RG Kar Case: সঞ্জয়কে মৃত্যুদণ্ড নয়, কিন্তু বিচারক অনির্বাণ দাস ফাঁসির সাজা দিয়েছেন এক আসামীকে! কোন কেস জানেন? শুনে কিন্তু চমকে যাবেন
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
RG Kar Case: গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া নির্যাতিতার ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আন্দোলনের ঝড় ওঠে গোটা দেশে। বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামে গোটা দেশ।
advertisement
advertisement
advertisement
আইনজীবী মহলের খবর, ইতোমধ্যেই একাধিক পকসো মামলায় দোষীদের ২০ বছরের কারাবাসের সাজা দিয়েছেন তিনি। ৯ বছর আগের একটি মামলা ছিল সেটি। তখন বিচারক অনির্বাণ দাস কর্মরত ছিলেন বারাসত আদালতে। মাদক কারবার সংক্রান্ত মামলায় এক আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। কিন্তু কেন মাদক মামলায় দোষী সাব্যস্ত আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন? সে সময়ে তাঁর পর্যবেক্ষণ কী ছিল?
advertisement
সূত্রের খবর, ২০০২ সালে ৩ অক্টোবর মাদক চক্রের পাণ্ডা আনসারকে গ্রেফতার করে এনসিবি (নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর) আধিকারিকদের হাতে। দুটি জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় ৫৩ কেজি ৫০০ গ্রাম হেরোইন। এরপর সেই মামলা ওঠে বারাসত আদালতে। বিচারক অনির্বাণ দাস তখন এনডিপিএস (যেখানে মাদক সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়) আদালতে কর্মরত। তাঁরই এজলাসে মামলাটি ওঠে। গোটা শুনানি প্রক্রিয়ায় সওয়াল জবাব শোনার পর আনসারকে দোষী সাব্যস্ত করেন তিনি। তাকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন।
advertisement
সেই মামলার ক্ষেত্রে বিচারক অনির্বাণ দাস তাঁর রায়ে লিখেছিলেন, ''খুনের ক্ষেত্রে যে দোষী যে সে কোনও এক ব্যক্তির জীবন কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু এখানে বিপুল পরিমাণ হেরোইন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যা বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এই নেশা বহু পরিবারের সদস্যদের ধ্বংস করেছে। এই ধরনের দোষীরা সমাজের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে। এ ধরনের দোষীরা জাতির শত্রু। আনসার এর আগেও মাদক মামলায় দু’বার দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। কিন্তু তারপরও নিজেকে শোধরায়নি সে। একই পেশাতে থেকে গিয়েছে আনসার। তাই সমাজে বেঁচে থাকার অধিকারও হারিয়েছে সে।'' বিচারক অনির্বাণ দাস তাকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও উচ্চ আদালতে আনসারের ৩০ বছরের কারাদণ্ড হয়।
advertisement
কিন্তু আরজি কর কাণ্ডে সেই অনির্বাণ দাস আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন সঞ্জয়কে। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড অর্থাৎ ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের সাজা রয়েছে। কিন্তু সঞ্জয়ের আইনজীবী ফাঁসি আটকাতে যে যুক্তি খাড়া করেছিলেন। তাতে মান্যতা দিয়েছিলেন বিচারক। জানান, সঞ্জয়ের অপরাধ ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ নয়।