কালীপুজো থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত পর পর কোন কোন উৎসব থাকে, জেনে নিন উৎসব শুরুর আগেই

শারদোৎসবের শেষ লগ্নে আসে কালীপুজো ও দীপাবলি৷ শক্তিসাধনা ও আলোর উৎসব মানেই কিন্তু শুধু দীপাবলি আর ভাইফোঁটা নয়৷ এ সময়ে টানা পাঁচ দিন ধরে থাকে নানা পুজো ও উৎসব৷ দেশের নানা অংশে এই পার্বণগুলি পরিচিত বিভিন্ন নামে ও রূপে৷

কালীপুজোর আগে পালিত হয় ধন ত্রয়োদশী বা ধনতেরস৷ কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে পালিত হয় এই পার্বণ৷ প্রচলিত রীতি ও বিশ্বাস, এই তিথিতে যে কোনও ধাতুর অলঙ্কার, বাসনপত্র কিনলে তা সংসারের সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য শুভ৷ এই তিথি আবার দৈব চিকিৎসক ধন্বন্তরির আবির্ভাব তিথি৷ ধনতেরসেও লক্ষ্মীপুজো করেন অনেকে৷

ধনতেরসের পর আসে চতুর্দশী তিথি৷ বাংলায় এই তিথি প্রচলিত ভূত চতুর্দশী তিথি বলে৷ বিগত চোদ্দ পূর্বপুরুষকে স্মরণ করে এদিন ১৪ বাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়৷ খাওয়া হয় ১৪ রকম শাক৷ দেশের অনেক অংশে এই দিন পালিত হয় নরক চতুর্দশী তিথি৷

ভূত চতুর্দশীর পর অমবাস্যা৷ বাংলায় সেদিন মহা সমারোহে অনুষ্ঠিত হয় কালীপুজো বা শ্যামাপুজো৷ গৃহস্থের বাড়ি সাজানো হয় আলোর মালায়৷

কালীপুজোর পাশাপাশি থাকে দীপাবলি বা দিওয়ালি৷ প্রদীপ-সহ নানা রকম বাতির শিখায় সেজে ওঠে ঘরবাড়ি অলিন্দ৷ অনেক সময় তিথির সময় ইত্যাদি বিচার করে একই দিনে কালীপুজো ও দিওয়ালি পড়ে ৷

দীপাবলির পর পালিত হয় গোবর্ধন পুজো৷ বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙুলে গোবর্ধন পর্বত ধারণ করে আছেন শ্রীকৃষ্ণ-সেই মূর্তি পুজো করা হয়৷ অনেক এই পুজোর অংশ হিসেবে থাকে অন্নকূটও৷ অন্ন বা ভাত ও অন্য প্রসাদ দিয়ে করা হয় কূট বা পর্বত৷ পুজোর পর তা দেওয়া হয় অগণিত ভক্তকে৷

এর পর আসে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা৷ দেশের অন্যান্য প্রান্তে এই পার্বণকে ‘ভাই দুজ’-ও বলা হয়৷ ভাই বোনের সম্পর্ক ও বন্ধনকে শাশ্বত করে এই তিথি৷ যমের দুয়ারে ‘কাঁটা’ দিয়ে দাদা বা ভাইয়ের মঙ্গলকামনা করেন দিদি বা বোন৷ থাকে খাওয়াদাওয়া ও উপহার দেওয়া নেওয়ার পর্ব৷

এই উৎসবগুলি অন্যান্য নাম ও রূপেও প্রচলিত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে৷ এই পার্বণগুলি সম্বন্ধে বা তিথিক্ষণ নিয়ে বিশদে জানতে পঞ্জিকা অবশ্যই দেখুন৷