রাতে ফ্যান চালিয়ে ঘুমোন? আরামে না থেকে হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি! ৯৯ শতাংশ মানুষই জানেন না এই বিপদের কথা! 

Last Updated:
Fan Health Risks: ফ্যান আরাম দিলেও প্রতিরাতে চালিয়ে ঘুমানো শরীরের জন্য ধীরে ধীরে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। যে বিপদের কথা ৯৯% মানুষই জানেন না!
1/11
সারা দিন গরমে নাজেহাল হওয়ার পর রাতে ফ্যানের বাতাস যেন স্বর্গসুখ। কিন্তু জানেন কি, প্রতিদিন ফ্যান চালিয়ে ঘুমোলে শরীরে বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে?
সারা দিন গরমে নাজেহাল হওয়ার পর রাতে ফ্যানের বাতাস যেন স্বর্গসুখ। কিন্তু জানেন কি, প্রতিদিন ফ্যান চালিয়ে ঘুমোলে শরীরে বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে?
advertisement
2/11
ফ্যান যতই আরামদায়ক হোক, তাতে লুকিয়ে রয়েছে কিছু বিপদের সম্ভাবনাও। দেখে নেওয়া যাক, ঠিক কোন কোন স্বাস্থ্যঝুঁকি লুকিয়ে আছে নিয়মিত ফ্যান চালিয়ে ঘুমোনোর অভ্যাসে।
ফ্যান যতই আরামদায়ক হোক, তাতে লুকিয়ে রয়েছে কিছু বিপদের সম্ভাবনাও। দেখে নেওয়া যাক, ঠিক কোন কোন স্বাস্থ্যঝুঁকি লুকিয়ে আছে নিয়মিত ফ্যান চালিয়ে ঘুমোনোর অভ্যাসে।
advertisement
3/11
ফ্যান শুধু হাওয়া দেয় না, সেই সঙ্গে ঘরের ধুলো, ময়লা, পোলেন, এবং পোষা প্রাণীর লোমও ছড়িয়ে দেয়। ফ্যানের ব্লেডে জমে থাকা ধুলো বাতাসের সঙ্গে মিশে যায়। যাঁদের আগে থেকেই অ্যালার্জি বা অ্যাজমা আছে, তাঁদের হাঁচি, কাশি, চোখে চুলকানি বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এর চেয়ে ভালো, এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন — ঘর ঠান্ডাও থাকবে, বাতাসও হবে পরিশ্রুত।
ফ্যান শুধু হাওয়া দেয় না, সেই সঙ্গে ঘরের ধুলো, ময়লা, পোলেন, এবং পোষা প্রাণীর লোমও ছড়িয়ে দেয়। ফ্যানের ব্লেডে জমে থাকা ধুলো বাতাসের সঙ্গে মিশে যায়। যাঁদের আগে থেকেই অ্যালার্জি বা অ্যাজমা আছে, তাঁদের হাঁচি, কাশি, চোখে চুলকানি বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এর চেয়ে ভালো, এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন — ঘর ঠান্ডাও থাকবে, বাতাসও হবে পরিশ্রুত।
advertisement
4/11
অনেকেরই মতে, ফ্যানের আওয়াজ ঘুম আনতে সাহায্য করে। কিন্তু যাঁরা হালকা ঘুমোন, তাঁদের কাছে এই শব্দটা বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারে। এক্ষেত্রে হোয়াইট নয়েজ মেশিন ব্যবহার করতে পারেন, যা ঘুমোনোর সময় আরও ভালো কাজ দেয়।
অনেকেরই মতে, ফ্যানের আওয়াজ ঘুম আনতে সাহায্য করে। কিন্তু যাঁরা হালকা ঘুমোন, তাঁদের কাছে এই শব্দটা বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারে। এক্ষেত্রে হোয়াইট নয়েজ মেশিন ব্যবহার করতে পারেন, যা ঘুমোনোর সময় আরও ভালো কাজ দেয়।
advertisement
5/11
সকালে ঘুম থেকে উঠে শরীরে টান টান লাগে? এর কারণ হতে পারে রাতভর ফ্যানের ঠান্ডা হাওয়া। এই ঠান্ডা বাতাস রাতে ঘুমোনোর সময় মাসল টাইট করে দিতে পারে, যার ফলে সকালে উঠে গা ব্যথা, জয়েন্টে টান পড়তে পারে। বিশেষ করে যাঁদের আর্থ্রাইটিস আছে, তাঁদের জন্য এটা একেবারেই অনুপযুক্ত।
সকালে ঘুম থেকে উঠে শরীরে টান টান লাগে? এর কারণ হতে পারে রাতভর ফ্যানের ঠান্ডা হাওয়া। এই ঠান্ডা বাতাস রাতে ঘুমোনোর সময় মাসল টাইট করে দিতে পারে, যার ফলে সকালে উঠে গা ব্যথা, জয়েন্টে টান পড়তে পারে। বিশেষ করে যাঁদের আর্থ্রাইটিস আছে, তাঁদের জন্য এটা একেবারেই অনুপযুক্ত।
advertisement
6/11
ফ্যানের বাতাস শুষ্ক হয়, যা গলায় অস্বস্তি তৈরি করে এবং মিউকাস জমা হতে শুরু করে। এর ফলে নাক ডাকার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। আগে থেকেই যাঁদের এই সমস্যা আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ফ্যানের বাতাসে স্নোরিং আরও বেড়ে যায়।
ফ্যানের বাতাস শুষ্ক হয়, যা গলায় অস্বস্তি তৈরি করে এবং মিউকাস জমা হতে শুরু করে। এর ফলে নাক ডাকার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। আগে থেকেই যাঁদের এই সমস্যা আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ফ্যানের বাতাসে স্নোরিং আরও বেড়ে যায়।
advertisement
7/11
অনেকেই মনে করেন ফ্যান চালালে ঘরের তাপমাত্রা কমে, কিন্তু আসলে ফ্যান শুধু বাতাস ঘোরায়। যদি ঘরের মধ্যে গরম বাতাস থাকে, ফ্যান সেটাকেই চারদিকে ছড়িয়ে দেয় — ফলে আসলে আরও গরম লাগে। গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে এটা ভীষণ ক্ষতিকর হতে পারে। তাই এই পরিস্থিতিতে পোর্টেবল এসি বা কুলার ব্যবহার করা ভালো।
অনেকেই মনে করেন ফ্যান চালালে ঘরের তাপমাত্রা কমে, কিন্তু আসলে ফ্যান শুধু বাতাস ঘোরায়। যদি ঘরের মধ্যে গরম বাতাস থাকে, ফ্যান সেটাকেই চারদিকে ছড়িয়ে দেয় — ফলে আসলে আরও গরম লাগে। গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে এটা ভীষণ ক্ষতিকর হতে পারে। তাই এই পরিস্থিতিতে পোর্টেবল এসি বা কুলার ব্যবহার করা ভালো।
advertisement
8/11
রাতভর ফ্যান চালালে ত্বক থেকে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা শুকিয়ে যায়। এতে ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যেতে পারে, চুলকানি বাড়ে। যারা কন্ট্যাক্ট লেন্স পরেন, তাঁদের চোখও শুকিয়ে গিয়ে অস্বস্তি হতে পারে। ইকজিমা থাকলে সমস্যা আরও বাড়ে। তাই ফ্যান চালিয়ে ঘুমোলে সঙ্গে একটা হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।
রাতভর ফ্যান চালালে ত্বক থেকে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা শুকিয়ে যায়। এতে ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যেতে পারে, চুলকানি বাড়ে। যারা কন্ট্যাক্ট লেন্স পরেন, তাঁদের চোখও শুকিয়ে গিয়ে অস্বস্তি হতে পারে। ইকজিমা থাকলে সমস্যা আরও বাড়ে। তাই ফ্যান চালিয়ে ঘুমোলে সঙ্গে একটা হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।
advertisement
9/11
যদি ফ্যানের বাতাস সরাসরি মুখে বা নাকে লাগে, তাহলে নাকের ভিতর শুকিয়ে যেতে পারে। এতে সাইনাস বন্ধ হয়ে যাওয়া, মাথাব্যথা বা নাক দিয়ে রক্ত পড়া পর্যন্ত হতে পারে। শরীর তখন অতিরিক্ত মিউকাস তৈরি করে ব্যালান্স করার চেষ্টা করে, ফলে নাক আরও বেশি বন্ধ হয়ে যায়। যাঁদের আগে থেকেই সর্দি বা অ্যালার্জি আছে, তাঁদের জন্য ফ্যান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
যদি ফ্যানের বাতাস সরাসরি মুখে বা নাকে লাগে, তাহলে নাকের ভিতর শুকিয়ে যেতে পারে। এতে সাইনাস বন্ধ হয়ে যাওয়া, মাথাব্যথা বা নাক দিয়ে রক্ত পড়া পর্যন্ত হতে পারে। শরীর তখন অতিরিক্ত মিউকাস তৈরি করে ব্যালান্স করার চেষ্টা করে, ফলে নাক আরও বেশি বন্ধ হয়ে যায়। যাঁদের আগে থেকেই সর্দি বা অ্যালার্জি আছে, তাঁদের জন্য ফ্যান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
advertisement
10/11
✅ সমাধান কী?কুলিং ম্যাট্রেস প্যাড বা জেল বালিশ ব্যবহার করুন।

বাইরে ঠান্ডা হাওয়া থাকলে জানালা খুলে ঘুমান।

ঢিলেঢালা, সুতির জামাকাপড় বা ঘাম শোষণকারী পোশাক পরুন।

দরকারে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।
✅ সমাধান কী? কুলিং ম্যাট্রেস প্যাড বা জেল বালিশ ব্যবহার করুন। বাইরে ঠান্ডা হাওয়া থাকলে জানালা খুলে ঘুমান। ঢিলেঢালা, সুতির জামাকাপড় বা ঘাম শোষণকারী পোশাক পরুন। দরকারে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।
advertisement
11/11
ফ্যান আরাম দিলেও প্রতিরাতে চালিয়ে ঘুমানো শরীরের জন্য ধীরে ধীরে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। সতর্ক থাকুন, স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিন। ফ্যান চালালেও সেটার দিকটা, পরিমাণটা আর প্রয়োজন বুঝে ব্যবহার করুন।
ফ্যান আরাম দিলেও প্রতিরাতে চালিয়ে ঘুমানো শরীরের জন্য ধীরে ধীরে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। সতর্ক থাকুন, স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিন। ফ্যান চালালেও সেটার দিকটা, পরিমাণটা আর প্রয়োজন বুঝে ব্যবহার করুন।
advertisement
advertisement
advertisement