Chinese Vs Indian Garlic: বাজার থেকে যা আনছেন সবই চিনা রসুন? বিষ খাচ্ছেন রোজ...? দেশি চেনার সহজ উপায় জানুন

দেশের নয়, যা ঘরে আনছেন সব চিনা রসুন! বাজারে গিয়ে রোজ ঠকে যাচ্ছেন? কী ভাবে বুঝবেন কোনটা দেশি? জেনে নিন সহজ উপায়! বড় বড় কোয়া দেখে রসুন নেন রান্নায়? দেখতে সুন্দর লাগলেই কিনে নিচ্ছেন এই রসুন? বড় ভুল করছেন জানেন! চিকিৎসকদের মতে এই রসুন খেলে শরীরের ক্ষতি হয়।

কারণ, এটি চাইনিজ রসুন! আমদানি হচ্ছে চিন থেকে। দেশের সমস্ত প্রান্তের সবজির বাজার ছেয়ে গিয়েছে এই চিনে রসুনে! ২০১৪ সাল থেকে এই রসুন ভারতে নিষিদ্ধ! তাও আজকাল নির্বিচারে ঢুকে পড়ছে বাজারে। এরকমটা হচ্ছে কারণ, কেউই প্রায় দেশি আর চিনে রসুনের তফাত জানেন না। কেনার সময় বুঝতে পারছেন না। আসুন, জেনে নেওয়া যাক দেশি রসুন চেনার সহজ উপায়।

যখনই বাজার থেকে রসুন কিনবেন, খেয়াল রাখবেন, সাইজ যেন ছোট হয়। কারণ, দেহি রসুন কখনওই চিনা রসুনের মতো বড় হয় না। স্থানীয় রসুনের কোয়া পাতলা হয়, চিনা রসুনের কোয়া তুলনায় অনেকটাই মোটা। এতে দাগও থাকে। চিনে রসুন দেখতে ধবধবে সাদা, মসৃণ। কারণ এতে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। দেশি রসুন হবে একটু ক্রিম রঙের বা হলদেটে। এর কোয়া হাতে ঘষলে সামান্য আঠালো ভাব থাকবে।

যদি রসুন কেনা হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে একটা কোয়া ভেঙে গন্ধ নিন। দেশি রসুনের ঝাঁঝ বেশি, চিনা রসুনের গন্ধ তেমন তীব্র নয়। সহজে খোসা ছাড়ানো যায় চিনে রসুনের। তাই অনেকেই পছন্দ করেন। দেশি রসুনের সূক্ষ্ম আঁশ থাকে, তাই খোসা ছাড়াতে একটু সময় লাগে। 

চিন ব্যাপক হারে রসুন উৎপাদন করে। তাই সেখানে রসুনের দ্রুত বৃদ্ধি এবং সংরক্ষণে কৃত্রিম পদার্থ বা রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। চিনা রসুনে জিঙ্ক এবং আর্সেনিকের মতো ক্ষতিকর ধাতু রয়েছে যা ক্যান্সার তৈরি করে।

ইউনিটাইটেড নেশনের পক্ষ থেকে আগেই চিনে রসুন ব্যান করা হয়। এক মার্কিন সেনেটর ২০১৭ সালে জানান চিনে রসুন শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক নানা রকম রাসায়নিক এতে মিশে থাকে বলেই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক বলেছিলেন যে চিনা রসুনকে মিথাইল ব্রোমাইডযুক্ত ছত্রাকনাশক দিয়ে ফেলে রাখা হয় যাতে ছয় মাস পর্যন্ত ছত্রাকের বৃদ্ধি রোধ করা হয়।

এই রসুন খেলে পেটের রোগ, যেমন আলসার, ইনফেকশন ইত্যাদি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিডনির উপরও কুপ্রভাব ফেলে এই চিনে রসুন। তাই আমাদের দেশে নিষিদ্ধ হয়েছিল ২০১৪ সালে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।