অল্প তেলে সাঁতলানো আধুনিকাদের পরিভাষায় কবেই হয়ে গিয়েছে ‘স্যতে’(Saute) ৷ কিন্তু ভোজনবিলাসের সাবেকিয়ানা বরাবরই ঝুঁকে রয়েছে ডুবো তেলে চুবিয়ে ভাজার (Deep Fry Tips) দিকে ৷ লুচি হোক বা আজকের ফ্রেঞ্চ ফ্রাই (French Fry), কড়াইয়ের গহিনে তেলে ডুবসাঁতার দিয়ে যে ভাজা হয়, তার স্বাদ জিভ পেরিয়ে হানা দেয় হৃদমাঝারে ৷ স্বাস্থ্যবাণী শিকেয় তুলে নয় ডুবো তেলে ভাজা খেলেন ৷ কিন্তু ভাজার সময় কিছু টিপস মনে রাখবেন অবশ্যই ৷ নইলে কিন্তু সবই মাটি ৷ আপনি হয়তো ভাবছেন, ডুবো তেলে ভাজাভুজি রান্নার মধ্যে কী আর এমন বিশেষত্ব থাকতে পারে? কিন্তু মা ঠাকুমারা বলেন, কড়াইয়ের গা বেয়ে লুচি ছাড়ার মধ্যেও লুকিয়ে আছে লুচির গুণাগুণ ৷ তাই, ডুবো ছাঁকা তেলে ভাজারও কিছু সোনালি নিয়ম আছে ৷ জেনে নিন সেগুলি ৷ আর হয়ে উঠুন ‘লুচিশীল বাঙালি’৷ কড়াই ভাল করে তেতে ওঠার পর তবেই তেল দিন ৷ এর পর তেল মাঝারি থেকে তীব্র গরম হয়ে ওঠার পর তাতে ভাজার জিনিস ছাড়ুন ৷ তার আগে কখনওই দেবেন না ৷ লুচি হোক বা পকোড়া ৷ কিংবা যে কোনও চপ ৷ কড়াইয়ের উপরে হাত নিয়ে গিয়ে ধপাস করে ফেলে দেবেন না ৷ সব সময় কড়াইয়ের গা বেয়ে আস্তে করে হাতের মুঠো আলগা করুন ৷ এর ফলে ভাজা পুড়ে যাবে না ৷ আবার আপনার ছ্যাঁকা খাওয়ার আশঙ্কাও থাকবে না ৷ পকোড়া বা চপ, বা যে কোনও কিছুই ভাজার সময় একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন ৷ কড়াইয়ে দেওয়ার পর কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করুন ৷ একটা দিক ভাল করে ভাজা হয়ে গেলে তার পর অন্য দিক উল্টে দিন ৷ প্রায় ১ মিনিট ভাজার পর গ্যাসের আঁচ কমিয়ে মাঝারি করে নিন ৷ তাহলে ভাজা সুন্দর হবে ৷ ভাজা হয়ে গেলে এ বার ঝোল করতে চাইছেন ? তা হলে যে মনে রাখবেন যখন মেশাবেন, হয় ভাজা, নয়তো ঝোল যেকোনও একটা যেন ঠান্ডা হয় ৷ ধরুন, মাছের ডিমের বড়া রুম টেম্পারেচারে আছে, সেগুলি যোগ করলেন গরম ঝোলে ৷ অন্যদিকে কোফতা হয়তো গরমাগরম আছে ৷ আপনি সেগুলো রুম টেম্পারেচারে রাখা ঝোলের সঙ্গে মিশিয়ে রেঁধে নিলেন ৷