Eye Cancer Symptoms: আচমকাই ঝাপসা দেখছেন? চোখ লাল? সাবধান...এটি 'চোখের ক্যানসার'-এর প্রাথমিক লক্ষণ! '৭' উপসর্গের একটিও থাকলে আজই ডাক্তার দেখান

*চোখের ক্যানসার (Eye Cancer) হল চোখের মধ্যে বা চারপাশে অস্বাভাবিক কোষের বৃদ্ধি। এটি চোখের বিভিন্ন অংশে যেমন রেটিনা, ইউভিয়া, বা চোখের পাতার চারপাশে বিকশিত হতে পারে। চোখের ক্যানসারের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে এবং প্রত্যেকটির নিজস্ব লক্ষণ ও চিকিৎসা রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

*চোখ আমাদের শরীরের অন্যতম স্পর্শকাতর অঙ্গ। সেই চোখ আম্মাদের পৃথিবী দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হলে কোনও কাজই সঠিকভাবে করা যায় না। চোখের ক্যানসারের ঘটনা বাড়ছে ক্রমেই। যদি লক্ষণগুলি তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা না যায় এবং চিকিৎসা না করা হয়, তবে তারা স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে।

*অকুলার ক্যানসার (Ocular cancer) খুবই বিরল রোগ। প্রথমে, তার লক্ষণগুলি খুব সুস্পষ্ট বোঝা যায় না। তবে, যদি কিছু লক্ষণ লক্ষ্য করা যায়, তবে অবিলম্বে একটি স্ক্রিনিংয়ের পরামর্শ দেওয়া হয়।

*ক্যানসার কীভাবে চোখে আসে? চোখের ক্যানসার। চোখের ভিতরে বা চারপাশের টিস্যুগুলিকে প্রভাবিত করে। তিন ধরণের ক্যানসার রয়েছে, বিশেষত চোখের সঙ্গে সম্পর্কিত। ইন্ট্রাওকুলার মেলানোমা, যা প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। শিশুদের মধ্যে রেটিনোব্লাস্টোমা এবং দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে লিম্ফোমা।

*চোখের বিভিন্ন অংশে যেমন আইরিস এবং রেটিনা বা চোখের চারপাশের টিস্যুতে ছড়িয়ে যেতে পারে। চোখের অভ্যন্তরে ক্যানসার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষণগুলি ধীরে ধীরে উপস্থিত হয়। ফলে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।

*দৃষ্টিশক্তি লোপ পাওয়াঃ চোখের ক্যানসারের প্রথম লক্ষণ হল ঝাপসা দৃষ্টি। প্রথমে চোখ ঝাপসা দেখায়। এতে মনোযোগ দিতে অসুবিধা হয়। লাইনগুলো আঁকাবাঁকা লাগে। ধীরে ধীরে কোনও বস্তু আর পরিষ্কার দেখা যায় না। এটি এক চোখ বা উভয় চোখে ছড়িয়ে যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে সঠিকভাবে রঙ শনাক্ত করতে পারে না।

*ব্যথা, লালভাবঃ চোখে ব্যথা বা লাল হয়ে যাওয়া চোখের ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ। এটি শিখা হিসাবে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। এটি চোখে টিউমারগুলির কারণে হয়।

*ঝলকানিঃ চোখের ক্যানসারের ক্ষেত্রে এটি দেখার সময় চকচকে বা অন্ধকার দাগের উপস্থিতি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। অন্ধকার দাগগুলি ভাসমান ছায়া হিসাবে উপস্থিত হয়। এটি চোখের কোষগুলির ছোট গ্রুপ বা চোখের তরল দ্বারা সৃষ্ট হতে পারে। কখনও কখনও এগুলি ঘটে যখন টিউমার রেটিনার উপর চাপ প্রয়োগ করে।

*ফোলা ফোলা চোখঃ যখন কোনও টিউমার চোখের পিছনে বা উপরে বৃদ্ধি পায় তখন একটি চোখ ফুলে যায়। চোখের চারপাশের পিণ্ডগুলি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। টিউমারটি বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি চোখের বল সামনের দিকে ঠেলে দেয়। যদিও এটি প্রথমে একটি ছোট ইঙ্গিত বলে মনে হতে পারে। আসতে আসতে স্পষ্ট হতে থাকে।

*চোখে দাগঃ চোখের আইরিশ বা সাদা অংশে নতুন কালো দাগ দেখা দিলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এগুলো বিভিন্ন আকারের হয়ে থাকে। ধীরে ধীরে আকৃতি বদলায়। তারা ভেদ করে বের হয়ে যায়, চোখ বন্ধ থাকলে চোখের পাতা এখন খারাপ হয়ে যায়। রং গাঢ় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণ জন্ম চিহ্নগুলির বিপরীতে, ক্যানসারযুক্ত (অকুলার ক্যানসার) দাগগুলি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। নতুন গঠিত বা ক্রমবর্ধমান দাগগুলি পরীক্ষা করা আবশ্যক।

*পার্শ্ব দৃষ্টিশক্তি হ্রাসঃ মাথা না ঘুরিয়ে আশপাশের বস্তু দেখতে না পারাটাও চোখের ক্যানসারের লক্ষণ। একে পেরিফেরাল ভিশন লস বলা হয়। এটি ঘটে কারণ ক্যানসার রেটিনা বা অপটিক স্নায়ুর ক্ষতি করে। এই শর্তযুক্ত লোকেরা সর্বদা জিনিসগুলি ফেলে দেওয়া এবং কম আলোতে দেখতে অসুবিধা হওয়ার মতো সমস্যার মুখোমুখি হন।

*আইরিসে পরিবর্তনঃ চোখের মণি সাধারণত গোলাকার হয়। এটি সমান আকারের হওয়া উচিত। যদি এটি অস্বাভাবিক বা বৃত্তাকার না হয়ে ডিম্বাকৃতি আকারে পরিণত হয় বা এটি যদি আলোতে সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া না দেখায় তবে এর অর্থ কিছু সমস্যা রয়েছে।