প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের পরে বেসরকারি বাস (Private Bus Fare) নিয়ে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছিল রাজ্য পরিবহণ দফতর। বেসরকারি বাসেও ঝোলাতে হবে ভাড়ার তালিকা। এমনই নির্দেশ জারি হয়েছিল। বহুক্ষেত্রেই যাত্রীদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, বেসরকারি বাস নিজেদের ইচ্ছামতো ভাড়া নিচ্ছে। কোথাও দ্বিগুণ, কোথাও বা আবার তিনগুণ ভাড়া নিচ্ছে। যাত্রীরা অভিযোগ করছেন বেসরকারি বাসের কোথাও ভাড়ার তালিকা বা ফেয়ার চার্ট লাগানো থাকে না। ফলে যাত্রীরা বেশি ভাড়া নিয়ে প্রতিবাদ করলেও কিছু করার থাকে না।
যদিও এর আগে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন, বাসে ফেয়ার চার্ট ঝোলাতেই হবে। বাসের ভাড়া যথাযথ নিতে হবে। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে পরিবহণ মন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, যাত্রীদের অভিযোগ জানানোর সরাসরি ব্যবস্থা থাকবে৷ প্রতিটি বাস স্ট্যান্ডে থাকবে অভিযোগ জানানোর জন্যে কমপ্লেইন বক্স। সেগুলি রুট ম্যানেজার বা টাইম কালেক্টর মারফত সংগ্রহ করতে চায় পরিবহণ দফতর। যদিও রাজ্যের প্রস্তাব মানতে রাজি নয় বাস মালিকদের একাংশ।
বাস মালিকদের তরফে জানানো হয়েছিল একাধিক ইস্যুতে তারা সমস্যায়। ফলে এই সময়ে ভাড়া না বাড়ালে তাদের পক্ষে গাড়ি চালানো আর সম্ভব হচ্ছে না। করোনা লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ ছিল গণপরিবহণ ব্যবস্থা। ফলে বাস মালিকদের দীর্ঘ অসহায়তার মধ্যে পড়তে হয়েছে বলেও অভিযোগ করছেন তারা। তবে রাজ্য এখনও অনড়, তারা বাসের ভাড়া এখনই বাড়াতে চান না।