Diabetes Control Tips: রোজকার জীবনে সস্তার এই ৫ অভ্যাসেই কেল্লাফতে! দাপাদাপি পাকাপাকি বন্ধ হবে ডায়াবেটিসের...

খ্যাতনামা নিউট্রিশনিস্ট ও ডায়েটিশিয়ান সোনিয়া নারাং এমন ৫টি সহজ অভ্যাসের কথা বলেছেন, যা ডায়াবেটিসকে অনেকটাই রিভার্স করতে সাহায্য করতে পারে। চলুন জেনে নিই এই উপায়গুলি।

ডায়াবেটিস কীভাবে রিভার্স করা যায়? ডায়াবেটিস বা মধুমেহ এমন একটি জীবনধর্মী অসুখ, যা একবার হলে সারা জীবন নিয়ম মানতে হয়। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে এই অসুখকে কেবলমাত্র নিয়ন্ত্রণেই নয়, বরং অনেকটাই রিভার্স করাও সম্ভব।

বিশেষজ্ঞ কী বলছেন? এই বিষয়ে ডায়েটিশিয়ান সোনিয়া নারাং ইউটিউব-এ একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওতে তিনি বলেন— "প্রতিদিনের কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং সঠিক ডায়েট ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ ও ধীরে ধীরে রিভার্স করতে সাহায্য করে। এর জন্য ৫টি জিনিস দিয়ে শুরু করুন।"

প্রতিদিন করুন এই ৫টি কাজ—মেথি দানার জল: ডায়েটিশিয়ান নারাং বলেন, রোজ সকালে খালি পেটে ১ চামচ ভেজানো মেথি দানার জল পান করুন। এতে থাকা ফাইবার শরীরে কার্বোহাইড্রেটের শোষণ ধীর করে ব্লাড সুগার বাড়তে দেয় না। মেথি দানায় এমন কিছু যৌগ আছে, যা ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি উন্নত করে এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমায়।

কাঁচা পেঁয়াজের স্যালাড খান: ডায়াবেটিস রোগীদের দুপুরে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার পরামর্শ দেন ডায়েটিশিয়ান। ১০০ গ্রাম কাঁচা পেঁয়াজ খেলে মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্লাড সুগার লেভেল কমে যেতে পারে। পেঁয়াজ ইনসুলিনের প্রতিক্রিয়া উন্নত করে।

সঠিক তেল ব্যবহার করুন: নারাং জানান, রিফাইন্ড তেলে ট্রান্স ফ্যাট ও বেশি ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ায়। এর বদলে কোল্ড প্রেসড তেল ব্যবহার করুন। এতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।

খাওয়ার পরে ৫০০ পা হাঁটুন: প্রতিটি খাবারের পরে অন্তত ৫০০ পা হাঁটার পরামর্শ দেন ডায়েটিশিয়ান। এতে পেশি সক্রিয় হয় ও শরীর রক্তে থাকা সুগারকে এনার্জি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। ফলে ব্লাড সুগার স্পাইক কমে।

রাতে আমলা-হলুদের জল পান করুন: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাতে আমলা ও হলুদের জল পান করার পরামর্শও দেন সোনিয়া নারাং। আমলায় থাকা ক্রোমিয়াম ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়। হলুদ ইনসুলিনকে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।

কেন কাজ করে এই অভ্যাসগুলো? এই অভ্যাসগুলো একদিকে যেমন ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে, তেমনি ধীরে ধীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমিয়ে দেয়। ফলে রোগীর ওষুধের উপর নির্ভরতা কমে আসে।

রোজকার জীবনে অভ্যাস করুন: এই উপায়গুলো একবারে নয়, ধাপে ধাপে রোজকার জীবনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ধৈর্য ও ধারাবাহিকতা থাকলে, সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং অনেকটা রিভার্সও হতে পারে।

কারা এই অভ্যাসগুলো নিতে পারেন? সকল টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীরা এই উপায়গুলো নিরাপদে অনুসরণ করতে পারেন, তবে যাঁরা ইনসুলিন নিচ্ছেন বা অন্য শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে শুরু করবেন।

ডাঃ সোনিয়া নারাং বলেন, "ডায়াবেটিস রিভার্স করার জন্য প্রাথমিকভাবে জীবনধারার পরিবর্তন প্রয়োজন। প্রতিদিনের ডায়েটে মেথি, কাঁচা পেঁয়াজ, কোল্ড প্রেসড তেল ও রুটিন হাঁটা অন্তর্ভুক্ত করলে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এই অভ্যাসগুলো দীর্ঘমেয়াদে ফল দেয়।"

Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।