West Bengal Government Employees: ডিএ নিয়ে সবচেয়ে জরুরি তথ্য! কত জন সরকারি কর্মী পাবেন ডিএ? কত জন পেনশনভোগী পাবেন এই অর্থ? কত টাকা পাবেন? জানুন

Last Updated:
West Bengal Government Employees: রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, এই ডিএ-র সুবিধা প্রায় ১০ লক্ষ সরকারি কর্মচারী ও পেনশন প্রাপকরা পেতে চলেছেন।
1/12
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আপাতত ২৫ শতাংশ বকেয়া মহার্ঘভাতা অর্থাৎ ডিএ দিয়ে দিতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে সকল কর্মচারীকে এই পরিমাণ ডিএ দিতে বলা হয়েছে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ এমন নির্দেশ দিয়েছে। আগামী অগাস্ট মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আপাতত ২৫ শতাংশ বকেয়া মহার্ঘভাতা অর্থাৎ ডিএ দিয়ে দিতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে সকল কর্মচারীকে এই পরিমাণ ডিএ দিতে বলা হয়েছে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ এমন নির্দেশ দিয়েছে। আগামী অগাস্ট মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
advertisement
2/12
রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, এই ডিএ-র সুবিধা প্রায় ১০ লক্ষ সরকারি কর্মচারী ও পেনশন প্রাপকরা পেতে চলেছেন। অর্থ দফতর সূত্রে খবর এমনই খবর। তার মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ পেনশন প্রাপকরাও এই সুবিধা পাবেন বলেই জানা গিয়েছে।
রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, এই ডিএ-র সুবিধা প্রায় ১০ লক্ষ সরকারি কর্মচারী ও পেনশন প্রাপকরা পেতে চলেছেন। অর্থ দফতর সূত্রে খবর এমনই খবর। তার মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ পেনশন প্রাপকরাও এই সুবিধা পাবেন বলেই জানা গিয়েছে।
advertisement
3/12
যদিও অর্থ দফতরের তরফে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের কপি আপলোড হওয়ার পরেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে। কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বর্তমানে মহার্ঘ্য ভাতার ফারাক রয়েছে ৩৭ শতাংশ। তবে সেই মহার্ঘভাতার ফারাকের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের সে অর্থে কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করছে নবান্ন।
যদিও অর্থ দফতরের তরফে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের কপি আপলোড হওয়ার পরেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে। কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বর্তমানে মহার্ঘ্য ভাতার ফারাক রয়েছে ৩৭ শতাংশ। তবে সেই মহার্ঘভাতার ফারাকের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের সে অর্থে কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করছে নবান্ন।
advertisement
4/12
এই নির্দেশের পর রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের তরফে বলা হয়েছে, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনই মহার্ঘভাতার বিপক্ষে নন। সরকারি কর্মচারীদের জন্য উনি একাধিক সুবিধা দিয়েছেন। রায়ের কপি পাওয়ার পরেই আমরা আরও বিস্তারিত বলব। যারা মামলাটি করেছেন, তারাই গোটা বিষয়টি নিয়ে বলতে পারবেন।"
এই নির্দেশের পর রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের তরফে বলা হয়েছে, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনই মহার্ঘভাতার বিপক্ষে নন। সরকারি কর্মচারীদের জন্য উনি একাধিক সুবিধা দিয়েছেন। রায়ের কপি পাওয়ার পরেই আমরা আরও বিস্তারিত বলব। যারা মামলাটি করেছেন, তারাই গোটা বিষয়টি নিয়ে বলতে পারবেন।"
advertisement
5/12
এদিকে, ''সুপ্রিম কোর্ট রায়ের ক্ষেত্রে বলেছে, ২৫ শতাংশ বকেয়া DA দিতে হবে। ১৯৮০-৮১ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের হারে DA পেয়ে আসছিল। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে পার্থক্য শুরু হয়। আমরা ২০০৯ সালে পে কমিশনের কাছে আবেদন করেছিলাম। ১ জানুয়ারি থেকে ১ জুলাই এরিয়াল পাব। ২০২৩ সালে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ তৈরি হয় এবং তখন থেকে এই মামলা নিয়ে আমরা আওয়াজ তুলেছি। সরকারি কর্মচারীরা আমাদের কাছে আবেদন করেন এই মামলায় যুক্ত হওয়ার জন্য। সুপ্রিম কোর্ট আমাদের বলার সুযোগ দিয়েছে।''
এদিকে, ''সুপ্রিম কোর্ট রায়ের ক্ষেত্রে বলেছে, ২৫ শতাংশ বকেয়া DA দিতে হবে। ১৯৮০-৮১ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের হারে DA পেয়ে আসছিল। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে পার্থক্য শুরু হয়। আমরা ২০০৯ সালে পে কমিশনের কাছে আবেদন করেছিলাম। ১ জানুয়ারি থেকে ১ জুলাই এরিয়াল পাব। ২০২৩ সালে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ তৈরি হয় এবং তখন থেকে এই মামলা নিয়ে আমরা আওয়াজ তুলেছি। সরকারি কর্মচারীরা আমাদের কাছে আবেদন করেন এই মামলায় যুক্ত হওয়ার জন্য। সুপ্রিম কোর্ট আমাদের বলার সুযোগ দিয়েছে।''
advertisement
6/12
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট প্রথমে জানিয়েছিল, বকেয়া ডিএ-র ৫০ শতাংশ দিয়ে দিতে হবে রাজ্যকে। বিচারপতি করোল বলেন, ''এই মামলায় ট্রাইব্যুনাল কোর্ট, হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ, সব জায়গার রায় আমরা খতিয়ে দেখেছি। সব ক্ষেত্রেই ডিএ-র পক্ষে রায় দেওয়া হয়েছে।’’ কিন্তু রাজ্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, ৫০ শতাংশ বকেয়া ডিএ দেওয়া এখনই সম্ভব নয়। তা হলে রাজ্য চালানো যাবে না। তখন আদালত জানায়, অন্তত ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ চার সপ্তাহের মধ্যে দিতেই হবে রাজ্য সরকারকে। বাকি বকেয়া ডিএ নিয়ে চূড়ান্ত শুনানি হবে অগাস্টে।''
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট প্রথমে জানিয়েছিল, বকেয়া ডিএ-র ৫০ শতাংশ দিয়ে দিতে হবে রাজ্যকে। বিচারপতি করোল বলেন, ''এই মামলায় ট্রাইব্যুনাল কোর্ট, হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ, সব জায়গার রায় আমরা খতিয়ে দেখেছি। সব ক্ষেত্রেই ডিএ-র পক্ষে রায় দেওয়া হয়েছে।’’ কিন্তু রাজ্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, ৫০ শতাংশ বকেয়া ডিএ দেওয়া এখনই সম্ভব নয়। তা হলে রাজ্য চালানো যাবে না। তখন আদালত জানায়, অন্তত ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ চার সপ্তাহের মধ্যে দিতেই হবে রাজ্য সরকারকে। বাকি বকেয়া ডিএ নিয়ে চূড়ান্ত শুনানি হবে অগাস্টে।''
advertisement
7/12
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের কোষাগার থেকে কত টাকা খরচ হতে চলেছে? ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, বকেয়া ডিএ বাবদ মোট ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা পাওনা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। এরপর ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ সালের হিসেবে সেই অঙ্ক আরও বাড়বে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের কোষাগার থেকে কত টাকা খরচ হতে চলেছে? ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, বকেয়া ডিএ বাবদ মোট ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা পাওনা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। এরপর ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ সালের হিসেবে সেই অঙ্ক আরও বাড়বে।
advertisement
8/12
২০২২ ডিসেম্বরে রাজ্যের দেওয়া হিসেব ধরলেও এই মুহূর্তে পঁচিশ শতাংশ বকেয়া দেওয়ার অর্থ, ১০৪২৫ কোটি টাকার বেশি রাজ্যকে চার সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। এই অঙ্ক ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। অর্থাৎ বর্তমান সময়ের নিরিখে বকেয়া আরও বাড়বে।
২০২২ ডিসেম্বরে রাজ্যের দেওয়া হিসেব ধরলেও এই মুহূর্তে পঁচিশ শতাংশ বকেয়া দেওয়ার অর্থ, ১০৪২৫ কোটি টাকার বেশি রাজ্যকে চার সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। এই অঙ্ক ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। অর্থাৎ বর্তমান সময়ের নিরিখে বকেয়া আরও বাড়বে।
advertisement
9/12
যদিও এই মামলার চূড়ান্ত ফয়সালা এখনও হয়নি। আগামী অগাস্টে হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। শুক্রবার শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জয় করোল বলেন, ''আমরা সরকারের তরফের নোট পড়েছি। আমরা স্যাট সহ আদালতের সব রায়ও পড়েছি। সত‍্যি বলতে আমরা রায়ে হস্তক্ষেপ করতে খুব একটা আগ্রহী নই। আপনারা (সরকারকে) আপাতত ৫০% বকেয়া মেটান।''
যদিও এই মামলার চূড়ান্ত ফয়সালা এখনও হয়নি। আগামী অগাস্টে হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। শুক্রবার শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জয় করোল বলেন, ''আমরা সরকারের তরফের নোট পড়েছি। আমরা স্যাট সহ আদালতের সব রায়ও পড়েছি। সত‍্যি বলতে আমরা রায়ে হস্তক্ষেপ করতে খুব একটা আগ্রহী নই। আপনারা (সরকারকে) আপাতত ৫০% বকেয়া মেটান।''
advertisement
10/12
রাজ‍্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এরপর বলেন, ''৫০% বকেয়া মানে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এত বড় অর্থ রাজ‍্যের কোমড় ভেঙে দেবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ শতাংশটা বিবেচনা করা হোক।'' এরপরই ২৫% বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দেন বিচারপতিরা।
রাজ‍্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এরপর বলেন, ''৫০% বকেয়া মানে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এত বড় অর্থ রাজ‍্যের কোমড় ভেঙে দেবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ শতাংশটা বিবেচনা করা হোক।'' এরপরই ২৫% বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দেন বিচারপতিরা।
advertisement
11/12
২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর রাজ্যের ডিএ মামলা প্রথম বার সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল। আদালত জানিয়েছিল, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন। সময় নিয়ে সব পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে। তবে সময়ের অভাবে মামলাটির পূর্ণাঙ্গ শুনানি আর হয়ে ওঠেনি। কখনও রাজ্য সরকারের আইনজীবীর অনুরোধে, কখনও অন্য কোনও কারণে আড়াই বছর ধরে বার বার পিছিয়েছে ডিএ শুনানি। অবশেষে সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফুটল শুক্রবার।
২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর রাজ্যের ডিএ মামলা প্রথম বার সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল। আদালত জানিয়েছিল, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন। সময় নিয়ে সব পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে। তবে সময়ের অভাবে মামলাটির পূর্ণাঙ্গ শুনানি আর হয়ে ওঠেনি। কখনও রাজ্য সরকারের আইনজীবীর অনুরোধে, কখনও অন্য কোনও কারণে আড়াই বছর ধরে বার বার পিছিয়েছে ডিএ শুনানি। অবশেষে সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফুটল শুক্রবার।
advertisement
12/12
রাজ্যের হয়ে এই মামলায় সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। এ ছাড়া, সরকারি কর্মীদের একাংশের তরফে রয়েছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।
রাজ্যের হয়ে এই মামলায় সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। এ ছাড়া, সরকারি কর্মীদের একাংশের তরফে রয়েছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।
advertisement
advertisement
advertisement