ডিমের নানা পদ খেতে কে না ভালবাসে। সে সাধারণ ডিম সেদ্ধই হোক কিংবা ডিমের অমলেট - নাম শুনলেই জিভে আসে জল। কিন্তু ডিম সেদ্ধ করার সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একটা সমস্যার সম্মুখীন হই আমরা। আর সেটা হল - ডিমের উপরের খোসা ফেটে যাওয়া। যার ফলে ওই ফাটা অংশ দিয়ে ডিমের সাদা অংশ বেরিয়ে এসে তা সেদ্ধ করার জলে মিশে যায়। ফলে ওই ডিমটা আর খেতে ইচ্ছে করে না।
স্বাভাবিক তাপমাত্রা জরুরি: অধিকাংশ মানুষই ফ্রিজে ডিম রাখেন। আর তা ফ্রিজ থেকে বার করেই সরাসরি রান্না করে ফেলেন। এটাই সবথেকে বড় ভুল। রান্না করার কিছুক্ষণ আগে ডিম ফ্রিজ থেকে বার করে রাখতে হবে। যাতে তা ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসতে পারে। নাহলে ফ্রিজ থেকে বার করা ঠান্ডা ডিম সরাসরি ফুটন্ত জলে দিলে তা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
১০ মিনিট মতো এভাবে রেখে দিলে ডিম সেদ্ধ হয়ে যাবে। একসঙ্গে অনেক ডিম নয়-
সেদ্ধ করার সময় অতিরিক্ত বেশি ডিম একসঙ্গে নেওয়া উচিত নয়। আসলে জল ফুটতে থাকলে এক-একটি ডিমের সঙ্গে অন্য ডিমের ধাক্কা লাগে। তাই ছোট পাত্র ব্যবহার করলে তাতে ৩-৪টির বেশি ডিম সেদ্ধ করা যাবে না। আর বেশি সংখ্যক ডিম সেদ্ধ করার ক্ষেত্রে বড় পাত্র ব্যবহার করতে হবে। ভিনিগার--এটা সবথেকে কার্যকরী উপায়। এর জন্য পাত্রে জল ভরতে হবে। তার মধ্য যতগুলি ডিম সেদ্ধ করা হবে, তত পরিমাণ এক চা-চামচ করে ভিনিগার ওই জলে যোগ করতে হবে। এবার গ্যাসে চাপিয়ে পাত্রটি চাপিয়ে ডিম সেদ্ধ করে নিতে হবে।
ডিম সেদ্ধ করার সঠিক উপায়: একটি পাত্রের অর্ধেক অংশ জল দিয়ে ভরতে হবে। এর পর তা গ্যাসে চাপাতে হবে। লবণ অথবা ভিনিগার যোগ করে তা ফুটতে দিতে হবে। এবার ঘরের তাপমাত্রায় থাকা ডিম ওই ফুটন্ত জলে যোগ করতে হবে। ডিমগুলি কিন্তু ধীরে ধীরে যোগ করতে হবে। এর পর পাত্রটিতে একটি ঢাকনা চাপা দিতে হবে। এর পর ১০-১২ মিনিট মতো রেখে দিতে হবে। সেদ্ধ করার সময় মাঝারি আঁচে রাখা উচিত। এক বার সেদ্ধ হয়ে গেলে ডিমগুলি একটা ঠান্ডা জল ভর্তি পাত্রে রাখতে হবে ৩-৪ মিনিট মতো।