Tapeworm Infections: ফিতাকৃমির ডিম উঠে যাচ্ছে মাথায়,দানা বাঁধছে ব্রেনে, ঘেঁটে দিচ্ছে ঘিলু... এই বর্ষায় ভয় ধরাচ্ছে ' নিউরোসিস্টিসারকোসিস', কীভাবে ছড়াচ্ছে এই রোগ? উপসর্গ কী কী? পড়ুন
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
Last Updated:
Brain-Affecting Tapeworm Infections:নিউরোসিস্টিসারকোসিস তখনই হয় যখন কেউ ভুল করে Taenia solium-এর ডিম খেয়ে ফেলে। এটি কাঁচা বা কম সিদ্ধ শুয়োরের মাংস খাওয়ার ফলে হয় না! কাঁচা বা কম সিদ্ধ শুয়োরের মাংস খেলে শুধু পূর্ণবয়স্ক টেপওয়ার্ম বা ফিতাকৃমি শরীরে প্রবেশ করে, ফিতাকৃমির ডিম নয়।
বর্ষায় ফিতাকৃমি বা টেপওয়ার্ম সংক্রমণ বা ‘নিউরোসিস্টিসারকোসিস’-এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়, আর এই নিয়ে চিকিৎসামহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মুম্বইয়ের একটি নামী হাসপাতাল জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষত মহানগরগুলোতে এই সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ও সিডিসি-র মতে, এটি একটি প্রতিরোধযোগ্য পরজীবীজনিত রোগ। তবে এখনও পর্যন্ত স্বল্প স্বাস্থ্যসচেতনতা এবং অস্বচ্ছ স্যানিটেশন ব্যবস্থার কারণে বহু এলাকায় এই সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। Representative Image Image Generated By AI
advertisement
নিউরোসিস্টিসারকোসিস কী? ' নিউরোসিস্টিসারকোসিস' হল একটি গুরুতর মস্তিষ্কজনিত সংক্রমণ, যা শূকর টেপওয়ার্ম (Taenia solium)-এর লার্ভা থেকে হয়। এই সংক্রমণ সাধারণত এমন অঞ্চলে বেশি দেখা যায় যেখানে স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভাল নয় এবং শূকরের মাংস খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। Representative Image Image Generated By AI
advertisement
নিউরোসিস্টিসারকোসিসের কারণ কী? নিউরোসিস্টিসারকোসিস তখনই হয় যখন কেউ ভুল করে Taenia solium-এর ডিম খেয়ে ফেলে। এটি কাঁচা বা কম সিদ্ধ শুয়োরের মাংস খাওয়ার ফলে হয় না! কাঁচা বা কম সিদ্ধ শুয়োরের মাংস খেলে শুধু পূর্ণবয়স্ক টেপওয়ার্ম বা ফিতাকৃমি শরীরে প্রবেশ করে, ফিতাকৃমির ডিম নয়। Representative Image Image Generated By AI
advertisement
তা হলে ফিতাকৃমির ডিম কীভাবে শরীরে ঢোকে? শৌচাগার ব্যবহারের পর হাত না ধোয়া। মানুষের মল দ্বারা দূষিত খাবার বা জলেও থাকতে পারে টেপওয়ার্মের ডিম। যাঁদের অন্ত্রে টেপওয়ার্ম আছে এবং যাঁদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি খারাপ, তাঁদের সংস্পর্শে এলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। মাথায় রাখবেন, একজন মানুষের থেকে আর এক জন মানুষের শরীরে ফিতাকৃমির ডিম ঢোকে, শুয়োরের মাধ্যমে কিন্তু নয়। Representative Image Image Generated By AI
advertisement
ভারী বৃষ্টিপাতে নিকাশি ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে মানুষের মল জলাধারের সঙ্গে মিশে যায়। এর ফলে Taenia solium-এর ডিম দ্বারা দূষিত জল বা খাবার খাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। গ্রামীণ এলাকা বা শহরের বস্তিগুলিতে বর্ষায় শৌচাগার উপচে পড়ে বা খোলামেলা স্থানে মলত্যাগের পরিমাণ বাড়ে। এর ফলে নোংরা হাত, দূষিত খাবার বা অপরিচ্ছন্ন পৃষ্ঠের মাধ্যমে পরজীবী ডিম ছড়িয়ে পড়ে। Representative Image Image Generated By AI
advertisement
advertisement
বন্যার জলে ধোয়া শাকসবজি বা কাঁচা খাবারে T. solium-এর ডিম থাকতে পারে। এই ধরণের খাবার কাঁচা বা কম রান্না করে খেলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বর্ষাকালে সাধারণভাবে পরজীবী ও জলবাহিত রোগ যেমন অ্যামিবিয়াসিস, জিয়ার্ডিয়াসিস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ বেড়ে যায়, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে তোলে। ফলে যদি কেউ নিউরোসিস্টিসারকোসিসে আক্রান্ত হন, তা হলে রোগ প্রতিরোধ আরও কঠিন হয়ে পড়ে। Representative Image Image Generated By AI
advertisement
নিউরোসিস্টিসারকোসিসের উপসর্গ কী কী? খিঁচুনি বা ফিট হল সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ। পাশাপাশি মাথাব্যথা, বমি, বমি বমি ভাব বা মানসিক অস্থিরতা হতে পারে। দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দেখা দিতে পারে। হাইড্রোসেফালাস (মস্তিষ্কে তরল জমে যাওয়া) স্ট্রোকের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আবার কখনও কখনও কোনও উপসর্গই দেখা যায় না—বছরের পর বছর কেটে যাওয়ার পর হঠাৎ একদিন প্রকাশ পায়। Representative Image Image Generated By AI