Interesting Fact about Bengali Proverb: শত্রুতা থাকলেই কেন বলি ‘আদায় কাঁচকলায়’ সম্পর্ক? কীভাবে এই প্রবাদের জন্ম, জানুন

কোনও সম্পর্কে শত্রুতা বা বৈরিতা থাকলে বা মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে গেলে আমরা কথায় কথায় বলি ‘আদায় কাঁচকলায়’৷ কিন্তু কেন এই প্রবচনের জন্ম হল?

এই প্রবচনের সঙ্গে জড়িতে প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্র৷ আয়ুর্বেদ অনুসারে আদা এবং কাঁচকলার গুণ সম্পূর্ণ বিপরীত৷ ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)

আয়ুর্বেদ অনুযায়ী আদার বৈশিষ্ট্য হল রেচন৷ অর্থাৎ আদা খেলে পেট পরিষ্কার অথবা কোষ্ঠ সাফ হয়৷

অন্যদিকে কাঁচকলার গুণ হল পাচন৷ অর্থাৎ কাঁচকলা খেলে খাবার ভাল পরিপাক হয়৷ তাই পেটের গণ্ডগোল ঠিক করতে খেতে বলা হয় কাঁচকলা৷

খাদ্যগুণের বৈপরীত্যের পাশাপাশি রান্নাতেও আছে উল্টোভাব৷ দক্ষ রাঁধুনিদের অভিজ্ঞতা, কাঁচাকলা রান্নার সময় আদাবাটা দিলে সিদ্ধ হতে চায় না৷

আবার অনেকে বলেন, কাঁচাকলায় আদা দিলে তার স্বাদ তিতকুটে হয়৷ এই একাধিক বৈপরীত্য মিলিয়ে বৈরিতাকে বলা হয় আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক৷ ( ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)

তবে ব্যতিক্রমও আছে৷ শুক্তোর প্রধান উপকরণ আদাবাটা এবং কাঁচকলা৷ এক্ষেত্রে শুক্তোর স্বাদ এমনিতেই তিক্ত৷ তাই দুই তিক্ততায় কাটাকুটি হয়ে যায়৷ কাঁচকলার কোফতাতেও আদাবাটা দেওয়া হয়৷

এই সামান্য ব্যতিক্রম ছাড়া সামগ্রিক ভাবে আদা ও কাঁচকলার বিশেষ মুখ দেখাদেখি নেই রান্নার কড়াইয়ে৷ তাই সম্পর্কে মুখ দেখাদেখি না থাকলেও সেটা ‘আদায় কাঁচকলায়’৷ (ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। (সব ছবি-নেটমাধ্যম)