Health Benefit: চেনা গাছের অচেনা গুণ! প্রেশার-সুগার সবই রাখে নিয়ন্ত্রণে...বলছেন খোদ চিকিৎসকেরাই

আমাদের বাড়ির আশেপাশে প্রায়ই দেখা যায়৷ বেড়েও ওঠে অযত্নে৷ এমনকি, আমরা শখ করে ফুলেও টবেও বসিয়ে থাকি এই গাছ৷ হাল্কা গোলাপি রঙের ফুল হয় ছোট ছোট৷ গুল্ম জাতীয় এই উদ্ভিদের ফুলের পাপড়ি, এমনকি, পাতাতেও লুকিয়ে রয়েছে দুর্দান্ত ভেষজ গুণ৷ এর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ তো রয়েছেই, পাশাপাশি, সুগার-প্রেশার কমাতেও দুর্দান্ত কাজে দেয় এই গাছের ফুল ও পাতা৷

গাছটির নাম নয়নতারা৷ প্রায় প্রতিটি বাঙালির কাছেই এটি একটি অত্যন্ত পরিচিত গাছ৷ বিজ্ঞানসম্মত নাম, ক্যাথারানথাস রোসেআস৷ এই গাছের পাতা ও ফুলের পাপড়িতে রয়েছে ফ্ল্যাভেনয়েডস, অ্যালকালয়েড, ফাইটোকেমিক্যালস যেমন, ভিনক্রিস্টিন, ভিনব্লাস্টিন, ভিনকার্ডিন ইত্যাদি৷

এই গাছের পাতা ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাল সংক্রমণ রোধ করতে পারে। এর মধ্যে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি গুণাবলিও রয়েছে৷ এই পাতা নিয়মিত খেলে শরীরে টিউমার প্রতিরোধী ক্ষমতাও গড়ে ওঠে।

https://pharmeasy.in/-এর ব্লগে চিকিৎসক রাজীব সিং জানাচ্ছেন, এই গাছের পাতার রস টাইপ ২ ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য দুর্দান্ত কার্যকরী৷ শুধু তাই নয়, এই নয়নতারা গাছের পাতার রস রক্তচাপ কমানোর জন্যেও অত্যন্ত উপযোগী৷

এই পাতা কিংবা ফুলের রস চুলের গোড়ায় লাগালেও চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন৷ পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই তা কার্যকরী৷

বিশেষজ্ঞ এবং দীর্ঘদিন ধরে আয়ুর্বেদিক গাছ-গাছালির যত্ন নেওয়া বিনোদ শর্মা বলেন, ‘‘এই গাছ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই কার্যকর। এর পাতা ও ফুল সুগার ও প্রেশারের রোগীদের জন্য ভাল ওষুধ। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা ২ থেকে ৩টি পাতা ও ফুল চিবিয়ে খেলে ডায়াবেটিস ও হাই ব্লাড প্রেশারের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

তবে যে সমস্ত রোগীদের লিথিয়াম নিয়ে সমস্যা রয়েছে, তাঁদের এই গাছের পাতা বা ফুলের রস না খাওয়াই উচিত৷

(Disclaimer: এই প্রতিবেদনে থাকা তথ্যের সত্যতা নিউজ ১৮ বাংলা নিশ্চিত করে না৷ প্রয়োজনে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷)