

দীর্ঘ লকডাউন (Lockdown) শেষে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে পরিস্থিতি। খুলে গিয়েছে শপিং মল, দোকান-বাজার, অফিস। চালু হয়ে গিয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যও। এই পরিস্থিতিতে প্রায় সকলকেই রোজ বের হতে হচ্ছে বাড়ির বাইরে। সংস্পর্শে আসছে বহু মানুষ। ব্যবহার করতে হচ্ছে লোকাল ট্রেন, বাস বা অটো। ফলে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সাবধান রাখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। সাবধান রাখতে, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মেনে চলা যেতে পারে এগুলি-


মাস্ক পরা - করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের শুরু থেকে নিজেকে বাঁচাতে মাস্ক (Face Mask) পরার সুপারিশ করে আসছেন চিকিৎসকরা। মাস্ক পরলে একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে ভাইরাস ছড়াতে পারে না। পাশাপাশি যদি কেউ আক্রান্ত হয়, তা হলে মাস্ক ভাইরাসের আকার ছোট করে দেয়। ফলে আরেকজনের শরীরে তা সহজে সংক্রমণ ঘটাতে পারে না। ফলে অফিসে গিয়ে হোক বা গাড়িতে যাতায়াতের সময়, মাস্ক পরে থাকা প্রয়োজন। শুধু নিজে নয়, পাশের জনও যাতে মাস্ক পরে থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।


গ্লাভস - অনেকেই মনে করে, গ্লাভস (Gloves) পরলে সংক্রমণ ছড়ায় না। কিন্তু এই বিষয়টিতে সিলমোহর দিতে রাজি নয় বেশিরভাগ চিকিৎসকই। WHO (World Health Organisation) বলছে, করোনাভাইরাস যে কোনও সারফেসেই থাকতে পারে। ফলে রাবার গ্লাভসেও থাকতে পারে। তাই রাবারের তৈরি নয়, এমন গ্লাভসই ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছে তারা।


স্যানিটাইজ করা - বাসে বা গাড়িতে ট্রাভেল করার আগে, অবশ্যই সারফেসে, সিটে স্যানিটাইজার (Sanitiser) স্প্রে করা প্রয়োজন। পাশাপাশি, গাড়িতে হলে, গাড়ির মধ্যে স্প্রে করে নেওয়া উচিৎ। এ ক্ষেত্রে যিনি ট্র্যাভেল করছেন এবং ড্রাইভার, দু'জনের কাছেই স্যানিটাইজার স্প্রে রাখা প্রয়োজন।


জানলা খুলে রাখা - বাসে, গাড়িতে যেখানেই ট্র্যাভেল করা হোক, জানলা খুলে রাখা জরুরি। এতে ফ্রেশ এয়ার ঢুকতে পারে এবং সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা কমে। এর পাশাপাশি ভেন্টিলেশনেও সমস্যা হয় না। HuffPost UK-র প্রকাশিত সমীক্ষা অনুযায়ী, ছোট কোনও গাড়িতে বা জায়গায় ফ্রেশ এয়ার ঢোকানো প্রয়োজন। এতে সংক্রমণ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।