রান্নাঘরেই আছে! এক চিমটি এই 'মশলা' মুখে দিলেই পালাবে সর্দি-জ্বর! পেটও সাফ হবে!

উত্তুরে হাওয়ার তেজ যেন ক্রমশ বাড়ছে। ঠান্ডায় হাত-পা সেঁধিয়ে যাওয়ার যোগাড়। এর সঙ্গে বাড়ছে জ্বর-জারির প্রকোপ। ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি, ভাইরাল ফিভার। শীতের মরশুমে রোগের হাত থেকে বাঁচতে কী খাবেন? জেনে নিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।

সেলেরি এক ধরণের বীজ। বাঙালি রান্নায় মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ঝাঁনাবাদের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক আমির আনওয়ার বলছেন, শীতকালে ঠান্ডার সঙ্গে মরশুমি রোগের প্রকোপও বাড়ে। এ থেকে বাঁচতে অনেকেই ঘরোয়া টোটকার শরণাপন্ন হন। তবে কাজ খুব একটা হয় না। কিন্তু যদি কেউ শীতের মরশুমে নিয়মিত সেলেরি খান, তাহলে অনেক উপকার পাবেন।

সব বাড়িতেই থাকে। আলাদা করে কিনতেও হবে না। সেলেরির বাংলা নাম হল রাঁধুনি! এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন? কী ভাবে খাবেন এই মশলা, জেনে নিন।

পেটব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি: রাঁধুনি কনকনে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচায়। যাঁরা মাঝেমধ্যেই পেট ব্যথার সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের নিয়মিত খাওয়া উচিত। এতে আরাম মিলবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, পেটব্যথার অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসাতেও আজকাল সেলেরি ব্যবহার করা হচ্ছে। শিশুদেরও নিশ্চিন্তে দেওয়া যায়। কোনও ক্ষতি হবে না।

রাঁধুনি বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং পটাসিয়াম থাকে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে থাকা থাইমোল নামক এনজাইম শরীরে ক্যালসিয়ামের বৃদ্ধি ঘটায়। যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্যও খুব উপকারী। তাছাড়া এতে অ্যান্টিসেপ্টিক, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিপ্যারাসিটিক গুণ রয়েছে।

এই ছোট বীজগুলি সর্দি, কাশি এবং অন্যান্য সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সেলেরিতে থাকা গামা-টারপিনিন পেপটিক আলসার, ডায়াবেটিসের চিকিৎসা এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও কার্যকরী ভূমিকা নেয়।

সেলেরি ভেজে ঘরে রাখলে ওষুধের মতো কাজ করে। এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। সব বয়সের রোগীরাই নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক আমির আনওয়ারের মতে, সেলেরি খাওয়ার আগে অবশ্যই ভেজে নিতে হবে। এটাই এর একমাত্র বিধি।

এর ফলে শক্তি বা পোটেনশিয়াল বেড়ে যায়। ২ বছর বয়স থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত, যে কেউ খেতে পারেন। তিনি বলছেন, শীতে এই ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করলে অনেক উপকার মিলবে।