Chhyachra Vs Labra: 'ছ্যাঁচড়া' ও 'লাবড়া'র পার্থক্য কী বলুন তো? বাঙালির প্রিয় দুই পদে আসল ফারাক কোথায়? না জানলে জেনে নিন এই বেলা

বাঙালির খাওয়ার আর রান্নার শেষ নেই। খাদ্যরসিক বাঙালির একেক পদে একেক চমক! তা নিরামিষ হোক বা আমিষ তারতম্যে অন্য সব ভারতীয় রান্নাকে বলে বলে দশ গোল দিতে সবসময় রেডি বাঙালি।

আর এহেন বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় দুই পদ হল ছ্যাঁচড়া আর লাবড়া। ভাত হোক বা খিচুড়ি এই দুই পদের সঙ্গত বাঙালির ঘরে ঘরে সুপারহিট। কার না ভাল লাগে এইসব মহার্ঘ্য পদ। অনেকে তো মাছ, মাংস দূরে সরিয়ে রেখে এই পদ দিয়েই সবার করে দেন এক থালা ভাত।

সরস্বতী পুজো, মা লক্ষ্মীর পূজোয় খিচুড়ির সঙ্গে ল্যাবড়া তরকারি কিংবা বিয়ে বাড়িতে দুপুরবেলার মাছের কাঁটা, তেল পটকা দিয়ে করা ছ্যাঁচড়া রান্নার সেই মনমাতানো স্বাদ কার না ভালো লাগে। কিন্তু আপনি কী আদৌ জানেন এই দুই পদের মধ্যে পার্থক্য আসলে কী?

খাওয়ার সময় তো আমরা খেয়েনি, কিন্তু অনেকেই আমরা এই দুটি জিনিসের পার্থক্য জানি না। তাই আর দেরি না করে আমাদের নিউজ ১৮ বাংলার পাতায় দেখে ফেলুন কী ভাবে এই দুটি জিনিসকে আপনি আলাদা করতে পারবেন।

জানেন কি রান্নার সময় ঠিক কোন কোন উপকরণ দিলে তা লাবড়া ও ছ্যাঁচড়া এই দুটি পদের চরিত্র আলাদা আলাদাভাবে চিনিয়ে দেবে? জানেন কি লাবড়ায় কোন সবজি খাটে আর ছ্যাঁচড়ায় কোনটি? না জানলে জেনে নিন। নাহলে বাঙালি হিসেবে লজ্জার শেষ থাকবে না!

লাবড়া কী? সাধারণত পুজো বাড়িতে ব্যবহার করা হয়, এই অসাধারণ রান্নাটি। এই রান্নাটি নিরামিষ হয়, প্রত্যেকটি হিন্দু বাড়িতে সরস্বতী পুজো, লক্ষ্মী পুজোয় খিচুড়ি ভোগের সঙ্গে এমন একটি অসাধারণ পদ থাকবেই। এর মধ্যে থাকে আলু, মিষ্টি আলু, কাঁচকলা, সিম, বেগুন ও আরও নানা রকম সবজি। সবজি যত বেশি ততই বাড়ে এই পদের স্বাদ। আর এই এক পদেই হতে পারে ভোগের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স।

ছ্যাঁচড়া কি জানেন? সাধারণত বিয়ে বাড়ি, অন্নপ্রাশন বা পারলৌকিক কাজের বাড়িতে অনেক মাছ রান্না করা হয়, সেই মাছের তেল পটকা, মাথা মুড়ো, ল্যাজা সমস্ত বেঁচে যাওয়ার পরে শীতকালীন সমস্ত সবজি দিয়ে একটা রান্না করা হয়। তাকে বলা হয় ছ্যাঁচড়া। এটি খেতে কিন্তু অসাধারণ সুস্বাদু। বাঙালি বিয়েবাড়ির দুপুরের খাওয়ারের মেনুতে এই পদ মাস্ট মাস্ট মাস্ট!

এবার তো বুঝতেই পেরে গেলেন, কোন পদ কখন খাওয়া হয়? আর কখন কোন পদটি কোন রান্নায় ব্যবহার করবেন সেটা তো একেবারেই আপনার উপর। তবে খাওয়ার আগে যদি রান্নার একটু ইতিহাস জেনে নিতে পারেন, তাহলে কিন্তু খাবারটি খেতে আরও সুস্বাদু লাগে। কী বলুন?