২০০৪ এর পরিবর্তন যাত্রার সূচনা হয়েছিল বনগাঁর খেলাঘর মাঠ থেকে। তৃণমূলের দীর্ঘ যাত্রার পরও নানান কষাকষি ও ঠোকাঠুকির মধ্যেও দলের সাফল্যকে তুল ধরতে সেই বনগাঁকেই হাতিয়ার করলেন তৃনমুলের কালারফুল বয় মদন মিত্র(Madan Mitra)। সদাবাহার কামারহাটির বিধায়ক বনগাঁ শিমূলতলা আয়রন গেট স্পোর্টিং ক্লাবের পূজা উদ্বোধন মঞ্চকে দিয়ে পরিস্কার করলেন তিনিই অনুগত।
৩৬ তম বর্ষের এই পূজা প্রধান পৃষ্ঠপোষক বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য। মদন মিত্রের (Madan Mitra) একদা অনুগামী শঙ্কর আঢ্যকে নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা রাজনীতিতে রয়েছে নানান বিতর্ক। আর বনগাঁর রাজনীতিতে তাঁকে ঘিরে দলে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছিল। দলের নির্দেশ ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হয়েছে শঙ্কর আঢ্যকে। এই দিন সেই বনগাঁর মাটিতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের প্রাক্তন ক্রীড়া ও পরিবহনমন্ত্রী মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন "শঙ্কর মন খারাপ করলে হবে না পঞ্চমীতে মায়ের কাছে প্রার্থনা, সাফল্য দাও সবাইকে।"
মঞ্চ থেকেই এদিন তাঁর পরিস্কার ঘোষণা "আমি বাংলার ক্রাশ হতে চাই না। আমি চাই বিজেপি যখন দাঙ্গা করবে, তখন এই বনগাঁয় ত্রাস হতে চাই।" পূজা মন্ডপের দ্বার ফিতে কেটে উদ্বোধন করার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, এই পুজোর উদ্যোক্তা ডাকু এবং জ্যোৎস্নার সঙ্গে আমার পুরনো সম্পর্ক। ডাকু এখন চেয়ারম্যান নেই তাই বলে তো সম্পর্ক হারিয়ে যেতে পারে না।
ডাকুর আহবানে সাড়া দিয়ে আজকের এই পুজো উদ্বোধন করলাম। বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরা নেতাদের ঢ্যাঁড়স মুলো বলে কটাক্ষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন এটা গানের লাইন যদিও ঢ্যাঁড়সগুলো আগের তুলনায় স্লিম হয়েছে। তাঁর কোথায় মদন মিত্রের ইঙ্গিত, দলে এদের গুরুত্ব কমেছে। আর ডাকুকে বনগাঁর রাজনীতিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে বারবার তিনি বনগাঁ আসবেন। এদিন সোচ্চারে সেই কথাই ঘোষণা করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র।