

সময়টা অক্টোবর মাসের একেবারে প্রথমের দিক। সেই সময়েই যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা অনুমানের ভিত্তিতে বলেছিলেন যে কোভিড ১৯ ভাইরাস যার মাধ্যমে ছড়ায়, সেই ড্রপলেট ৬ ফুটের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতেই পারে!


আর এ বার অক্টোবর পেরিয়ে নভেম্বরের শুরুতে, মাসখানেকের ব্যবধানে এ নিয়ে তথ্য পেশ করলেন সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক তথা গবেষকরা। তাঁদের নয়া এই সমীক্ষার গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ফিজিক্স অফ ফ্লুইডস জার্নালে। সাফ জানাচ্ছেন তাঁরা- এই ড্রপলেট ৭ ফুট দূরত্ব হেসে-খেলে অতিক্রম করতে পারে!


তা হলে আমাদের কি এ বার থেকে ৬ ফুটের দূরত্ববিধির বদলে ৭ ফুটের দূরত্ববিধি মেনে চলা উচিৎ? গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক ডক্টর ফং ইয়ু লিয়ং অন্তত সে রকমই পরামর্শ দিচ্ছেন। বলছেন যে হাঁচি বা কাশির সঙ্গে আমাদের নাক-মুখ থেকে যে ড্রপলেট বেরিয়ে আসে, তা ৬.৬ ফুট তো বটেই, মোটামুটি ৭ ফুট দূরত্বও অতিক্রম করতে পারে। তাই সুরক্ষিত থাকার জন্য অতিরিক্ত ১ ফুট যোগ করে নিদেনপক্ষে ৮ ফুটের দূরত্ববিধি মেনে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে!


মানুষ কথা বললে, গান গাইলে, চিৎকার করলে, হাঁচলে, কাশলে, বাতাসে ড্রপলেট ছড়ায়। এর মধ্যে দিয়েই সংক্রমিত রোগীর থেকে করোনাভাইরাস ছড়ায়। সংক্রমণ এড়াতে ন্যূনতম ৬ ফুট দূরত্ব রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, কারণ অনুমান করা হয়েছিল ৬ ফুটের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করার আগেই ড্রপলেট মাটিতে পড়ে যায়। কিন্তু এখন সিঙ্গাপুর থেকে যে সাবধানবাণী ভেসে এল, তা সাফ বুঝিয়ে দিচ্ছে যে চিন্তার কারণ যথেষ্ট রয়েছে!


অন্য দিকে, সিঙ্গাপুরের এই মতের সমর্থন মেলে ভার্জিনিয়া টেকের সংক্রামক বায়ুবাহিত রোগ নিয়ে গবেষণা করা লিনসে মারের কথাতেও। তিনি অনেক আগেই জানিয়েছেন যে এয়ারোসল বা অতি সূক্ষ্ম বায়ুকণার ক্ষেত্রে ৬ ফুট দূরত্বই যথেষ্ট নয়, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে আরও বেশি দূরত্ব মেনে চলাই সমীচীন।