Diabetes control tips: ব্লাড সুগার দূর করবে এই বিশেষ পাতা! ব্যথা থেকেও পাবেন মুক্তি

রান্নায় বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতীয় রান্নায় কারিপাতার বেশি ব্যবহার দেখা যায়। এই পাতার আছে নানা গুণ। পুষ্টিবিদ পূজা মাখিজা একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কারি পাতার উপকারিতা নিয়ে বলেন, "কারি পাতা ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি২, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের উৎস। এটি আমাশয়, ডায়রিয়া, ডায়াবেটিসে ভীষণ ভাবে কার্যকরী।"

কারি পাতা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। সব পুষ্টিগুণ ছাড়াও এই পাতায় রয়েছে ওষধি গুণ, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কারি পাতা খেলে হৃদরোগ ও মস্তিষ্ক সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকিও কমে। প্রতিদিন ৫-৬টি কারি পাতা খেলে স্বাস্থ্য ভাল রাখা যায়। কারি পাতায় রয়েছে  নানা উপকারিতা।

কারি পাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। শরীরের ফ্রি র‌্যাডিক্যাল দূর করতে সাহায্য করে, যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। কারি পাতা খাওয়া উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কারি পাতা হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।

সুগারের রোগীদের জন্য কারি পাতা খুবই কার্যকরী। কারি পাতা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে কারি পাতার নির্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি কিডনির ক্ষতি-সহ ডায়াবেটিসের অনেক জটিলতা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও কারি পাতা শরীরে গিয়ে ইনসুলিন মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

কারি পাতা ব্যথা উপশমকারী হিসেবেও কাজ করে। এতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান শরীরে প্রাকৃতিক উপায়ে ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।

কারি পাতা চুলের জন্যও খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। কারি পাতা খেলে চুল পড়া কমে। কারি পাতায় উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন এবং প্রোটিন চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। কারি পাতার তেল চুল পাকা ও চুল পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ঘরেই তিলের তেলে কারি পাতা সিদ্ধ করে, ছেঁকে ব্যবহার করতে পারেন।

ওজন কমাতে কারি পাতা ব্যবহার করা হয়। কারি পাতা একটি ডিটক্সিফাইং এজেন্ট হিসাবে কাজ করে, যা আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করে। কারি পাতা শরীরে চর্বি জমতে বাধা দেয় এবং এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন )