Diabetes: ডায়াবেটিস আঘাত হানে চোখেও, নীরবে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়, সচেতন করছেন প্রখ্যাত চক্ষুবিশেষজ্ঞ
- Published by:Ankita Tripathi
- trending desk
Last Updated:
Diabetes: বিষয়টি ব্যাখ্যা করছেন দিশা আই হসপিটালের সিনিয়র কনসালটেন্ট, ভিট্রিও-রেটিনা এবং ইউভিয়া ডা. শান্তনু মণ্ডল।
নভেম্বর মাসকে ডায়াবেটিক চক্ষু রোগ সচেতনতা মাস হিসেবে পালন করা হয়, যা ডায়াবেটিসের সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুতর চোখের জটিলতা এবং প্রতিরোধমূলক যত্নের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত লক্ষ লক্ষ মানুষের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস নীরবেই ঘটতে পারে, কারণ ডায়াবেটিক চক্ষু রোগগুলি প্রায়শই প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণ ছাড়াই অগ্রসর হয়।
advertisement
এর ফলে নিয়মিত, ব্যাপক চক্ষু পরীক্ষা, বিশেষ করে বার্ষিক চোখের পরীক্ষা ডায়াবেটিস ম্যানেজমেন্টের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে ওঠে। ভারতে যেখানে ডায়াবেটিসের প্রকোপ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এই ধরনের সচেতনতা কেবল সময়োপযোগীই নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদী চোখের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি ব্যাখ্যা করছেন দিশা আই হসপিটালের সিনিয়র কনসালটেন্ট, ভিট্রিও-রেটিনা এবং ইউভিয়া ডা. শান্তনু মণ্ডল।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ধূমপানের অভ্যাস এবং ডায়াবেটিসের সঙ্গে একজন ব্যক্তির কত বছর বয়স হল সেই সংক্রান্ত অতিরিক্ত ঝুঁকির কারণগুলো চোখের ক্ষতি আরও ত্বরান্বিত করতে পারে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিও বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন, কারণ হরমোনের ওঠানামা চোখের সঙ্গে সম্পর্কিত লক্ষণগুলিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে।
advertisement
ডায়াবেটিক চোখের রোগের নীরব অগ্রগতির সবচেয়ে বিপজ্জনক দিকগুলির মধ্যে একটি। অনেক ব্যক্তিই তাঁদের দৃষ্টিশক্তির কোনও পরিবর্তন সম্পর্কে অবগত থাকেন না যতক্ষণ না উল্লেখযোগ্য ক্ষতি ঘটে। যখন লক্ষণ দেখা দেয়, তখন এর মধ্যে থাকতে পারে দৃষ্টিশক্তির ওঠানামা, কম আলোতে দেখতে অসুবিধা, রঙ বিবর্ণ লাগা, চোখের সামনে দাগ দেখা বা হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি হ্রাস।
advertisement
যেহেতু এই লক্ষণগুলি সাধারণত রেটিনার উল্লেখযোগ্য ক্ষতির পরেই দেখা দেয়, তাই চক্ষু বিশেষজ্ঞরা সকল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অন্তত বছরে একবার চোখের পরীক্ষার জোরালো পরামর্শ দেন। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ চিকিৎসার ফলাফল উন্নত করে এবং দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা প্রতিরোধ করতে পারে। রোগটি কত তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা হয়েছে তার উপর নির্ভর করে চিকিৎসার বিকল্পগুলি পরিবর্তিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে সর্বোত্তম উপায় হল রক্তে শর্করা, রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা যথাযথ ভাবে বজায় রাখা যাতে ক্ষতি আর বাড়তে না পারে বা থেমে যায়।
advertisement
advertisement
গুরুতর পরিস্থিতিতে চোখের ভেতর থেকে রক্ত বা দাগধরা টিস্যু অপসারণের জন্য ভিট্রেক্টমি সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে। ডায়াবেটিসের ফলে ছানি সাধারণত নিয়মিত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমেই চিকিৎসা করা যেতে পারে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে একটি প্যারামিটার হিসাবে HbA1c টেস্টের ভূমিকা অমূল্য। এটি গত তিন মাসের গড় শর্করার মাত্রা দেখায়, যেখানে ফাস্টিং এবং পিপি সেই নির্দিষ্ট মুহূর্তে শর্করার মাত্রা দেখায় যখন রক্তনেওয়া হয়েছিল।
advertisement
HbA1c গত তিন মাসের রক্তে শর্করার মাত্রা দেখাতে পারে, নিয়ন্ত্রণ পর্যাপ্ত কি না তা দেখার জন্য এটি তাই আদর্শ। সুতরাং HbA1c টেস্ট করানো উচিত। দুর্ভাগ্যবশত, বেশিরভাগ ডায়াবেটিস রোগীর এই পরীক্ষা সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। পরিশেষে বলতেই হয় যে প্রতিরোধই সর্বোত্তম প্রতিরক্ষা উপায়। সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ, জল খাওয়া এবং তামাক এড়িয়ে চলার মতো ডায়াবেটিস ম্যানেজমেন্ট পদক্ষেপ দৃষ্টি সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত চোখের পরীক্ষাও সঙ্গে করানো উচিত।
advertisement
ভারতে ১০ কোটিরও বেশি ডায়াবেটিস রোগী বাস করেন, তাই ডায়াবেটিক চোখের রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। শিক্ষা, সময়মতো স্ক্রিনিং এবং নিয়মিত চিকিৎসা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের অগণিত ঘটনা রোধ করা যেতে পারে। এই মাসটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সঠিক জ্ঞান এবং পদক্ষেপের মাধ্যমে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাঁদের দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করতে পারেন এবং সুস্থ, পরিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারেন। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
