Cooking Oil: হৃদযন্ত্র ভাল রাখার জন্য কোন তেল খাবেন, কোনটা খাবেন না

রান্নায় তেল অপরিহার্য৷ তেলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে শারীরিক সুস্থতার ভালমন্দও৷ আমাদের রান্নাঘরে সাধারণত সর্ষের তেল আর সাদা তেল হিসেবে সানফ্লাওয়ার অয়েলই থাকে৷ এছাড়াও বেশ কিছু তেল আছে৷ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে সেগুলি বেছে নিতে পারেন৷

অলিভ অয়েল সাধারণত ইউরোপীয় রান্নায় বেশি ব্যবহার করা হয়৷ বেকিং, স্যতে করা, স্যালাড সজ্জা-সহ নানা কাজে দরকার হয় এই তেল৷ ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এই তেল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবেও কার্যকর৷ সমীক্ষায় প্রকাশ, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল হেল্দি ফ্যাটের থেকেও উপকারী৷

অলিভ অয়েলে উপস্থিত যৌগ ওবেসিটি এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে৷

অ্যাভোকাডো অয়েলের নিজস্ব স্বাদ নেই বললেই চলে৷ অলিভ অয়েলের বিকল্প হতে পারে এই তেল৷ উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এই তেল খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল সমস্যা কমিয়ে দেয়৷ ভাল কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর অনুপাত বৃদ্ধি করে৷

তিল তেল বা সিসেম অয়েল এখন রান্নায় ট্রেন্ডিং৷ তবে এই তেলে বাদামের গন্ধ পেতে পারেন৷ সমীক্ষায় প্রকাশ, এই তেল শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে৷ কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদযন্ত্র ভাল রাখে৷

চিনেবাদাম থেকে পাওয়া তেল বা পিনাট অয়েল স্বল্পদামী এবং পুষ্টিমূল্যে ভরা৷ সব্জি গ্রিল বা বেক করার জন্য এই তেল প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হয়৷

তবে পিনাট অয়েল হাইড্রোজেনেটেড৷ অর্থাৎ এই তেলে হাইড্রোজেন যোগ করা হয় দীর্ঘ দিন তাজা রাখার জন্য৷ এর ফলে অস্বাস্থ্যকর ট্রান্স ফ্যাট বেড়ে যায় তেলে৷

সয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে৷ বেকিং, সস তৈরি, স্ন্যাক্স ভাজা, স্যালাড ড্রেসিং-সহ নানা কাজে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন৷ এই তেলের পলিআনস্যাচিওরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদযন্ত্রের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয়৷

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে সয়াবিন অয়েলও হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে৷

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।