বলিউড সিনেমার নাটকীয় মোচড়ও ফেল, মল থেকে মাদক! এসএসকেএমে অবাক কাণ্ড

#কলকাতা:  সিনেমার কায়দায় মাদক আসছিল ব্রাজিল থেকে কলকাতায়, মাদক না পেয়ে পেটের এক্স-রে করে দেখা গেল রয়েছে মাদক! নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর কাছে খবর ছিল ব্রাজিল থেকে কলকাতায় মাদক আসছে, সেই সূত্র মত আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসাররা। গত ১২ অগস্ট দুবাই থেকে কলকাতায় এসেছিল ব্রাজিলিয়ান এক নাগরিক।

ব্রাজিল থেকে উৎকৃষ্ট মানের কোকেন শহরে পাচার করছে এই ব্যক্তি, গোপন সূত্রে এমনই খবর ছিল নারকোটিক্স বিভাগের কাছে। সেই মতো ওই ব্রাজিলিয়ান নাগরিক কলকাতায় আসার পরই তাকে আটক করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকরা। তল্লাশি অভিযানে নেমেও মাদক না মেলায় অফিসারদের কার্যত কপালে ভাঁজ পড়ে। তার মধ্যেই ব্রাজিলিয়ান ওই নাগরিককে আটক করার সিদ্ধান্ত নেয় NCB।

বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদে মুখ না খুললেও পরবর্তী সময়ে ওই ব্যক্তি পেটে ব্যাথা অনুভব করে। তখনই আরও কিছুটা সন্দেহ বাড়ে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকদের। চিকিৎসকের পরামর্শ মত বিমানবন্দরের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ব্রাজিলিয়ান ওই নাগরিকের পেটের এক্স-রে করা হয়। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, ওই ব্যক্তির পাকস্থলীর মধ্যে ৪৪ টি ক্যাপসুল রয়েছে।

তারপর বারাসাত আদালতের নির্দেশ  মত সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএম এ স্থানান্তরিত করা হয় ব্রাজিলের ওই নাগরিককে। ওই ক্যাপসুলগুলি শরীর থেকে বের করানোর জন্য সেখানে এসএসকেএম-এর চিকিৎসকরা তাকে ওষুধ খাইয়ে মলত্যাগ করান। তারপর মল ঘেঁটে ৪৪ টি ক্যাপসুল উদ্ধার করা হয়। সেগুলি ছিল হলুদ রঙের বেশ বড়-বড় ক্যাপসুল।

সেই ক্যাপসুলগুলি থেকে উদ্ধার হয় ৪৯৭ গ্রাম কোকেন। যার বাজারদর প্রায় কয়েক কোটি টাকা। এই ক্যাপসুল শরীরে মেশে না, সেই সুযোগ নিয়ে পেটের মধ্যে মাদক পাচারের চেষ্টা করেছিল ব্রাজিলের ওই নাগরিক। মূলত নজর এড়াতেই এভাবেই মাদক পাচারের পরিকল্পনা করে পাচারকারীরা,  এবার NCB সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিল তাদের দূরদর্শিতায়। এই ঘটনার পুরো বিবরণ যে সিনেমার চিত্রনাট্যের মতই তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। Input- Susovan Bhattacharjee