Cholesterol & Heart Attack: মুখে ফেলুন ২ মশলা! শরীর ছেঁচে বার হবে বদ কোলেস্টেরল! হার্ট অ্যাটাক, ট্রাইগ্লিসারাইডকে টাটা বাই বাই! চরম জব্দ কোষ্ঠকাঠিন্য!

হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে বড় কারণ হলো শিরায় ব্লকেজ। যা সাধারণত কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড প্লেক জমা হওয়ার কারণে হয়। তাই, হার্ট অ্যাটাক এড়াতে হলে এগুলো কমাতে হবে। ভাজা খাবার খেলে এটি বেড়ে যায়, কিন্তু অনেকেই এর আসল কারণ জানেন না। ডায়েটিশিয়ান রমিতা কৌর এটি সম্পর্কে বলেছেন এবং কোলেস্টেরল কমানোর ৬টি কার্যকর উপায়ও বলেছেন।

রমিতা কৌর তার ইন্সটা পোস্টে বলেছেন যে লিভারের কার্যকারিতা খারাপ হওয়ার কারণে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধের কারণে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়। যখন লিভার অতিরিক্ত চর্বি তৈরি করতে শুরু করে, তখন ট্রাইগ্লিসারাইড বৃদ্ধি পায়।

যখন উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায়, তখন ডাক্তার আপনাকে ওষুধ খেতে বলেন। বিশেষজ্ঞের দ্বারা নির্ধারিত ওষুধের পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কিছু ঘরোয়া প্রতিকারও চেষ্টা করতে পারেন। একজন ডায়েটিশিয়ান এর এই ৬টি প্রতিকার আপনার শিরা পরিষ্কার করতে এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে ।

শুকনো ফল দিয়ে দিন শুরু করুন। সকালে খালি পেটে ভেজানো বাদাম এবং আখরোট খান। এগুলো হৃদরোগের জন্য উপকারী চর্বিতে ভরপুর। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ২-৩টি বাদাম এবং ২টি আখরোট জলে ভিজিয়ে রাখুন।

চর্বিযুক্ত খাবার কোলেস্টেরল বাড়ায়, এটি প্রতিরোধ করতে দুপুরের খাবারের পর এক চামচ তিসির বীজ খান। এটি কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য এবং হজমশক্তি ভাল রাখার জন্য ফাইবার অপরিহার্য। এর জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় তাজা শাকসবজি, ফলমূল এবং গোটা শস্যের পরিমাণ বাড়ান। এগুলো ফাইবার সরবরাহ করবে যা কোলেস্টেরলকে আবদ্ধ করে এবং রক্তে এটি বৃদ্ধি পেতে বাধা দেয়।

খাবারের পর ১ কাপ গ্রিন টি পান করুন। এতে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পাবে এবং চর্বি ভাঙতে শুরু করবে। এটি আপনার হজমশক্তি ঠিক রাখবে এবং ওজন বৃদ্ধিও রোধ করবে।

ডায়েটিশিয়ানরাও হৃদরোগ প্রতিরোধে দুটি সেরা মশলার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথমটি হল অর্জুনের ছালের গুঁড়ো, যা হৃদরোগের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং কোলেস্টেরল কমায়।

দ্বিতীয়ত দারচিনি খাওয়া শুরু করুন। এই মশলা ট্রাইগ্লিসারাইড কমায় এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। এর মাধ্যমে আপনি ডায়াবেটিসের সমস্যাও এড়াতে পারবেন।(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)