ঠিক কীভাবে নুন খান আপনি? খুব সাবধান! হৃদরোগ হতে পারে... এখনই সতর্ক না হলে কপালে ফাঁড়া
- Published by:Rachana Majumder
- Reported by:Trending Desk
Last Updated:
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) কর্তৃক প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ এখন সারা দেশে নীরবে ছড়িয়ে পড়া স্বাস্থ্য হুমকিতে পরিণত হয়েছে।
advertisement
advertisement
advertisement
মহারাষ্ট্র-ভিত্তিক ডায়েটিশিয়ান ডা. সন্তোষ নেভপুরকর এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন। আমাদের শরীরের আসলে খুব কম লবণের প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবে, আমরা যে খাবার খাই তাতে প্রচুর লবণ পাই। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে বারবার এটি গ্রহণ করলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে রক্তনালী শক্ত হয়ে যায় এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়।
advertisement
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, একজন ব্যক্তির প্রতিদিন ৫ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ভারতে অনেক মানুষ ১০ গ্রাম পর্যন্ত লবণ গ্রহণ করে। বিশেষ করে বাইরে খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি, প্যাকেটজাত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে, লবণের পরিমাণও অজান্তেই বাড়ছে।
advertisement
পাঁপড়, মশলা পাঁপড়, ফারসান, নমকিন এবং পকোড়ার মতো খাবার যা আমরা প্রতিদিন না জেনে খাই, তাতেও লবণের পরিমাণ বেশি থাকে। এছাড়াও, হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় ব্যবহৃত সমস্ত মশলা লবণের সঙ্গে মিশ্রিত থাকে। যদি সেগুলি ঘন ঘন খাওয়া হয়, তাহলে শরীর অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ করে। এই অতিরিক্ত লবণের প্রভাব একটি নয়, দুটি।
advertisement
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এটি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদযন্ত্রের ধমনীর দৈর্ঘ্য হ্রাস, কিডনির কার্যকারিতা ব্যাহত হওয়া, পেটে ফোলাভাব, জল ধরে রাখা বৃদ্ধি, হজমের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা, চুল পড়া, মানসিক চাপ, হাড়ের দুর্বলতা, দৃষ্টি সমস্যা ইত্যাদির মতো অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এগুলি একই সঙ্গে ঘটবে না, কিন্তু, এগুলি এমনভাবে কাজ করে যা শরীরের ভেতর থেকে ক্ষতি করে।
advertisement
এই কারণেই লবণকে 'নীরব ঘাতক' বলা হয়। এটি একবারে হুমকিতে পরিণত হয় না। এটি এমন একটি হুমকি হিসাবে কাজ করে যা দীর্ঘমেয়াদে ধীরে ধীরে শরীরকে গ্রাস করে। বিশেষ করে যদি অল্প বয়সে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়, তাহলে ডায়াবেটিস, রক্তচাপ এবং হৃদরোগ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই আক্রমণ করার সম্ভাবনা থাকে।
advertisement
advertisement
এটি আয়ুর্বেদের আদর্শ লবণ হিসাবে বিবেচিত হয়। সপ্তাহে অন্তত একবার লবণমুক্ত খাবার খেয়ে আমরা শরীরকে বিষমুক্ত করতে পারি। যদি লবণ পরিমিত পরিমাণে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা সুস্বাদু। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা বিষ। যদি আমরা পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস করি, তাহলে আমরা অনেক মারাত্মক রোগ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি। তাই আজ থেকেই এই ছোট্ট পরিবর্তনটি শুরু করতে হবে এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।