শেষ হচ্ছে না বৃষ্টির দাপট! কবে আসবে শীত? নভেম্বরেও চলবে বর্ষার ইনিংস? কী জানাল হাওয়া অফিস?

Last Updated:
বাংলায় যেন দুর্যোগ কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। কখনও নিম্নচাপ, কখনও ঘূর্ণাবর্ত বা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব। বাংলার পিছু ছাড়ছে না বৃষ্টি। নভেম্বরেও খুব একটা শীতের আমেজ বুঝতে পারবেন না, এমনটাই পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস। শীতের জন্য ডিসেম্বর পর্যন্তই অপেক্ষা করতে হবে। আপাতত দুর্যোগের হাত থেকে রেহাই মিললেও, নিম্নচাপের প্রভাবে আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
1/5
বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে মধ্যপ্রদেশ গুজরাত এবং অরুণাচল প্রদেশ, আসাম মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মনিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরাতে। উত্তর পূর্ব আরব সাগরে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। গুজরাট কঙ্কন গোয়া এলাকাতেও সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ৫০ থেকে ৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। পূর্ব মধ্য আরব সাগরে গুজরাত উপকূলে সমুদ্র আরও বেশি উত্তাল হবে সর্বোচ্চ গতিবেগ ঝড়ের ৬৫ কিলোমিটার হতে পারে।
দুর্যোগ যেন কিছুতেই বাংলার পিছু ছাড়ছে না। কখনও নিম্নচাপ, কখনও ঘূর্ণিঝড় বা ঘূর্ণাবর্ত — একের পর এক আবহাওয়ার পরিবর্তনে বিপর্যস্ত রাজ্যবাসী। অক্টোবরের পর নভেম্বরেও বৃষ্টি থেকে রেহাই মিলছে না। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই মাসেও শীতের আমেজ তেমন বুঝতে পাওয়া যাবে না, ডিসেম্বরের আগে ঠান্ডা নামার সম্ভাবনা খুবই কম।
advertisement
2/5
সোমবার ও মঙ্গলবার শুষ্ক আবহাওয়া: পরিষ্কার আকাশ। বুধবার ও বৃহস্পতিবারে ফের বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা উপকূলের জেলাগুলিতে। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কিছু অংশে বৃষ্টি হতে পারে।
২০২১-২২ সালে অক্টোবর মাসে রাতের তাপমাত্রা নেমেছিল ১৮-১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কিন্তু এবারের অক্টোবরে বৃষ্টি এতটাই ছিল যে ১৫ বছরে এমন উষ্ণ অক্টোবর দেখেনি কলকাতা। মৌসম ভবনের মতে, নভেম্বরেও সেই ধারা বজায় থাকতে পারে।
advertisement
3/5
 এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘মান্থার’ অবশিষ্ট অংশ বর্তমানে নিম্নচাপের আকারে ঝাড়খণ্ড-বিহারের দিকে এগোচ্ছে, যার প্রভাব থাকবে পশ্চিমবঙ্গে। যদিও আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। একইসঙ্গে বঙ্গোপসাগরে নতুন একটি নিম্নচাপের ইঙ্গিত মিলেছে।<br />পূর্ব-মধ্য আরব সাগরেও একটি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়ে গুজরাট উপকূলে অবস্থান করছে, তবে এর স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম। অন্যদিকে, হরিয়ানা ও রাজস্থানে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে, আর অসমেও সক্রিয় রয়েছে আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘মান্থার’ অবশিষ্ট অংশ বর্তমানে নিম্নচাপের আকারে ঝাড়খণ্ড-বিহারের দিকে এগোচ্ছে, যার প্রভাব থাকবে পশ্চিমবঙ্গে। যদিও আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। একইসঙ্গে বঙ্গোপসাগরে নতুন একটি নিম্নচাপের ইঙ্গিত মিলেছে।পূর্ব-মধ্য আরব সাগরেও একটি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়ে গুজরাট উপকূলে অবস্থান করছে, তবে এর স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম। অন্যদিকে, হরিয়ানা ও রাজস্থানে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে, আর অসমেও সক্রিয় রয়েছে আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত।
advertisement
4/5
আগামী দু ঘন্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সর্তকতা। রাজ্যের চার জেলায় ঝড়-বৃষ্টির হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
আগামী ৫ ও ৬ নভেম্বর উপকূলীয় জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রাতের তাপমাত্রা তেমন নামবে না, ফলে শীতের জন্য আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে।
advertisement
5/5
ঘূর্ণিঝড়ের আগেই ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজে ওড়িশা, এনডিআরএফ এবং ওডিআরএএফ দল মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে ১৬৯ মিমি, মালদহে ১২০ মিমি, আলিপুরদুয়ারে ১০৩ মিমি এবং বাগডোগরায় ৯২ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
advertisement
advertisement
advertisement