স্তন্যপান করানোর জন্য নাকি স্তনের গড়ন শিথিল হয়ে যায়--এই ভুল ধারণা পোষণ করেন অনেক নারীই ৷ অথচ বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা বার বার বলেন, স্তন ভারী হয়ে নীচের দিকে শিথিল হয়ে পড়ার কারণ ব্রেস্টফিডিং নয়, বরং প্রেগন্যান্সি ৷ সন্তানধারণের সময় স্তনগ্রন্থিগুলো ফুলে ওঠে ৷ মায়ের দেহকে সন্তানের খাদ্যের যোগান দেওয়ার উপযুক্ত করে তোলে ৷ পরে একসময় শিশু স্তন্যপানের অভ্যাস ছেড়ে দেয় ৷ সে সময় ব্রেস্ট টিস্যু ও গ্ল্যান্ড আবার সঙ্কুচিত হয়ে আগের অবস্থায় ফিরে যায় ৷ ফলে স্তন নীচের দিকে নেমে যায় ৷ লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে ৷ তার অন্যতম হল সঠিক অন্তর্বাস ব্যবহার করা ৷ শৌখিনতা ভুলে সন্তানধারণ ও সন্তানের জন্মের পর সাপোর্টিভ ব্রা পরুন ৷ যাতে স্তনের বেশিরভাগ অংশই আবৃত থাকে ৷ স্তন যাতে সঠিক সাপোর্ট পায় ৷ সেলেবদের ট্রেন্ড দেখে অধিকাংশ নতুন মায়ের প্রবণতা থাকে যত দ্রুত সম্ভব আগের চেহারায় ফিরে যাওয়া ৷ কিন্তু বেবি ফ্যাট খুব তাড়াতাড়ি ঝরিয়ে ফেললে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে ৷ কারণ শরীর দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে না ৷ ফলে শুধু স্তন নয়, শরীরের অন্য অংশের পেশিও নীচের দিকে শিথিল হয়ে যায় ৷ স্তন-সহ দেহের অন্য অংশকে আবার প্রেগন্যান্সি পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা কিন্তু ছেড়ে দিতে হবে ৷ স্তনে মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে ৷ স্তনকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সঠিক মালিশ বা মাসাজ প্রয়োজনীয় ৷