Kolkata Fire: 'ভরাট' করার চেষ্টা হয়েছিল, সেই পুকুরই বাঁচিয়ে দিল! ১৭ ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণে ট্যাংরার আগুন
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Kolkata Fire: নিয়ন্ত্রণে এসেছে ট্যাংরার ভয়াবহ আগুন(Fire at Tangra)। কিন্তু কীভাবে ঘটল এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, তা জানতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee)।
১৭ ঘণ্টা পর অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এসেছে ট্যাংরার ভয়াবহ আগুন(Fire at Tangra)। কিন্তু কীভাবে ঘটল এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, তা জানতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি(Highpower Investigation Committee) গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee)। রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। কথা বলেন দমকলকর্মীদের সঙ্গে। সঙ্গে ছিলেন পুলিশ সুপার বিনীত গোয়েলও(Vineet Goyal)। উল্লেখ্য, রবিবার বেলা দেড়টা নাগাদ অবশেষে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
advertisement
advertisement
তবে ট্যাংরার এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই শহরের বুকে পুকুর বা জলাশয়ের প্রয়োজনীয়তা কতটা। কারণ যে গুদামে আগুন লেগেছে, তার সংলগ্ন ভবাপাগলা সরণির একটি পুকুর থেকে শনিবার রাত থেকে লাগাতার জল তুলেছে দমকল। স্থানীয় বাসিন্দারা সাহায্য করেছে দমকলকে সেই পুকুর চিহ্নিত করতে ও জল তুলতে।
advertisement
উদ্ধারকার্য চলে টানা প্রায় ১৬-১৭ ঘণ্টা। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প লাগিয়ে জল তোলা চলে নিকটস্থ ওই জলাশয় থেকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, আগুন যেভাবে ভয়াবহ চেহারা ধারণ করছিল, তাতে এই পুকুর থেকে জল না দিলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ত। দমকলেরও বক্তব্য, প্রথমে একসঙ্গে এত জলের চাহিদা মেটানোর জন্য পুকুর ও খালের জল সাহায্য করেছে।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
স্থানীয় সূত্রের খবর, গুদাম সংলগ্ন কারখানায় চামড়া, ফোম, কাপড় এবং রেক্সিনের মতো দাহ্য সামগ্রী দিয়ে বিভিন্ন পণ্য তৈরি হতো। মূলত কাঁচামাল মজুত রাখা হত ওই গুদামে। সেই কাঁচামালের মধ্যে রাসায়নিক সামগ্রীও ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, খুব কম সময়ের মধ্যে গোটা কারখানা ভস্মীভূত হয়ে যায়। আগুনের দাপটে কারখানার টিনের চাল পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। তবে কারখানার দেওয়াল শক্তপোক্ত হওয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘন্টা তিনেক পরও সংলগ্ন বস্তি রক্ষা পায়।
advertisement
কারখানার পাশের মসজিদের ছাদে উঠেও আগুন নেভানোর চেষ্টা চলে। লাগোয়া কয়েকটি বাড়ি আগুনের গ্রাসে গেলেও কেউ হতাহত হয়নি। ঘিঞ্জি অঞ্চলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে দমকল কর্মীদের। কারখানার চারদিক থেকে তাঁরা আগুন আয়ত্তে আনার চেষ্টা করেন। এলাকার কিছু মানুষ অবশ্য দমকল দেরিতে আসার অভিযোগে সরব হন। দমকলের তরফে যা অস্বীকার করা হয়েছে।
advertisement
advertisement
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলার জীবন সাহা। তিনি বলেন, আশপাশের বাসিন্দাদের ঘর থেকে বের করে অন্যত্র রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের জন্য কমিউনিটি কিচেন চালু করা হয়েছে। এদিকে ওই কারখানার ভিতরে কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না বলেই দমকল সূত্রে খবর। এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী। আগুন নেভাতে ব্যস্ত দমকল।