Baking Soda and Baking Powder : বেকিং সোডা এবং বেকিং পাউডারের মধ্যে পার্থক্য কী? চিনে নিন রান্নাঘরের এই দুই উপকরণকে

‘বেকিং সোডা’ এবং ‘বেকিং পাউডার’ নাম দু’টির সঙ্গে পরিচয় অনেকেরই আছে৷ কিন্তু রান্নাঘরে তাদের ভূমিকা নিয়ে ধন্ধ সকলের কাটেনি৷ দুই উপাদানের নামেই জুড়ে আছে ‘বেকিং’ শব্দ৷ আবার চেহারাতেও সাদৃশ্য৷ ফলে আরও ধোঁয়াশা৷ বাঙালি হেঁসেলে অবশ্য বেকিং সোডা হয়ে গিয়েছে ‘খাওয়ার সোডা’৷ বেকিং পাউডার অবশ্য নিজের নামেই বিরাজমান৷

যৌগিক গঠন এবং ব্যবহার, দু’দিক দিয়েই আলাদা বেকিং সোডা ও বেকিং পাউডার৷ এই দুই উপাদানই বেকিং-এর সঙ্গে যুক্ত৷ ফলে নামের সঙ্গে বসে আছে এই পরিচয়৷ কোনও মিশ্রণ বা মণ্ডে এই দুটি উপাদান মেশালে সেটি ফুলে উঠবে৷

বেকিং পাউডার তৈরি হয় বেকিং সোডা ও অ্যাসিডের মিশ্রণে৷ সব সময় যে কোনও ব্যাটার তৈরির শেষ ধাপে এটি মেশানো হয়৷ এর ফলে কেক বেশ ফোলা ফোলা ও নরম হয়৷

অন্যদিকে বেকিং সোডা ক্ষারকীয়৷ মিশ্রণে কোনও অ্যাসিড জাতীয় পদার্থ থাকলে এর কার্যকারিতা সবথেকে ভাল হয়৷ ব্যাটারে পরিমিত পরিমাণে বেকিং সোডা মেশান হয়৷ নয়তো খাবারের স্বাদ সাবানের মতো ফেনাভ হয়ে যেতে পারে৷ ব্যাটার অনুযায়ী বেকিং সোডা সামান্যই ব্যবহার করা হয়৷

বেকিং পাউডারের কার্যকারিতার জন্য কোনও অ্যাসিডজাতীয় উপাদানের দরকার হয় না৷ এর উপযোগিতার জন্য প্রয়োজন জল বা জলীয় পদার্থ৷ জলের সংস্পর্শে এলেই বেকিং পাউডার তার কাজ শুরু করে৷

তবে বেকিং পাউডারের পরিমাণও রেসিপিতে সুনির্দিষ্ট ৷ তুলনায় বেশি হয়ে গেলে খাবারের স্বাদ তিতকুটে হয়ে যায় ৷ কিছু খাবারে বেকিং সোডা ও বেকিং পাউডার দু’টিই দিতে হয় ৷ সেক্ষেত্রে উপকরণের পরিমাণ নিয়ে খুবই সতর্ক থাকতে হয় ৷

কী করে বুঝবেন বেকিং সোডা ও বেকিং পাউডার এখনও ব্যবহারের উপযুক্ত আছে? সহজেই করে নিন একটা রাসায়নিক পরীক্ষা ৷ বেকিং সোডার সঙ্গে মেশান দুই চামচ সোডা ও ভিনিগার ৷ যদি মিশ্রণে বুদ্বুদ দেখা দেয়, তা হলে বুঝতে হবে সেটি এখনও ব্যবহারের উপযু্ক্ত৷

বেকিং পাউডারের ক্ষেত্রে, দু’ চামচ এই গুঁড়োর সঙ্গে জল মেশান৷ যদি উপযুক্ত পরিমাণে বুড়বুড়ি ভেসে ওঠে, বুঝবেন সেটি এখনও ব্যবহার করা যাবে৷ দু’টি উপাদানই রান্না ছাড়াও আরও অনেক কাজে ব্যবহৃত হয়৷