সামান্য ধূপকাঠি বিক্রেতা থেকে একেবারে শিক্ষা দফতরের চাকরি! এতদিন অবশ্য তাঁর এই উত্থানে কারও মনে সন্দেহ দানা বাঁধেনি৷ কিন্তু, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই নজরে পড়েছে সঙ্গীতার উত্থান। প্রশ্ন, কীভাবে শিক্ষা দফতরে চাকরি পেলেন ষষ্ঠ শ্রেণি পাশ এই তরুণী? শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পরই উঠে আসে একটি নাম, কল্যাণ ধর। অর্পিতার ব্যবসা সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিতেও মেলে কল্যাণের নাম। কে এই কল্যাণ? প্রথমে তাঁর পরিচয় নিয়ে সংশয় থাকলেও, পরে জানা যায় কল্যাণ আদতে সম্পর্কে অর্পিতার ভগ্নিপতী৷
তিনি অর্পিতার বোন সঙ্গীতার স্বামী৷ বেলঘরিয়া কিশোরপল্লি এলাকার বাসিন্দা কল্যাণ দীর্ঘদিন ধরেই অর্পিতার গাড়ি চালাতেন বলে জানা গিয়েছে৷ এর পর তদন্ত যত এগিয়েছে, প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, একটা সময়ে কল্যাণ ও সঙ্গীতার সংসারে অভাব-অনটন ছিল নিত্যসঙ্গী। পেট চালাতে অন্যের বাড়ি রান্নার কাজও করতেন সঙ্গীতা। বাড়তি উপার্জনের আশায় বিক্রি করতেন ধূপকাঠি। শিক্ষাগত যোগ্যতা- ষষ্ঠ শ্রেণি পাশ।