Ashwin Sankranti Rituals: আশ্বিনে রাঁধে, কার্তিকে খায়...কচু, শাপলা, তেঁতুল দিয়ে তৈরি হল গাড়ুর ডাল...হেমন্তের আগমনে উদযাপিত নল সংক্রান্তি

Last Updated:
ভোগে থাকে ডাল, নারকেল, কলা ও নানা ফল-মিষ্টি। পুজো শেষে উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনির সঙ্গে উচ্চারিত হয় ঐতিহ্যবাহী মন্ত্র“বুরা গিয়া ভালা আ, আপদ বালাই দূরে যা, মশা মাছি দূরে যা।” গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে মিশে থাকা এই গারু সংক্রান্তি শুধু এক ব্রত নয়, প্রকৃতি, কৃষি ও পারিবারিক ঐক্যের এক অমলিন ঐতিহ্য!
1/5
অশ্বিনী রাধে কার্তিকে খায়, যেই বর মাগে সেই বর পায়
অশ্বিনী রাধে কার্তিকে খায়, যেই বর মাগে সেই বর পায়"...এই নিয়ম মানলে যা কিছু অশুভ তা দূরে গিয়ে মন থেকে কিছু চাইলে তাই নাকি মেলে! শুধু নিয়ম মেনে খেতে হবে বিশেষ ডাল। গ্রামবাংলার চিরাচরিত গারু সংক্রান্তির রীতি আজও অটুট। বাংলার গ্রামাঞ্চলে আজও টিকে আছে এক প্রাচীন লোকাচার গারু সংক্রান্তি বা গারসি ব্রত।
advertisement
2/5
কবে , কিভাবে পালিত হয় এই নিয়ম জানেন? আশ্বিন মাসের সংক্রান্তিতে পালিত এই বিশেষ দিনে গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে রান্না হয় এক অনন্য পদ গারুর ডাল। এই সংক্রান্তি প্রতিবছর হেমন্তের ধানে শীষ এলেই এই পালিত হয়।মূলত সকালে স্নান সেরে তুলসীতলা পরিষ্কার করে শুরু হয় গারু সংক্রান্তির ব্রত পালনের আচার। বাড়ির মেয়ে-বউরা ভোরবেলাতেই গারুর ডাল রান্না করেন। ব্রতের শেষে এই ডাল খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করেন সকলে।
কবে , কিভাবে পালিত হয় এই নিয়ম জানেন? আশ্বিন মাসের সংক্রান্তিতে পালিত এই বিশেষ দিনে গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে রান্না হয় এক অনন্য পদ গারুর ডাল। এই সংক্রান্তি প্রতিবছর হেমন্তের ধানে শীষ এলেই এই পালিত হয়।মূলত সকালে স্নান সেরে তুলসীতলা পরিষ্কার করে শুরু হয় গারু সংক্রান্তির ব্রত পালনের আচার। বাড়ির মেয়ে-বউরা ভোরবেলাতেই গারুর ডাল রান্না করেন। ব্রতের শেষে এই ডাল খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করেন সকলে।
advertisement
3/5
এই ডালের বিশেষত্ব এর উপকরণেই। মটর, খেসারি, নানা ধরনের শাকসবজি যেমন আলু, পটল, ঝিঙে, মুলো, কুমড়ো, গাঠি কচু, শাপলা, এমনকি জঙ্গলের আলুও মেশানো হয় এতে। বুড়ো হলুদ নয় ব্যবহার করতে হয় বাটা কাঁচা হলুদ। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, যত প্রকার শাকসবজি এই ডালে মেশানো হবে, তত রকম ফসল ও সবজির ফলন ভাল হবে বছরভর।
এই ডালের বিশেষত্ব এর উপকরণেই। মটর, খেসারি, নানা ধরনের শাকসবজি যেমন আলু, পটল, ঝিঙে, মুলো, কুমড়ো, গাঠি কচু, শাপলা, এমনকি জঙ্গলের আলুও মেশানো হয় এতে। বুড়ো হলুদ নয় ব্যবহার করতে হয় বাটা কাঁচা হলুদ। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, যত প্রকার শাকসবজি এই ডালে মেশানো হবে, তত রকম ফসল ও সবজির ফলন ভাল হবে বছরভর।
advertisement
4/5
বিশেষভাবে গারুর ডালে কচু অপরিহার্য। মান কচু, দুধ কচু, কৃষ্ণ কচু...সবই থাকে এই রান্নায়। উল্লেখযোগ্য, এই দিনের রান্নায় তেল ও হলুদের ব্যবহার নিষিদ্ধ। ব্রতের সময় তুলসীতলায় ঘটে জল রাখা হয়, তাতে বিজোড় সংখ্যার আম্রপল্লব, আর নুন দিয়ে আঁকা হয় স্বস্তিক চিহ্ন।
বিশেষভাবে গারুর ডালে কচু অপরিহার্য। মান কচু, দুধ কচু, কৃষ্ণ কচু...সবই থাকে এই রান্নায়। উল্লেখযোগ্য, এই দিনের রান্নায় তেল ও হলুদের ব্যবহার নিষিদ্ধ। ব্রতের সময় তুলসীতলায় ঘটে জল রাখা হয়, তাতে বিজোড় সংখ্যার আম্রপল্লব, আর নুন দিয়ে আঁকা হয় স্বস্তিক চিহ্ন।
advertisement
5/5
ভোগে থাকে ডাল, নারকেল, কলা ও নানা ফল-মিষ্টি। পুজো শেষে উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনির সঙ্গে উচ্চারিত হয় ঐতিহ্যবাহী মন্ত্র“বুরা গিয়া ভালা আ, আপদ বালাই দূরে যা, মশা মাছি দূরে যা।” গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে মিশে থাকা এই গারু সংক্রান্তি শুধু এক ব্রত নয়, প্রকৃতি, কৃষি ও পারিবারিক ঐক্যের এক অমলিন ঐতিহ্য!
ভোগে থাকে ডাল, নারকেল, কলা ও নানা ফল-মিষ্টি। পুজো শেষে উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনির সঙ্গে উচ্চারিত হয় ঐতিহ্যবাহী মন্ত্র“বুরা গিয়া ভালা আ, আপদ বালাই দূরে যা, মশা মাছি দূরে যা।” গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে মিশে থাকা এই গারু সংক্রান্তি শুধু এক ব্রত নয়, প্রকৃতি, কৃষি ও পারিবারিক ঐক্যের এক অমলিন ঐতিহ্য!
advertisement
advertisement
advertisement