস্যা হল যে বেশিরভাগ মানুষ জানেনই না যে তাদের এই রোগ আছে।

ফ্যাটি লিভার মানে লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমা। যখন এই চর্বি লিভারের মোট ওজনের ৫ থেকে ১০ শতাংশে পৌঁছায়, তখন তাকে ফ্যাটি লিভার বলা হয়। আমাদের ভুল খাদ্যাভ্যাস ফ্যাটি লিভার ডিজিজের জন্য মূলত দায়ী। এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ। আয়ুর্বেদে এর আরও ভাল চিকিৎসা করা যেতে পারে। বলছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাভসর।

ফ্যাটি লিভার এমন একটি অবস্থা যেখানে লিভারের হজম শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং চর্বি সঠিকভাবে হজম হতে পারে না। ফ্যাটি লিভারের অনেক কারণ থাকতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন, যা সরাসরি লিভারের ক্ষতি করে। তবে, অ্যালকোহলবিহীন ফ্যাটি লিভারের জন্য অ্যালকোহল দায়ী নয়। এটি একটি দুর্বল জীবনধারার কারণে হয়।

স্থূলতা, তৈলাক্ত এবং ফাস্ট ফুডের অতিরিক্ত ব্যবহার, ডায়াবেটিস, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা এবং ব্যায়ামের অভাব, নির্দিষ্ট ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার, মানসিক চাপ এবং অনিয়মিত জীবনধারাও দায়ী হতে পারে। আয়ুর্বেদের মতে, যখন শরীরে চর্বি জমা হয় এবং অগ্নি (আগুন) দুর্বল হয়ে যায়, তখন লিভারের কোষগুলি চর্বি ভাঙতে অক্ষম হয়, যার ফলে ফ্যাটি লিভার হয়।

কিছু আয়ুর্বেদিক ঘরোয়া প্রতিকার এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকর হতে পারে। প্রতিদিন সকালে আমলকির রস পান করলে লিভার বিষমুক্ত হয়। হলুদের দুধ লিভারের প্রদাহ কমায়। ত্রিফলা গুঁড়ো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং লিভার পরিষ্কার করে। নিম এবং গিলয় শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। পেঁপে এবং রসুন লিভারের চাপ কমায় এবং চর্বি কমায়।

লিভারকে শক্তিশালী করার জন্য একসাথে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমত, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন। আস্ত শস্য, ফল, সবুজ শাকসবজি এবং শুকনো ফল প্রাকৃতিকভাবে খান। বাইরে থেকে অতিরিক্ত তেল এবং মাখনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। আপনার খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, মরশুমি ফল, আস্ত শস্য, ডাল এবং পর্যাপ্ত জল অন্তর্ভুক্ত করুন। চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।

খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি, জীবনযাত্রার উন্নতি অপরিহার্য। ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন কমপক্ষে 30 মিনিট হাঁটুন, যোগব্যায়াম এবং প্রাণায়াম অনুশীলন করুন এবং অ্যালকোহল এবং ধূমপান এড়িয়ে চলুন।