Danger Poisonous Plant: বাড়ির চারপাশে নানা ধরনের গাছ, তার মধ্যে এই গাছ লুকিয়ে নেই তো, বিষাক্ত বাষ্পে নিংড়ে নেবে শরীরের প্রাণশক্তি

Last Updated:
Danger Poisonous Plant: বাড়ির চারপাশে এই উদ্ভিদ থাকলেই বিপদ!  বাড়ির পাশে অন্যান্য গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের ঝোপঝাড় থাকলে খুব একটা সমস্যা নেই। কিন্তু এই বিশেষ প্রজাতির গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের যোগ যার থাকলে নানা রোগ আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। 
1/6
কোলাঘাট: বাড়ির চারপাশে আমরা অনেকেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি। তবুও অজান্তেই গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের ঝোপঝাড় বেড়ে ওঠে। তবে বাড়ির পাশে অন্যান্য গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের ঝোপঝাড় থাকলে খুব একটা সমস্যা নেই। কিন্তু এই বিশেষ প্রজাতির গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের যোগ যার থাকলে নানা রোগ আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। আবার এই গাছ দ্রুত বংশ বিস্তার করে। ফলে এর হাত থেকে বাঁচতে হলে অবিলম্বেই বাড়ির আশেপাশে এই গাছ থাকলে অবশ্যই তা ধ্বংস করে ফেলুন। না হলেই বিপদ! এই গাছের নাম হল পার্থেনিয়াম।
কোলাঘাট: বাড়ির চারপাশে আমরা অনেকেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি। তবুও অজান্তেই গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের ঝোপঝাড় বেড়ে ওঠে। তবে বাড়ির পাশে অন্যান্য গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের ঝোপঝাড় থাকলে খুব একটা সমস্যা নেই। কিন্তু এই বিশেষ প্রজাতির গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের যোগ যার থাকলে নানা রোগ আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। আবার এই গাছ দ্রুত বংশ বিস্তার করে। ফলে এর হাত থেকে বাঁচতে হলে অবিলম্বেই বাড়ির আশেপাশে এই গাছ থাকলে অবশ্যই তা ধ্বংস করে ফেলুন। না হলেই বিপদ! এই গাছের নাম হল পার্থেনিয়াম।
advertisement
2/6
ডেইজি পরিবারের মধ্যে সূর্যমুখী উপজাতির উত্তর আমেরিকান গুল্ম প্রজাতির একটি উদ্ভিদ। শিরাযুক্ত, নরম কাণ্ডবিশিষ্ট একবর্ষজীবি, গুল্মজাতীয় আগাছাটির নাম পার্থেনিয়াম। নামটি গ্রিক শব্দ parthenos থেকে উদ্ভূত হয়। যার অর্থ "কুমারী," বা parthenion, এটি উদ্ভিদের একটি প্রাচীন নাম।
ডেইজি পরিবারের মধ্যে সূর্যমুখী উপজাতির উত্তর আমেরিকান গুল্ম প্রজাতির একটি উদ্ভিদ। শিরাযুক্ত, নরম কাণ্ডবিশিষ্ট একবর্ষজীবি, গুল্মজাতীয় আগাছাটির নাম পার্থেনিয়াম। নামটি গ্রিক শব্দ parthenos থেকে উদ্ভূত হয়। যার অর্থ "কুমারী," বা parthenion, এটি উদ্ভিদের একটি প্রাচীন নাম।
advertisement
3/6
এর আরও কয়েকটি নাম হল কংগ্রেস ঘাস, গাজর ঘাস, চেতক চাঁদনী, হোয়াইট টপ ও স্টার উইড প্রভৃতি। উদ্ভিদ জগতে কম্পোসিটি পরিবারভুক্ত এর প্রজাতির সংখ্যা ১৬ টি।আমাদের দেশে যে পার্থেনিয়াম দেখা যায় তার বৈজ্ঞানিক নাম Parthenium hysterophorus। দূর্ভাগ্যজনকভাবে ১৬ টি প্রজাতির মধ্যে এটিই সবথেকে বিষাক্ত উদ্ভিদ।
এর আরও কয়েকটি নাম হল কংগ্রেস ঘাস, গাজর ঘাস, চেতক চাঁদনী, হোয়াইট টপ ও স্টার উইড প্রভৃতি। উদ্ভিদ জগতে কম্পোসিটি পরিবারভুক্ত এর প্রজাতির সংখ্যা ১৬ টি।আমাদের দেশে যে পার্থেনিয়াম দেখা যায় তার বৈজ্ঞানিক নাম Parthenium hysterophorus। দূর্ভাগ্যজনকভাবে ১৬ টি প্রজাতির মধ্যে এটিই সবথেকে বিষাক্ত উদ্ভিদ।
advertisement
4/6
পার্থেনিয়াম গাছের বৈশিষ্ট্য হল, এই গাছটি ছোট এবং ঝোপঝাড় আকারে জন্মায়। এই গাছের পাতাগুলি সবুজ এবং দেখতে অনেকটা গাজর গাছের পাতার মত। ফুলগুলি ছোট এবং সাদা রঙের।।পার্থেনিয়াম খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে এবং প্রচুর বীজ উৎপন্ন করে। এক একটি পার্থেনিয়াম গাছ ৪ হাজার থেকে ১২ হাজার বীজ উৎপাদন করতে পারে। স্বল্প সময়ের মধ্যে দুই থেকে তিনবার বীজ উৎপাদন করে।
পার্থেনিয়াম গাছের বৈশিষ্ট্য হল, এই গাছটি ছোট এবং ঝোপঝাড় আকারে জন্মায়। এই গাছের পাতাগুলি সবুজ এবং দেখতে অনেকটা গাজর গাছের পাতার মত। ফুলগুলি ছোট এবং সাদা রঙের।।পার্থেনিয়াম খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে এবং প্রচুর বীজ উৎপন্ন করে। এক একটি পার্থেনিয়াম গাছ ৪ হাজার থেকে ১২ হাজার বীজ উৎপাদন করতে পারে। স্বল্প সময়ের মধ্যে দুই থেকে তিনবার বীজ উৎপাদন করে।
advertisement
5/6
ফলে দ্রুতই বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম এই গাছ। পার্থেনিয়াম গাছের ক্ষতিকারক দিক হল পার্থেনিয়াম মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু ও কৃষিজাত ফসলের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।পার্থেনিয়ামের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে, শিক্ষক ও পরিবেশবিদ সন্তু মাইতি জানান, পার্থেনিয়াম মানুষের শরীরে, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, অ্যালার্জি এবং ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এর ফুলের রেনু বাতাসের সঙ্গে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এইসব রোগ সৃষ্টি করতে পারে। এর পাশাপাশি কৃষিজাত ফসলে ফসলের ফলন কমিয়ে দেয় এবং জমির উর্বরতা নষ্ট করে। এই গাছ অন্যান্য উদ্ভিদের বাঁচতে দেয় না ফলে জীব বৈচিত্র্যে প্রভাব ফেলে। মানুষের পাশাপাশি এই গাছ গবাদি পশুর ক্ষতি করে। গবাদি পশু এই গাছ খেলে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তাই এই কাজ ধ্বংস করা প্রয়োজন।'
ফলে দ্রুতই বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম এই গাছ। পার্থেনিয়াম গাছের ক্ষতিকারক দিক হল পার্থেনিয়াম মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু ও কৃষিজাত ফসলের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।পার্থেনিয়ামের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে, শিক্ষক ও পরিবেশবিদ সন্তু মাইতি জানান, পার্থেনিয়াম মানুষের শরীরে, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, অ্যালার্জি এবং ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এর ফুলের রেনু বাতাসের সঙ্গে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এইসব রোগ সৃষ্টি করতে পারে। এর পাশাপাশি কৃষিজাত ফসলে ফসলের ফলন কমিয়ে দেয় এবং জমির উর্বরতা নষ্ট করে। এই গাছ অন্যান্য উদ্ভিদের বাঁচতে দেয় না ফলে জীব বৈচিত্র্যে প্রভাব ফেলে। মানুষের পাশাপাশি এই গাছ গবাদি পশুর ক্ষতি করে। গবাদি পশু এই গাছ খেলে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তাই এই কাজ ধ্বংস করা প্রয়োজন।'
advertisement
6/6
পার্থেনিয়াম গাছ ধ্বংসের বিষয়ে তিনি জানান, পার্থেনিয়াম গাছ উপড়ে ফেলে ধ্বংস করা উচিত। ফুল ফোটার আগেই এই গাছ ধ্বংস করতে পারলে অনেকটাই বংশবিস্তার রোধ করা যায়। পার্থেনিয়াম গাছের ওপরে কেরোসিন তেল বা নুন ছড়িয়ে মেরে ফেলা যায়। আবার পার্থেনিয়াম গাছকে গোড়া থেকে কেটে ফেলে পুড়িয়ে ধ্বংস করা যায়। তবে গাছ কাটার সময় অবশ্যই মাস্ক বা কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে কাটতে হবে। বর্তমানে কোলাঘাটের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পার্থেনিয়াম গাছ ধ্বংসের জন্য অভিযান চালিয়েছে জেলা জুড়ে। Input- Saikat Shee 
পার্থেনিয়াম গাছ ধ্বংসের বিষয়ে তিনি জানান, পার্থেনিয়াম গাছ উপড়ে ফেলে ধ্বংস করা উচিত। ফুল ফোটার আগেই এই গাছ ধ্বংস করতে পারলে অনেকটাই বংশবিস্তার রোধ করা যায়। পার্থেনিয়াম গাছের ওপরে কেরোসিন তেল বা নুন ছড়িয়ে মেরে ফেলা যায়। আবার পার্থেনিয়াম গাছকে গোড়া থেকে কেটে ফেলে পুড়িয়ে ধ্বংস করা যায়। তবে গাছ কাটার সময় অবশ্যই মাস্ক বা কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে কাটতে হবে। বর্তমানে কোলাঘাটের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পার্থেনিয়াম গাছ ধ্বংসের জন্য অভিযান চালিয়েছে জেলা জুড়ে। Input- Saikat Shee
advertisement
advertisement
advertisement