High Blood Sugar|Diabetes Control Tips: ডায়বেটিস কোনও রোগ নয়! কিডনি-চোখ-সহ একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নষ্ট করে মেরে ফেলে! ৪৫-৫০ বয়সে ব্লাডসুগার কেমন থাকবে, জানুন . . .

ডায়বেটিস সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে অত্যন্ত সমস্যার ৷ গোটা পৃথিবীর মানুষের মধ্যে প্রায় ৫২ কোটিরও বেশি মানুষ ডায়বেটিসে আক্রান্ত ৷ প্রতীকী ছবি ৷

এর মধ্যে বছরে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকে ৷ আসলে ডায়বেটিস এমনই এক সিন্ড্রোম এটি কোনও রোগ নয় ডায়বেটিসে আক্রান্ত হলে অন্যান্য রোগ শরীরকে ছেঁকে ধরে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

শুরুর দিকে তেমন লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়না ৷ বিশেষত বিশ্বের দরিদ্র দেশে এই রোগের লক্ষণ দেখতে পাওয়া গেলেও কোনও রকমের গুরুত্ব দেওয়া হয়না ৷ প্রতীকী ছবি ৷

গ্লুকোজের ফলে শরীরে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় ৷ শরীরে ডায়বেটিসের পরিমাণ বাড়ে খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে ডায়বেটিস বাসা বাঁধার আগেই যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেক্ষেত্রে ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কমে যায় ৷ প্রতীকী ছবি ৷

তবে এটি জানতে হবে শরীরে ব্লাডসুগারের মাত্রা ঠিক কেমন হতে পারে ৷ বয়স, শারীরিক অবস্থা, কতদিন ধরে ডায়বেটিসে আক্রান্ত সেই বিষয়ই খেয়াল রাখতে হবে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

যদি কোনও মানুষের রোগ না থাকে সেক্ষেত্রে ফাস্টিং এ ব্লাডসুগার লেবেল থাকতে হবে ৯৯ মিলিগ্রাম ৷ খাবার পরে অর্থাৎ পিপিতে ব্লাডসুগার থাকতে হবে ১৪০ মিলিগ্রাম ৷ প্রতীকী ছবি ৷

৪০ বছরের পরে নিয়মিত ব্লাডসুগার চেক করতে হবে যদি সমস্যা দেখতে পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে পরামর্শ নিতে হবে যাতে খোনও রকমের শারীরিক সমস্যা না দেখতে পাওয়া যায় ৷ প্রতীকী ছবি ৷

যাঁদের বয়স ৪৫ থেকে ৫০ তাঁদের সুগার ফাস্টিং লেবেল ৯০ থেকে ১৩০ mg/dL হতে হবে ৷ খাবার খাওয়ার পরে সুগার লেবেল থাকতে হবে ১৪০ mg/dl ৷ রাত্রিবেলায় খাবার খাওয়ার পরে ব্লাডসুগার হতে হবে ১৫০ mg/dl ৷ এটি ঠিক রাখতে হবে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

৪৫ থেকে ৫০ বছর বয়সে সুগারের স্তর ৩০০ পার হয়ে গেলে নতুন সমস্যা সৃষ্টি হয় ৷ রক্তে ব্লাডসুগারের পরিমাণ বেশি থাকলে হাইপারগ্লাইসিমা বলা হয় ৷ সময় থাকতে থাকতে নিয়ন্ত্রণ করাটা অত্যন্ত জরুরি ৷ প্রতীকী ছবি ৷

ব্লাডসুগার থাকলে খুব দ্রুত লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনতে হবে ৷ ভাল করে ঘুমাতে হবে কোনও ভাবেই বাড়তি দুশ্চিন্তা করলে চলবেনা ৷ শরীরচর্চা নিয়ম করে করতে হবে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

প্রচুর হাঁটাচলা করতে হবে ৷ বাড়ির হাল্কা ফুলকা কাজ করতে হবে ৷ চিনি, বেশি, নুন, ঠান্ডা পানীয়, মিষ্টি খাওয়ার বিষয়ে ব্রেক লাগাতে হবে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

শর্করার পরিমাণ বেশি আছে এমন খাবার ছুঁলে চলবেনা ৷ খাবারের সঙ্গে প্রতিদিন স্যালাড রাখতে হবে ৷ বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকা উচিৎ নয় ৷ অল্প অল্প করে খাবেন কিন্তু খাবার সময়ে তাড়াহুড়ো করবেন না একদমই ৷ প্রতীকী ছবি ৷

কোনও প্রসেসড খাবার খাবেন না ৷ বেশি করে শাক সব্জি খান, ফাইবার জাতীয় সব্জি খান ৷ বেশি পরিমাণে ফল খান ৷ প্রতীকী ছবি ৷

Disclaimer: উপরোক্ত বিষয়গুলি আসলে ঘরোয়া টোটকা, কোনও ওষুধপত্র বা চিকিৎসার বিকল্প নয় ৷ ব্যবহারিক প্রয়োগের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ৷ প্রতীকী ছবি ৷