Cooking Oils: এই তেলগুলো রান্নাঘরে থাকলে এখনই দূর করুন! অবহেলায় বাড়বে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি...সাবধান...

রান্নার তেল নিয়ে সতর্ক হোন আমাদের স্বাস্থ্যের একটা বড় অংশ নির্ভর করে আমরা কী খাচ্ছি তার উপর। তাই ডায়েট এবং রান্না সংক্রান্ত বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বিশেষ করে, যেই তেল রান্নায় ব্যবহার করছি তা যদি ঠিক না হয়, তাহলে তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। অনেক সময় আমরা তেলের ব্র্যান্ড বা বিজ্ঞাপন দেখে তেল কিনে ফেলি, কিন্তু তার উপাদান, ফ্যাট কনটেন্ট বা কেমিক্যাল প্রসেসিং নিয়ে ভাবি না। এই অভ্যাস আমাদের হার্ট এবং শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

বিপজ্জনক রান্নার তেলগুলি চিহ্নিত করুন আপনার রান্নাঘরে কোন তেল ব্যবহার করছেন সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু তেল আছে যা শরীরের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর। এগুলি কেবল খারাপ কোলেস্টেরলই বাড়ায় না, বরং হার্ট ডিজিজ, অ্যালার্জি এবং অন্যান্য গুরুতর রোগের আশঙ্কাও বাড়িয়ে তোলে। সবচেয়ে খারাপ হচ্ছে, একই তেল বারবার ব্যবহার করা। রেস্টুরেন্ট বা স্ট্রিট ফুডে অনেক সময় একাধিকবার ব্যবহৃত (রিসাইকেল্ড) তেল ব্যবহার করা হয়, যেগুলোতে ট্রান্স ফ্যাট ও ফ্রি র‍্যাডিক্যালস থেকে যায়, যা সরাসরি শরীরের ক্ষতি করে।

ডালডা এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি রোজকার রান্নায় ব্যবহৃত বনস্পতি ঘি বা ডালডা অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে ট্রান্স ফ্যাট থাকে যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। এই তেল শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে রক্তনালী ব্লক করতে পারে। বহু দেশে এই ধরনের তেলের ব্যবহার নিষিদ্ধও করে দেওয়া হয়েছে। তাই এই তেল এখনই ব্যবহার বন্ধ করুন।

রাইস ব্র্যান ও বাদাম তেলও নয়! রাইস ব্র্যান তেল অনেকেই ভালো মনে করলেও, বেশি গরম করলে তার গঠন বদলে যায় এবং এটি হানিকারক ফ্রি র‍্যাডিক্যালস তৈরি করে। এই তেল ডিপ ফ্রাই-এর জন্য ঠিক নয়। অন্যদিকে, ভেজা বাদামের (গ্রাউন্ড নাট) তেল অনেকের ক্ষেত্রে অ্যালার্জির কারণ হয় এবং অতিরিক্ত গরম করলে ক্ষতিকর যৌগ তৈরি করে, যা দীর্ঘমেয়াদে নানা রোগ ডেকে আনে।

ক্যানোলা ও পাম অয়েল খারাপ কেন? অনেকে ক্যানোলা তেলকে স্বাস্থ্যকর মনে করেন, কিন্তু এটি জেনেটিক্যালি মোডিফায়েড এবং কেমিক্যাল প্রসেসড হয়। পাম অয়েলেও ট্রান্স ফ্যাট অনেক বেশি থাকে, এবং এটি শুধু শরীরের ক্ষতি নয়, পরিবেশ ধ্বংসেও ভূমিকা রাখে—বিশেষ করে এর উৎপাদনের জন্য বিশাল বনভূমি কেটে ফেলা হয়।

সয়াবিন ও কর্ন অয়েল স্বাস্থ্যবান্ধব নয় সয়াবিন তেল অত্যাধিক প্রসেসড এবং এতে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকে, যা ইনফ্ল্যামেশন ও হাড়ের ক্ষতির কারণ হতে পারে। কর্ন অয়েলও রিফাইন্ড, এটি খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্টের ক্ষতি করতে পারে। এই দুই তেলও যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো।

কোন তেল ব্যবহার করবেন? স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে কম প্রসেসড, কোল্ড প্রেসড তেল ব্যবহার করা উচিত। গুণগত মানসম্পন্ন অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, তিলের তেল, সরিষার তেল — এই চারটি তেল হলো সেরা পছন্দ। এগুলি প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত এবং শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।

বাইরে ভাজাভুজি বন্ধ করুন রেস্টুরেন্ট বা স্ট্রিট ফুডে ব্যবহৃত তেল প্রায়শই বারবার গরম করা হয়, যা স্বাস্থ্যহানিকর ট্রান্স ফ্যাটের উৎস। তাই বাইরের ভাজা খাবার যতটা সম্ভব কম খাওয়াই ভালো। নিজের রান্নাঘরে স্বাস্থ্যকর তেল ব্যবহার করলেই সুস্থ হৃদয় এবং শরীর ধরে রাখা সম্ভব।