মুরগির মাংস ভালবাসেন...? খেলে শরীরে কী হয় জানেন? আরেকবার মুখে তোলার আগে জানুন বিশেষজ্ঞের মত

Last Updated:
Chicken Effect: মুরগির মাংস ভালোবাসেন না এমন আমিষভোজী মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। আজকাল অনেকেই মাছ ডিম ছেড়ে প্রায় প্রতিদিনই মুরগির মাংস খান। চিকেন ছাড়া ভাত মুখে রোচে না অনেকেরই।
1/17
মুরগির মাংস ভালোবাসেন না এমন আমিষভোজী মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। আজকাল অনেকেই মাছ ডিম ছেড়ে প্রায় প্রতিদিনই মুরগির মাংস খান। চিকেন ছাড়া ভাত মুখে রোচে না অনেকেরই।
মুরগির মাংস ভালোবাসেন না এমন আমিষভোজী মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। আজকাল অনেকেই মাছ ডিম ছেড়ে প্রায় প্রতিদিনই মুরগির মাংস খান। চিকেন ছাড়া ভাত মুখে রোচে না অনেকেরই।
advertisement
2/17
সাধারণত অনেক বাড়িতেই চিকেন বা মুরগির মাংস পর পর দু'দিন রান্না না হলে মুখ ব্যাজার হয়ে যায় বাচ্চা থেকে বুড়ো, সকলের। চিকেন ছাড়া এক গরাস ভাত মুখে তুলতে চায় না অনেক বাড়ির ছোট বাচ্চারা।
সাধারণত অনেক বাড়িতেই চিকেন বা মুরগির মাংস পর পর দু'দিন রান্না না হলে মুখ ব্যাজার হয়ে যায় বাচ্চা থেকে বুড়ো, সকলের। চিকেন ছাড়া এক গরাস ভাত মুখে তুলতে চায় না অনেক বাড়ির ছোট বাচ্চারা।
advertisement
3/17
প্রায়শই দেখা যায় কেউ কেউ প্রায় প্রতিদিনই মুরগি নয় পাঠার মাংস খেতে ভালবাসেন। আর কারও কারও সপ্তাহে কমপক্ষে চার বা পাঁচবার আমিষ খাবার না হলে চলে না।
প্রায়শই দেখা যায় কেউ কেউ প্রায় প্রতিদিনই মুরগি নয় পাঠার মাংস খেতে ভালবাসেন। আর কারও কারও সপ্তাহে কমপক্ষে চার বা পাঁচবার আমিষ খাবার না হলে চলে না।
advertisement
4/17
যদিও মুরগির মাংস স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, তবুও বিশেষজ্ঞদের মতে এই মাংস বেশি খাওয়া মোটেও ভাল নয়। বস্তুত মুরগির মাংস খেলে আমাদের শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। প্রোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
যদিও মুরগির মাংস স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, তবুও বিশেষজ্ঞদের মতে এই মাংস বেশি খাওয়া মোটেও ভাল নয়। বস্তুত মুরগির মাংস খেলে আমাদের শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। প্রোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
advertisement
5/17
এটি আমাদের শরীরকে অনেক ধরণের ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়। তবে বর্তমানে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন এই মাংস সম্পর্কেও। তাঁরা বলছেন, মুরগির খামারে পালন করা মুরগি খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভাল নয়।
এটি আমাদের শরীরকে অনেক ধরণের ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়। তবে বর্তমানে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন এই মাংস সম্পর্কেও। তাঁরা বলছেন, মুরগির খামারে পালন করা মুরগি খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভাল নয়।
advertisement
6/17
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন মুরগির মাংস খাওয়া, যদিও আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, তবুও কিছু অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে এই মাংস। মুরগির মাংসে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। প্রতিদিন এটি খেলে তা চর্বিতে পরিণত হয় এবং শরীরে জমা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন মুরগির মাংস খাওয়া, যদিও আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, তবুও কিছু অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে এই মাংস। মুরগির মাংসে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। প্রতিদিন এটি খেলে তা চর্বিতে পরিণত হয় এবং শরীরে জমা হয়।
advertisement
7/17
ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকে। হৃদরোগের ঝুঁকিও বেশি হয় চিকেন বেশি খাওয়ার ফলে। একইসঙ্গে রক্তে লিপিডের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়।
ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকে। হৃদরোগের ঝুঁকিও বেশি হয় চিকেন বেশি খাওয়ার ফলে। একইসঙ্গে রক্তে লিপিডের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়।
advertisement
8/17
মুরগির মাংসের মতো উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারের অত্যধিক ব্যবহার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। বলা হয়, এর ফলে আয়ুষ্কাল কমে যায় এবং অকাল মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
মুরগির মাংসের মতো উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারের অত্যধিক ব্যবহার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। বলা হয়, এর ফলে আয়ুষ্কাল কমে যায় এবং অকাল মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
advertisement
9/17
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ হেলথ (এনআইএইচ) দ্বারা করা একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে লাল এবং সাদা মাংস উভয়ই কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে। গবেষণাটি পিয়ার-রিভিউ করা আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ হেলথ (এনআইএইচ) দ্বারা করা একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে লাল এবং সাদা মাংস উভয়ই কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে। গবেষণাটি পিয়ার-রিভিউ করা আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত হয়েছে।
advertisement
10/17
মাংসের সঙ্গে উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন উৎসের তুলনা করে, গবেষকরা দেখেছেন যে সমস্ত প্রাণীজ প্রোটিনের তুলনায় এই মাংস এলডিএল অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টেরল বেশি বৃদ্ধি করে।
মাংসের সঙ্গে উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন উৎসের তুলনা করে, গবেষকরা দেখেছেন যে সমস্ত প্রাণীজ প্রোটিনের তুলনায় এই মাংস এলডিএল অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টেরল বেশি বৃদ্ধি করে।
advertisement
11/17
উদ্ভিদ-ভিত্তিক চিকিৎসক ডঃ মাইকেল গ্রেগার এই বিষয়ে মন্তব্য করেন: "লাল মাংস থেকে সাদা মাংসে স্যুইচ করলে তাতে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ঝুঁকির ক্ষেত্রে তেমন কোনও পার্থক্য হবে না।"
উদ্ভিদ-ভিত্তিক চিকিৎসক ডঃ মাইকেল গ্রেগার এই বিষয়ে মন্তব্য করেন: "লাল মাংস থেকে সাদা মাংসে স্যুইচ করলে তাতে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ঝুঁকির ক্ষেত্রে তেমন কোনও পার্থক্য হবে না।"
advertisement
12/17
তিনি আরও যোগ করেন, "এটি সত্যিই অবাক করার মতো কিছু নয় কারণ আমরা আজকাল মুরগিকে জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত করে মোটা করে তুলছি - এক শতাব্দী আগের তুলনায় ১০ গুণ বেশি চর্বি আজকের এই মুরগিতে। এমন অনেক রেড মিট রয়েছে যেখানে মুরগির তুলনায় কম কোলেস্টেরল-উত্তেজক স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে।"
তিনি আরও যোগ করেন, "এটি সত্যিই অবাক করার মতো কিছু নয় কারণ আমরা আজকাল মুরগিকে জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত করে মোটা করে তুলছি - এক শতাব্দী আগের তুলনায় ১০ গুণ বেশি চর্বি আজকের এই মুরগিতে। এমন অনেক রেড মিট রয়েছে যেখানে মুরগির তুলনায় কম কোলেস্টেরল-উত্তেজক স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে।"
advertisement
13/17
একইসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা মুরগির মাংসে সালমোনেলা এবং ক্যাম্পাইলোব্যাক্টারের মতো ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। মুরগি স্পর্শ করলে, এটি আপনার হাতে লেগে যেতে পারে এবং আপনার পেটে প্রবেশ করতে পারে।
একইসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা মুরগির মাংসে সালমোনেলা এবং ক্যাম্পাইলোব্যাক্টারের মতো ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। মুরগি স্পর্শ করলে, এটি আপনার হাতে লেগে যেতে পারে এবং আপনার পেটে প্রবেশ করতে পারে।
advertisement
14/17
মুরগির খামারিরা মুরগিকে যে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেয়, তা সেই মুরগি খাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
মুরগির খামারিরা মুরগিকে যে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেয়, তা সেই মুরগি খাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
advertisement
15/17
তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার চেয়ে বন্য মুরগি বা দেশি মুরগি খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু বন্য মুরগি বা দেশি মুরগি বাজারে সে ভাবে উপলব্ধ থাকে না। তাই ব্রয়লার মুরগি খেতে হলে সেক্ষেত্রে প্রতিদিনের পরিবর্তে সপ্তাহে দুই বা তিনবার খাওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়।
তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার চেয়ে বন্য মুরগি বা দেশি মুরগি খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু বন্য মুরগি বা দেশি মুরগি বাজারে সে ভাবে উপলব্ধ থাকে না। তাই ব্রয়লার মুরগি খেতে হলে সেক্ষেত্রে প্রতিদিনের পরিবর্তে সপ্তাহে দুই বা তিনবার খাওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়।
advertisement
advertisement
advertisement