Dates in Weight Loss: ‘এই খেজুর’ রোজ জাস্ট ২-৩ টে খেলেই ঝপঝপিয়ে কমবে ওজন! কোন খেজুরে হুড়মুড়িয়ে জমবে চর্বি? জানুন

খেজুর গাছের মিষ্টি ফল, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার খাদ্যতালিকায় একটি প্রধান খাদ্য। প্রাকৃতিক শর্করা, ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর, খেজুর বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য উপকারিতা দেয়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে কিছু ধরণের খেজুর ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে, আবার কিছু ধরণের খেজুর স্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধির জন্য আদর্শ? আসুন খেজুরের সুস্বাদু জগৎ এবং আপনার সুস্থতার লক্ষ্যের জন্য সঠিক ধরনটি কীভাবে বেছে নেবেন তা জেনে নিই।

বিশ্বজুড়ে ২০০ টিরও বেশি ধরণের খেজুর জন্মায়। তবে কয়েকটি তাদের স্বাদ, গঠন এবং পুষ্টির জন্য আলাদা। "খেজুরের রাজা" নামে পরিচিত, মেডজুলগুলি বড়, নরম এবং দামি মিষ্টি। এগুলি ক্যালোরি এবং ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করায় সমৃদ্ধ, যা এগুলিকে শক্তি বৃদ্ধি এবং ওজন বৃদ্ধির ডায়েটের জন্য আদর্শ করে তোলে। বলছেন পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা।

সামান্য শুষ্ক এবং কম মিষ্টি, ডেগলেট নূর খেজুর আরও শক্ত এবং আরও সূক্ষ্ম, বাদামের স্বাদযুক্ত। এগুলি প্রায়ই রান্না এবং বেকিংয়ে ব্যবহৃত হয়।সৌদি আরবের একটি মূল্যবান জাত, আজওয়া খেজুর ছোট, গাঢ় রঙের এবং দারুচিনির আভাস সহ হালকা মিষ্টি। ঔষধি গুণাবলীর জন্য সমাদৃত, এগুলি পুষ্টিতে ভরপুর এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।

বরহি খেজুরগুলি নরম, ক্যারামেলের মতো এবং সম্পূর্ণ পাকা অবস্থায় অত্যন্ত মিষ্টি। হলুদ, মুচমুচে অবস্থায় (খালাল) এগুলি কম মিষ্টি এবং এতে প্রতিরোধী স্টার্চ বেশি থাকে। শক্ত, সোনালি-বাদামি এবং সামান্য কম মিষ্টি, জাহিদি খেজুরের স্বাদ বাদামের মতো এবং এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমের স্বাস্থ্য এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য এটিকে প্রিয় করে তোলে।

ওজন কমানোর চেষ্টা করার সময় জাহিদি খেজুরের ফাইবার এবং কম গ্লাইসেমিক প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ। জাহিদি এবং ডেগলেট নূর খেজুর ওজন কমানোর জন্য বিশেষভাবে ভাল পছন্দ। উচ্চ অদ্রবণীয় ফাইবারের কারণে, জাহিদি খেজুর পেট ভরানোর ক্ষমতা উন্নত করতে এবং হজম নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, যার ফলে আপনি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা অনুভব করেন।

ডেগলেট নূর খেজুরে মিষ্টি এবং ক্যালোরির পরিমাণ মাঝারি, যা অতিরিক্ত চিনির স্পাইক ছাড়াই স্মুদি বা স্ন্যাকসে প্রাকৃতিক মিষ্টি যোগ করার জন্য এগুলিকে উপযুক্ত করে তোলে।

প্রতিদিন ২-৩টি ছোট খেজুর খেলে মিষ্টির প্রতি আকাঙ্ক্ষা কমে যায় এবং পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত চিনি চর্বি হিসেবে জমা না করে শক্তির মাত্রা ধরে রাখার জন্য সকালে বা ওয়ার্কআউটের আগে এগুলি খাওয়া ভাল।