Cholesterol Chart Agewise: বয়স অনুযায়ী রক্তে কোলেস্টেরল লেভেল কত হওয়া উচিত...? LDL/HDL-এর 'স্বাভাবিক' মাত্রা কত? হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কততে? মিলিয়ে নিন চার্ট
- Published by:Ananya Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Agewise Cholesterol Chart: কোলেস্টেরল নেই তো? 'বয়স' অনুযায়ী রক্তে 'কোলেস্টেরল' লেভেল 'কত' হলে আপনি ফিট? কত হলে হার্ট অ্যাটাক রিস্ক? দেখে নিন সম্পূর্ণ লিস্ট...
বয়স যত বাড়ে, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও তত বাড়তে থাকে। বয়স ২০ পেরোলেই তাই প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এক বার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা উচিত। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, ৩৫ বা তার বেশি বয়সি পুরুষ এবং ৪৫ বা তার বেশি বয়সি মহিলাদের অধিকাংশের শরীরে ক্ষতিকর মাত্রায় কোলেস্টেরল পাওয়া যায়।
advertisement
কোলেস্টেরলের মাত্রা যত বাড়ে, হৃদরোগের ঝুঁকিও তত বৃদ্ধি পায়। তাই এই বিষয়ে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। তাই অবহেলা না-করে নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করাতে হবে।
advertisement
কোলেস্টেরলের মাত্রা জানতে রক্ত পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষায় রক্তে থাকা বিভিন্ন প্রকার চর্বির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। একে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় লিপিড প্রোফাইল বা লাইপোপ্রোটিন প্রোফাইল বলা হয়।
advertisement
রোগীর লিপিড প্রোফাইল থেকে চর্বির আনুপাতিক পরিমাণ যাচাই-বাছাই করে কোলেস্টেরল মাত্রার একটি সামগ্রিক ধারণা পাওয়া যায়। নির্ভুল ফলাফলের জন্যে পরীক্ষাটি করার আগে আনুমানিক ১০ ঘণ্টা খালি পেটে থাকতে হয়। শরীরে বিভিন্ন ধরনের লিপিড বা চর্বি রয়েছে।
advertisement
এর মধ্যে ৪টি লিপিডের মাত্রা জানা থাকলেই শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নির্ণয় করা যায়। লিপিডগুলি হল--কম ঘনত্ব যুক্ত লাইপোপ্রোটিন বা এলডিএল বা লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিনঅধিক ঘনত্ব যুক্ত লিপো-প্রোটিন বা এইচডিএল বা হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিনট্রাইগ্লিসারাইডশরীরের সমস্ত কোলেস্টেরল বা টোটাল কোলেস্টেরল।
advertisement
লিপিড প্রোফাইলে মূলত এই ৪টি লিপিডের পরিমাণই গণনা করা হয়। এ বার দেখে নেওয়া যাক, সুস্থ শরীরে এই লিপিডের মাত্রা কত থাকা উচিত।
advertisement
কম ঘনত্ব যুক্ত লাইপোপ্রোটিন বা এলডিএল: এটিকে খারাপ বা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বলা হয়। কেননা উচ্চ রক্তচাপ-সহ হৃদযন্ত্রের অন্যান্য রোগের অন্যতম কারণ এই লাইপোপ্রোটিন।
advertisement
রক্তনালীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় এটি রক্তনালীর গায়ে জমা হতে থাকে। ফলস্বরূপ রক্তনালী ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে যায়। দীর্ঘ দিন জমা হওয়ার কারণে এক সময় রক্তপ্রবাহে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই জটিল অবস্থাটিকে বলা হয় অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস।
advertisement
স্বাভাবিক মাত্রা: প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও মহিলার শরীরে এলডিএল কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ১০০ মিলিগ্রাম বা তার কম থাকলে তা আদর্শ। ১৩০মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার পর্যন্ত এটি গ্রহণযোগ্য। এর বেশি হলেই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
advertisement
সর্বোচ্চ মাত্রা: রক্তে এই এলডিএল কোলেস্টেরলের সর্বোচ্চ মাত্রা ১৯০মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার। এই মাত্রায় পৌঁছলে যে কোনও সময় হার্ট অ্যাটাক-সহ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
advertisement
অধিক ঘনত্ব যুক্ত লাইপোপ্রোটিন বা এইচডিএল: এটিকে ভাল বা উপকারী কোলেস্টেরল বলা হয়। রক্তে এর পরিমাণ যত বেশি থাকবে, ততই তা শরীরের জন্য মঙ্গল। কেননা, এইচডিএল কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। রক্তনালীতে জমে থাকা এলডিএল কোলেস্টেরলকে রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে শরীর থেকে বার করে দিতে সাহায্য করে এই এইচডিএল কোলেস্টেরল।
advertisement
স্বাভাবিক মাত্রা: প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও মহিলার দেহে এইচডিএল কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৬০ মিলিগ্রাম বা তার বেশি থাকা উচিত।
advertisement
সর্বনিম্ন মাত্রা: শরীরে এইচডিএল কোলেস্টেরলের সর্বনিম্ন মাত্রা ৪০মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার। শিশুদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন মাত্রা ধরা হয় ৪৫ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার। এই পরিমাণ আরও কমে গেলে হৃদরোগ-সহ অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ এটা বোঝা যাচ্ছে যে, শরীরে এইচডিএল এবং এলডিএল-এর ভূমিকা পরস্পরের বিপরীত। এক কথায়, এইচডিএল থাকা ভালো এবং এলডিএল থাকা ক্ষতিকর। এইচডিএল-এর মাত্রা কমে গেলে আবার সেটাও শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
advertisement
ট্রাইগ্লিসারাইড: লিপিড প্রোফাইলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল-- ট্রাইগ্লিসারাইড। আমরা খাবার থেকে যে শক্তি পাই, তা পুরোপুরি ব্যবহৃত না-হলে ট্রাইগ্লিসারাইড আকারে শরীর তা জমতে থাকে। ট্রাইগ্লিসারাইড মেদকোষে পরিণত হয়। শরীরে কোনও কারণে শক্তির ঘাটতি হলে এই মেদকোষ থেকে শক্তি উৎপন্ন হয়। চিনি, ভাত, তেল ও মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খেলে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়তে পারে। এটিও হৃদরোগের অন্যতম কারণ।
advertisement