Durga Puja 2021|| চায়ের কাপের ওপরে জমবে মিষ্টির মেঘ! Bianco-র চায়ের সঙ্গে ইতালীয় রসনায় জমে উঠুক আপনার পুজো

*পুজোর চারদিনের রুটিনটাই হবে আলাদা। এই ক'টা দিন না থাকবে অফিস, না হবে পড়াশোনা, সমস্ত গতে বাঁধা জীবনের ছুটি। এই ক'টা দিন আপামোর বাঙালি হয়েও আমরা সকলে বিশ্বনাগরিক। সকালে জিন্স টপ থেকে, রাতে লাল পাড় সাদা শাড়ি। দুপুরের পাতিয়ালা তো রাতে লেহেঙ্গা। সকালে ফর্মাল হলে রাতে জমিয়ে ধুতি-পাঞ্জাবি। পেটপুজোতেও পিছিয়ে নেই। কোনওদিন পোলাও-মাংস ফুলকো লুচি, কোনও দিন আবার বিরিয়ানি চিকেন চাপ। সকালটা কচুরি জিলিপিতে শুরু হয়ে, বিকেলটা শেষ হতেই পারে গ্রিলড চিকেন বা ডেভিল'স ক্র্যাবের সঙ্গে।

*চার সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে মা দুর্গা বলেন, "আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে"। বাঙালি মানেই তো, মনের সুখে মধ্যপ্রদেশকে বাড়িয়ে নিয়ে চলা। কে না জানে, আমরা দুধে ভাতে থাকতে বড্ড পছন্দ করি। আর পুজো এলে তো ডায়েট ফায়েট সব গুলি মারো। তবু তার মধ্যেও যারা, পারফেক্ট শেপের মায়া ছাড়তে পারেন না, তাদের জন্য কন্টিনেন্টাল আর দেশীয় স্বাদের তুখোড় মেলবন্ধন করেছে Bianco। ইতালি, নেদারল্যান্ড, USA-র বিভিন্ন ডেলিকেসিকে এনে দিয়েছে আম বাঙালির পাতে।

*নতুন এই ক্যাফেটেরিয়ার অভিনবত্ব এদের অবস্থানে। মায়ের আরতির ঢাকের আওয়াজ শুনতে শুনতে বা সন্ধিপুজোর মন্ত্রোচ্চারণের ধ্বনি কানে নিয়েই মনোনিবেশ করতে পারেন এদের অভিনব খাদ্যতালিকায়। যাতায়াতের পথে টুক করে টুকি মেরে নেবেন, একডালিয়ার মন্ডপের অন্দরে। খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে মাতৃদর্শন, আর কী চাই? ঠিকানা তো বলা হয়েই গেল, বালিগঞ্জের নামকরা পুজো একডালিয়ার মন্ডপের একেবারে গা ঘেঁষে যে ফুটপাথ, তারই উপরে এই ক্যাফেটেরিয়া।

*Bianco-র মালিক রোহন পারিয়ার জানালেন, মিলানে দীর্ঘদিন ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে লেখাপড়া করার সময় বিভিন্ন দেশের খাবারের সঙ্গে পরিচিত হন তিনি। তখন থেকেই ইচ্ছা হয় নিজের প্রিয় শহরকে নানা রকম অভিনব স্বাদ উপহার দেবেন। সেই থেকেই শুরু হয় Bianco- র পথ চলা। তিলোত্তমার কাছে পুজোর আবেগই আলাদা। তাই রোহন মাথা খাটিয়ে পুজো স্পেশাল হরেক পদ নিয়ে হাজির বাঙালির কাছে।

*তবে সত্যি বলতে পুজো কিন্তু ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজো আসছে, পুজো আসছে এই ভাবটাই তো আসল পুজো। তাই Bianco- তে পুজো স্পেশাল মেনুও চলে এসেছে গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে। চলবে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। পুজোর কটা দিন দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত খোলা থাকবে ক্যাফেটেরিয়া।

*এ বার আসা যাক আসল কথায়। কী কী থাকবে মেনুতে? তার খরচাই বা কেমন? তবে মেনু বা খরচা জানার আগে এটুকু নিশ্চিত থাকুন সব খাবারেই থাকবে আপাদমস্তক অভিনবত্বের ছোঁয়া। গোটা শহর ঢু মারলেও এমনটি আর দ্বিতীয় কোথাও পাবেন কিনা সন্দেহ। ধরুন সেকেন্ড ফ্ল্যাশ প্রিমিয়াম দার্জিলিং টি- য়ের ওপর মিষ্টির মেঘ থেকে ঝরে পড়া মিষ্টত্ব... যার পোশাকি নাম ড্রিজলিং টি। গলা ভিজাতে চাইলে পানীয় হিসেবে টেবিলে হাজির হতে পারে ক্যাকটাসের নির্যাস দিয়ে তৈরি মোহিতো।

*আবার ডাব চিংড়ি রসিতোতে ডাবের মধ্যে চিংড়ির সঙ্গে ইতালিয় এক ধরনের খিচুড়ির আজব মিশ্রণটি খেতে কিন্তু দুর্দান্ত। লবসস্টার থার্মিডর নামক ডিশটিও চেখে না দেখলেই নয়। শেষ পাতে পাবেন কিউই মিল্কশেক, শসা আর গন্ধরাজের ঘোল... আরও কত কিছু।

*তাহলে আর দেরি কিসের। শুধু পুজো নয়, পুজোর আগে-পরে, যখন খুশি ঢু মেরেই আসুন Bianco- এর অন্দরে। গড়িয়াহাটে শপিং করতে গিয়ে পেট বাবাজিকে শান্ত করতে অথবা প্যান্ডেল হপিং এর সময় Bianco থাকুক আপনার প্রাইম লিস্টে।