Alchohol At Home: 'বেয়ারা চালাও ফোয়ারা, জিন, শেরি, শ্যাম্পেন রাম...' কিন্তু আইনিভাবে বাড়িতে কতটা মদ রাখা যায়? পার্টির মরশুমে আগেভাগে জেনে নিন
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
Last Updated:
অনেকেই পার্টির জন্য অ্যালকোহল কেনা শুরু করেছেন। কিন্তু আনন্দ-ফূর্তির মধ্যেই একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, আইনি ভাবে বাড়িতে কতটা মদ রাখা যায়?
দরজায় কড়া নাড়ছে বড়দিন, তার পরেই হই হই করে চলে আসবে নতুন বছর। ২০২৬। কাউন্টাডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে! উৎসবের আমেজে ভাসছে তামাম দেশবাসী। পান-পাত্রে সোনালী তরল, পার্টির ফূর্তি চতুর্দিকে! অনেকেই পার্টির জন্য অ্যালকোহল কেনা শুরু করেছেন। কিন্তু আনন্দ-ফূর্তির মধ্যেই একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, আইনি ভাবে বাড়িতে কতটা মদ রাখা যায়?
advertisement
advertisement
দেশের একাধিক অংশে মদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যেমন বিহার। এই রাজ্যে ২০১৬ সাল থেকে মদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ফলে সেখানে মদ রাখা বা পান করা ফৌজদারি অপরাধ। গুজরাতে ১৯৬০ সাল থেকেই মদের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে পর্যটক ও অনাবাসী ভারতীয়দের (এনআরআই) জন্য বিশেষ পারমিটের মাধ্যমে সীমিত ভাবে মদ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়।নাগাল্যান্ডে ১৯৮৯ সাল থেকে মদ নিষিদ্ধ। মিজোরামে বর্তমানে মদ্যপানের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। লক্ষদ্বীপ একমাত্র কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যেখানে মদের উপর নিষেধাজ্ঞা আছে। তবে ব্যতিক্রম হিসেবে পর্যটকরা বাঙ্গারাম দ্বীপে মদ্যপান করতে পারেন, যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য তা অনুমোদিত নয়।
advertisement
মণিপুরে বহু দশক ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মদ্যপানের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে। যদিও রাজস্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০২৩ সালের শেষের দিকে সরকার আংশিক শিথিলতার ঘোষণা করেছিল, তবে সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়নি। যে'সব রাজ্যে মদ্যপান বৈধ, সেখানে আবগারি দফতর ঘরে কতটা মদ রাখা যাবে এবং এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কতটা মদ বহন করা যাবে, সে বিষয়ে কড়া সীমা নির্ধারণ করে দেয়।
advertisement
উত্তর প্রদেশে অন্য রাজ্য থেকে সর্বোচ্চ এক লিটার পর্যন্ত সিল করা বোতলে মদ আনা যায়।দিল্লিতে বাসিন্দারা বাড়িতে সর্বোচ্চ ১৮ লিটার পর্যন্ত মদ রাখতে পারেন, যার মধ্যে বিয়ার ও ওয়াইনও অন্তর্ভুক্ত। দিল্লি আবগারি আইন, ২০০৯ অনুযায়ী, ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সী কোনও ব্যক্তি হুইস্কি, রাম, ভদকা বা জিনের মতো স্পিরিটস সর্বোচ্চ ৯ লিটার পর্যন্ত রাখতে পারেন। দিল্লি হাইকোর্ট স্পষ্ট করেছে, বয়সসীমা পূরণকারী পরিবারের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক সদস্য নির্ধারিত সীমার মধ্যে মদ রাখতে পারেন। তবে রাজধানীর বাইরে বহন করা যাবে সর্বোচ্চ এক লিটার মদ।
advertisement
হরিয়ানায় বাসিন্দাদের জন্য ভারতীয় মদ, বিদেশি মদ, বিয়ার, ওয়াইন ও স্পিরিটস—এই বিভিন্ন শ্রেণিতে সীমিত পরিমাণে মদ রাখার অনুমতি রয়েছে। মোট বোতলের সংখ্যা এবং আমদানি করা মদের পরিমাণ, দুয়ের উপরই নির্দিষ্ট সীমা আরোপ করা হয়েছে।উত্তর প্রদেশে বাড়িতে সর্বোচ্চ ১.৫ লিটার বিদেশি মদ ও ভারতীয় মদ রাখা যায়। ৬ লিটার পর্যন্ত বিয়ার এবং ২ লিটার পর্যন্ত ওয়াইন বাড়িতে রাখতে পারেন। এর বেশি মজুত করতে চাইলে এল-৫০ (L-50) লাইসেন্স নিতে হয়, যা বিদেশি মদের সীমা বাড়িয়ে ৭.৫ লিটার পর্যন্ত করে।
advertisement
রাজস্থানে বাড়িতে সর্বোচ্চ ৯ লিটার আইএমএফএল রাখার অনুমতি রয়েছে।হিমাচল প্রদেশের পার্বত্য এলাকায় অনুমোদিত সীমা তুলনামূলকভাবে বেশি। সেখানে বহু বোতল বিয়ার ও হুইস্কি রাখার অনুমতি রয়েছে। অন্ধ্র প্রদেশে লাইসেন্স ছাড়াই ৩ বোতল আইএমএফএল বা বিদেশি মদ এবং ৬ বোতল বিয়ার রাখা যায়।অরুণাচল প্রদেশ আবগারি আইন অনুযায়ী, বৈধ লাইসেন্স ছাড়া ১৮ লিটারের বেশি আইএমএফএল বা দেশি মদ রাখা নিষিদ্ধ। পশ্চিমবঙ্গে ২১ বছরের বেশি বয়সীরা ৬ বোতল আইএমএফএল এবং সর্বোচ্চ ১৮ বোতল বিয়ার রাখতে পারেন।
advertisement
গোয়ায় আইএমএফএল, বিয়ার ও দেশি মদের ক্ষেত্রে ছাড় অনেক বেশি। কেরলে ৩ লিটার আইএমএফএল এবং ৬ লিটার বিয়ার রাখার অনুমতি রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে নির্দিষ্ট বোতল সংখ্যার মধ্যে আইএমএফএল ও বিয়ার মজুত করা যায়। মধ্যপ্রদেশে আলাদা একটি বার্ষিক ফি দিলে বাড়িতে সর্বোচ্চ ১০০ বোতল পর্যন্ত মদ রাখার অনুমতি মেলে।
advertisement
আইনি মদ্যপানের বয়সও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ, এবং তা রাজ্যভেদে ভিন্ন। গোয়া, হিমাচলপ্রদেশ, রাজস্থান ও সিকিমে ১৮ বছর বয়স থেকেই মদ্যপানের অনুমতি রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশে ন্যূনতম বয়সসীমা ২১ বছর। কেরলে মদ্যপানের ন্যূনতম বয়স ২৩ বছর। দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে মদ্যপানের জন্য ২৫ বছর বয়সের শর্ত রয়েছে। যদিও মহারাষ্ট্রে ২১ বছর থেকেই বিয়ার পান করার অনুমতি মেলে।









